আমাদের অনেকেরই জানা, বনৌষধির গুণ বহু চর্চিত। হয়তো। চেনা গাছ, চেনা ফুল, চেনা পাতাগুলোর মধ্যেই রয়েছে নানা ঔষধি গুণ। যেমন ছাতিম গাছ। শরৎকালে ছাতিমের (chatim tree )ফুল ফোটে, যার মিষ্টি গন্ধ কিন্তু খুবই তীব্র প্রকৃতির হয়। ছাতিম পাতা শান্তিনিকেতনে স্নাতকোত্তর প্রমাণপত্রের প্রতীক হিসেবে দেওয়া হয়। ( Lifestyle )
পাতায় ভরা কাষ্ঠল চিরসবুজ এই গাছ প্রায় চল্লিশ-পঞ্চাশ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এই গাছের ছাল হয় বেশ মোটা। ছালের ভেতরের অংশ সাদা-দানাকার এবং উপরের দিকটা খসখসে ধরণের হয়। আর গাছের সমগ্র অংশই সাদা দুধের মতো আঠা যুক্ত হয়ে থাকে। ছাতিম গাছের পাতা দেখতে অনেকটাই মনসা পাতার মতো, তবে অতটা পুরু হয় না। শাখার সামনের দিকটা ছত্রাকার হয়। যেখানে সাতটি পাতা সুন্দরভাবে ঘিরে থাকে। ছাতিমের পাতাগুচ্ছের এই বৈশিষ্ট্যের জন্যই গাছটির নাম সপ্তপর্ণী বা সপ্তচ্ছেদ। তবে চলতি বাংলায় আমরা বেশিরভাগ ছাতিমই বলে থাকি। ( Lifestyle )
এবার তবে জেনে নেওয়া যাক ছাতিমের ঔষধি গুণাগুণ সম্পর্কে-
উপকারিতাঃ
- ছাতিম গাছের ছাল, পাতা, ফুল ও আঠা ওষুধে ব্যবহার করা হয়। ঋতুগত কারণে বায়ু, পিত্ত, কফ প্রভৃতির সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষত বর্ষা, শরৎ ও বসন্তকালে জ্বর এবং পেটের সমস্যা দেখা যায়। সেক্ষেত্রে ছাতিম পাতার রসের দ্বারা এই সকল ঋতুগত রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
- ছাতিম গাছের ছাল শুকিয়ে গুঁড়ো করে ওষুধে ব্যবহার করা হয়। যা দীর্ঘস্থায়ী অতিসার এবং আমাশয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকরী।
- চর্মরোগের ক্ষেত্রেও ছাতিম পাতার রস ভীষণ ফলপ্রদ।
- গ্যাসের সমস্যায় জলের সঙ্গে ছাতিমের ছাল বা ফুল চূর্ণ গুলে পান করলে উপকার পাওয়া যায়।
- বাতের ব্যাথায় ছাতিমের ছাল জলে ফুটিয়ে সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়।
- গরম দুধের সঙ্গে ছাতিম গাছের রস মিশিয়ে পান করলে কাশি কমে।