বিয়ের জন্য চাপ দিতেই লিভ-ইন পার্টনারকে খুন! ৮ মাস পর দেহ উদ্ধার ফ্রিজ থেকে

ভোপাল: বিয়ের জন্য চাপ! পাঁচ বছরের লিভ ইন পার্টনারকে খুন করে ফ্রিজে দেহ লুকিয়ে রাখল বিবাহিত প্রেমিক৷ প্রায় আট মাস পর উদ্ধার হল দেহ৷  পুলিশ…

Married Lover Kills Live-in Partner

ভোপাল: বিয়ের জন্য চাপ! পাঁচ বছরের লিভ ইন পার্টনারকে খুন করে ফ্রিজে দেহ লুকিয়ে রাখল বিবাহিত প্রেমিক৷ প্রায় আট মাস পর উদ্ধার হল দেহ৷ 

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তরুণীরর নাম পিঙ্কি প্রজাপতি৷ শাড়ি পরা অবস্থায় তাঁর মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। তার হাত দুটি ছিল বাঁধা৷ গলায় ফাঁস৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সম্ভবত গত বছর জুন মাসে হত্যা করা হয়েছে তাঁকে। অভিযুক্ত প্রেমিক সঞ্জয় পটিদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ (Married Lover Kills Live-in Partner)

   

পাঁচ বছর ধরে লিভ-ইন সম্পর্ক Married Lover Kills Live-in Partner

সঞ্জয় পটিদার উজ্জয়িনী জেলার বাসিন্দা৷ পিঙ্কির সঙ্গে পাঁচ বছর ধরে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন তিনি৷  জানা গিয়েছে, পিঙ্কি সঞ্জয়কে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন৷ এই চাপ তাঁর ভালো লাগছিল না৷ অবশেষে বন্ধুদের সঙ্গে মিলে প্রেমিকাকে খুন করার ষড়যন্ত্র করেন তিনি।

দেওয়াস পুলিশ সুপার পুণীত গেহলট বলেন, ‘‘ওই তরুণীর বয়স ৩০-এর কোটায় ছিল। আমাদের অনুমান তাঁকে জুন মাসে হত্যা করা হয়েছে। প্রতিবেশীরা দুগন্ধ পেয়ে বাড়ির মালিক ধীরেন্দ্র শ্রীবাস্তবকে জানায়। তিনি পুলিশে খবর দেন৷ পুলিশ এসে ফ্রিজ থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে? 

২০২৩ সালের জুন মাসে বাড়ি ভাড়া নেন  Married Lover Kills Live-in Partner

শ্রীবাস্তব জানানা, ২০২৩ সালের জুন মাসে বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিলেন সঞ্জয়৷ এক বছর পর বাড়িটি ছেড়ে দেন, তবে কিছু জিনিসপত্র বাড়ির স্টাডি রুমে রেখে যান। এই ঘটনার সঙ্গে দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি উস্কে দিয়েছে৷ যেখানে আফতাব আমিন পুণাওয়ালা তাঁর লিভ ইন পার্টনারকে হত্যা করে তাঁর দেহ টুকরো করে একাধিক স্থানে ফেলে দেয়।

এটি একটি উদ্বেগজনক ঘটনা, যা সমাজে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে এবং মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।