নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত শহরে ধুন্ধুমার হয়েছে। বিকেল গড়ালেও পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। শহরের বিভিন্ন রুটে যান চলাচল ব্যহত। এই পরিস্থিতিতে অফিস ছুটির পরে বাড়ি ফিরতে কালঘাম ছুটবে। যাঁরা কলকাতা থেকে হাওড়ার মধ্যে যাতায়াত করেন, তাঁদের অবস্থা শোচনীয় হতে পারে। সন্ধ্যা বা তার কিছুক্ষণ পর পর্যন্ত সেক্ষেত্রে আমজনতার ভরসার কলকাতা মেট্রো। কিন্তু বেশি রাত হলেই মেট্রোও বন্ধ। তাহলে উপায়? চিন্তা নেই, সমাধান আনল কলকাতা মেট্রো। মঙ্গলবার রাতের জন্য নয়া মেট্রো চলাচলের নয়া সূচি প্রকাশ করেছে কলকাতা মেট্রো।
নিউ গড়িয়া-দক্ষিণেশ্বর (ব্লু লাইন), হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড অংশ ও শিয়ালদা-সল্টলেক সেক্টর ফাইভ অংশ (গ্রিন লাইন) এবং নিউ গড়িয়া-রুবি (অরেঞ্জ লাইন) রুটে শেষ মেট্রোর সময়সূচিতে অদলবদল করা হয়েছে।
একনজরে মেট্রোর নয়া সূচি-
নিউ গড়িয়া-দক্ষিণেশ্বর লাইনে আজ শেষ মেট্রোর সময়
-দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ: রাত ৯ টা ২৮ মিনিট।
-দমদম থেকে কবি সুভাষ: রাত ৯ টা ৪০ মিনিট।
-কবি সুভাষ থেকে দমদম: রাত ৯ টা ৪০ মিনিট।
-কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর: রাত ৯ টা ৩০ মিনিট।
আজ মঙ্গলবার হওয়ায় রাতে আরও দু’টি বাড়তি মেট্রো চলবে। রাত ১০ টা ৪০ মিনিটে নিউ গড়িয়া থেকে সেই মেট্রো ছাড়বে। যা দক্ষিণেশ্বরে পৌঁছাবে রাত ১১ টা ২৯ মিনিটে। একইভাবে দক্ষিণেশ্বর থেকে রাত ১০ টা ৪০ মিনিটে একটি মেট্রো ছাড়বে। রাত ১১ টা ২৯ মিনিটে নিউ গড়িয়ায় পৌঁছাবে।
পুজোর উপহার, কলকাতা রুটে বাড়তি উড়ান এয়ার ইন্ডিয়ার, কোন কোন শহর থেকে?
হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড লাইনে শেষ মেট্রোর সময়
– হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড: রাত ৯ টা ৪৫ মিনিট।
– এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দান: রাত ৯ টা ৪৫ মিনিট।
– শিয়ালদা-সল্টলেক সেক্টর ফাইভ লাইনে শেষ মেট্রোর সময়
– শিয়ালদা থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ: রাত ৯ টা ৩৫ মিনিট।
– সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদা: রাত ৯ টা ৪০ মিনিট।
নিউ গড়িয়া-রুবি লাইনে শেষ মেট্রোর সময়
– নিউ গড়িয়া থেকে রুবি: রাত ৮ টা।
– রুবি থেকে নিউ গড়িয়া: রাত ৮ টা।
কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে যে, মঙ্গলবার গ্রিন লাইনের হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড অংশে যাত্রীর সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে। গত সপ্তাহে মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ২৮ হাজার জন মেট্রোয় চড়েছিলেন। আর সেই সংখ্যাটা এবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজারে। অন্যদিকে, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ব্লু লাইনে প্রায় ৩ লাখ যাত্রী চলাচল করেছেন। আর শিয়ালদা-সল্টলেক সেক্টর ফাইভ অংশে যাত্রীর সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার।