পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপিকে পিছনে রাখতে চায় বাম শিবির

CPIM

বিগত কয়েক দফার উপনির্বাচনে রাজ্যে দলের ফলাফল দেখে কর্মীদের আশ্বাস খেলা ঘুরছে। পুর নির্বাচনে ফলাফল দেখা গেলেও পঞ্চায়েত নির্বাচনেও কী ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে? রাজনৈতিক মহলে এই প্রশ্ন ঘিরে অঙ্ক মেলানো শুরু হয়েছে। তবে বাম কর্মীদের আশ্বাস লড়াই সহজ না হলেও বিজেপিকে (bjp) পিছনে ফেলাই বামেদের প্রধান লক্ষ্য৷

Advertisements

৩৪ বছরের রাজত্বকালে তুমুল আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দল এবং সরকার পরিচালনা করেছে বামেরা। কিন্তু গত ১০ বছরে সংগঠন একেবারে তলানিতে ঠেকতেই ঘুম উড়েছে আলিমুদ্দিনে। এক সময়ের বাম দুর্গ বলে পরিচিত হুগলী, বর্ধমান, মেদিনীপুরে এখন ঘাসফুলের জয়জয়কার৷ এরই মধ্যে আড়ে বহরে বেড়েছে পদ্মফুলও। কিন্তু বিধানসভায় নেতাদের বেমালুম দলবদলে বহু কর্মীরাই দুই দলের ওপর আস্থা হারিয়েছে৷ তাই বিকল্প হিসাবে বামেদের বেছে নিচ্ছে। কিন্তু সমস্যা এখানেও রয়েছে।

জনৈতিক মহলের ধারণা, কলকাতা পুরভোটে বামেরা দ্বিতীয় হলেও তৃণমূলের সঙ্গে তাঁদের ভোট মার্জিন অথবা আসন সংখ্যার ব্যবধান অনেক বেশী। বরং বিজেপি প্রার্থীকে পরাজিত করা সেক্ষেত্রে বামেদের জন্য তুলনামূলক সহজ সাধ্য। তাই শূণ্য থেকে বিরোধী বেঞ্চে ফিরে আসতে চায় তাঁরা৷ নীচু তলার কর্মীদের কথায়,গত বিধানসভা নির্বাচনে যে ৩৬ টি গ্রামীণ এলাকার আসন বিজেপি পেয়েছে সেখানেই নজর দিক শীর্ষ নেতারা। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলুক বাকি অংশের লড়াই৷

Advertisements

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শুরু হয়েছে তোরজোড়। রাজনৈতিক এবং সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গে আলাদা করে জোর দেওয়া শুরু হয়েছে। তবে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জেলা স্তরে৷ সেইসঙ্গে গ্রামীণ এলাকায় সংগঠনকে উজ্জীবিত করাই বামেদের প্রধান লক্ষ্য। কারণ, শহরাঞ্চলে মানুষের ভোট ফেরাতে পারলেও গ্রামীণ এলাকার বাম সংগঠনে ফাঁক রয়েছে। সেটা দ্রুত ভরাট না করতে পারলে আগামী দিনে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে আলিমুদ্দিনকে।

তবে রাজ্য নেতৃত্বের কথায়, বিধানসভা নির্বাচনের পর যত সময় যাচ্ছে দলের সাংগঠনিক পরিবর্তন ঘটছে। সেটার প্রমাণ মিলছে জেলায় জেলায় মিছিলে এবং ভোট বাক্সেও।