ভারতবর্ষের ম্যাপের একেবারে শেষ বিন্দুতে তিন সাগরের কন্যাকুমারী (kanyakumari) স্বামী বিবেকানন্দের স্মৃতিমাখা শহর। সমুদ্রের তীরে দেবী কুমারী আম্মান মন্দির। আজও পার্বতী এখানে কুমারীরূপে শিবের প্রতীক্ষারত। কাছের লঞ্চঘাট। বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে যাওয়ার জন্য লঞ্চ ছাড়ছে। সাগরের মাঝে পাথুরে টিলার ওপর অজন্তা ও ইলোরার গুহামন্দিরের আদলে তৈরি রক টেম্পলটি। ব্রোঞ্জের অবয়বে দাঁড়িয়ে স্বামী বিবেকানন্দ। এছাড়া রয়েছে আরও এক বিশাল পাথরখন্ডের ওপর ১৩৩ ফুটের তামিল কবি তিরুভাল্লুভারের মূর্তি। কুমারী মন্দিরের কাছে রয়েছে গান্ধী মেমোরিয়াল। গান্ধিজীর চিতাভস্ম এখানে রাখা হয়েছিল।
কন্যাকুমারী থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে ১৮ শতকে গড়া পর্তুগিজদের দুর্গ ভেট্টাকোট্টা দেখে নেওয়া যায়। ১৩ কিলোমিটার দূরে সুচন্দ্রিম মন্দিরে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরের অধিষ্ঠান। বৈষ্ণব ও শৈব ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র তীর্থস্থান। ১৯ কিলোমিটার দূরে পদ্মনাভপুরমে রয়েছে ত্রিবাঙ্কুর রাজাদের রাজপ্রসাদ। ১৭ ও ১৮ শতকের প্রাচীন কারুশিল্প ও চিত্রসম্ভার দর্শনীয়।
কোথায় থাকবেন:
তামিলনাড়ু পর্যটনের হোটেল (০৪৬৫২-২৪৬২৫৭/৫৮) ভাড়া ৮০০-১,৯০০ টাকা
বেসরকারি হোটেল সমুদ্র (২৪৬১৬২) ভাড়া ১,২০০-২,২০০
খাওয়াদাওয়া:
কলার তৃইরি চিপস এখারকার প্রসিদ্ধ মুখরোচক খাবার। এছাড়া কটু পরোটা তামিলনাড়ুর ডেলিকেসি। পাঝা সরবত আরও এক লোভনীয় জিনিস, যা না খেলে পস্তাবেন।
কেনাকাটা:
হাতের তৈরি বিভিন্ন জিনিস কিনতে পারেন। বাঁশ, কাঠ দিয়ে তৈরি ঘর সাজানোর জিনিস এখানে জনপ্রিয়।