রাশিয়াকে ঠেকাতে ইউক্রেনিয়দের হাতে অস্ত্র বাড়াচ্ছে ধর্ষণের মতো ঘটনা, অভিযোগ

রাশিয়ার হামলার পর মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য ইউক্রেনের জনগণের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কিন্তু এই পদক্ষেপে পোয়াবারো হয়েছে অপরাধীদের। সম্প্রতি একটি ভিডিও…

Gonzalo Lira রাশিয়াকে ঠেকাতে ইউক্রেনিয়দের হাতে অস্ত্র বাড়াচ্ছে ধর্ষণের মতো ঘটনা, অভিযোগ

রাশিয়ার হামলার পর মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য ইউক্রেনের জনগণের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কিন্তু এই পদক্ষেপে পোয়াবারো হয়েছে অপরাধীদের। সম্প্রতি একটি ভিডিও বার্তায় এমনই দাবি করেছেন কিয়েভের এক বাসিন্দা। তিনি বলেছেন, রাশিয়ান সেনাবাহিনীই শুধুমাত্র ইউক্রেনের নাগরিকদের জন্য একমাত্র চিন্তার বিষয় নয়। চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশের অপরাধীরাও।

২৮ ফেব্রুয়ারি কিয়েভে শুট করা একটি ভিডিওতে, গঞ্জালো লিরা নামে একজন লেখক দাবি করেছেন যে ইউক্রেনের অপরাধীরা মিলিটারি গ্রেডের অস্ত্র হাতে পেয়েছে। রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কির কিছুদিন আগে ঘোষণা করেন যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে ইচ্ছুক সকল নাগরিকদের অস্ত্র দেবে সরকার। তারপরই অপরাধীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। শহরে বে়ড়েছে ডাকাতি ও ধর্ষণের মতো ঘটনা। কিয়েভে প্রচুর গোলাগুলি চলেছে যার সাথে রাশিয়ানদের কোনও সম্পর্ক ছিল না। রাশিয়ানরা এই গুলি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে ছিল। এগুলি সম্ভবত গ্যাং ওয়ার। তাঁর দাবি, সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে অপরাধীরা তাদের নিজস্ব কাজ করতে ওই অস্ত্রের সাহায্য নিচ্ছে। এর জন্য তারা সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করবে।

   

এর জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও তার সরকারকে দোষ দেন তিনি। বলেন, “এই লোকেরা রুশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নামে ইউক্রেনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। এটা অযৌক্তিক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন। এর ফলে ইউক্রেনের জনগণ সমস্যায় পড়বে। আমি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে জেলেনস্কির নেতৃত্বাধীন শাসন ব্যবস্থা খারাপ। পশ্চিমের মিডিয়া এই নিয়ে কথা বলছে না। আমি রাশিয়ান বা ইউক্রেনিয় সেনাবাহিনীর নয়, অপরাধীদের গুলি করা নিয়ে চিন্তিত। নাগরিকদের অস্ত্র দেওয়া নিয়ে আমি খুব অসন্তুষ্ট। এটা রাশিয়ানদের থামাতে পারবে না। এতে সাধারণ নাগরিকদের মৃত্যু এবং দুর্ভোগই হবে।”