বাঁকুড়ার (Bankura) খাতড়া বাজারে রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির স্বামী তুহীন মান্ডির উপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলার অভিযোগে উত্তপ্ত রাজনৈতিক মহল। অভিযোগ উঠেছে সরাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনার পর গ্রেফতার করা হয়েছে ৫ জন বিজেপি কর্মীকে। তবে বিজেপির তরফে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে এবং পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।
Read Hindi: बाजार में मंत्री के पति पर लाठी से हमला, BJP पर आरोप – पार्टी ने बताया राजनीतिक साजिश
ঘটনা ঘটেছে গতকাল সন্ধ্যার কিছু পরে। স্থান — বাঁকুড়ার খাতড়া বাজার। মন্ত্রীর স্বামী তুহীন মান্ডি স্থানীয় বাজারে মুদির জিনিস কিনতে গিয়েছিলেন। সেই সময়, অভিযোগ, আচমকা ১৫-১৬ জন বিজেপি কর্মী তাঁকে ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর শুরু করে। লাঠির আঘাতে পিঠ ও হাতে গুরুতর আঘাত পান তিনি।
খবর পেয়ে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর তৃণমূল নেতারা খাতড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, যার ভিত্তিতে পুলিশ ওই রাতেই ৬ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে। আজ ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়।
মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি সংবাদমাধ্যমকে জানান, “বিজেপি পরিকল্পিতভাবে এলাকায় অশান্তি তৈরি করতে চাইছে। বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের পরিবারকে লক্ষ্য করে নানা হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এখন প্রকাশ্য বাজারে আমার স্বামীর উপর হামলা চালিয়ে তা বাস্তবায়িত করল ওরা। প্রশাসনের কাছে দাবি করছি দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।”
অন্যদিকে, বিজেপির জেলা নেতৃত্ব সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, “এই অভিযোগ রাজনৈতিকভাবে ফাঁসানোর জন্য সাজানো হয়েছে। বরং তৃণমূলের গুন্ডারাই গতকাল সন্ধ্যায় খাতড়া বাজারে আমাদের কর্মীদের উপর চড়াও হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় পুলিশ ও র্যাফ লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়। হতে পারে সেই সময় কোনো লাঠির আঘাতে মন্ত্রীর স্বামী আহত হন। এর সঙ্গে বিজেপির কোনো সম্পর্ক নেই।”
পুলিশ সূত্রে খবর, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। খাতড়া বাজার এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখা হচ্ছে, আদৌ হামলাকারীরা কারা ছিলেন। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এখন দেখার, পুলিশি তদন্তে আসল সত্য সামনে আসে কি না। তবে এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনার পারদ এখন চরমে।