দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাটারদের দাপট, নাকি স্পিনারদের বিপর্যয়? ফাঁস পিচ রিপোর্ট!

আহমেদাবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে (India vs West Indies) ইনিংস ও ১৪০ রানে জয় পেয়ে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছে ভারতীয় দল (Indian Cricket Team)।  মাত্র…

India vs West Indies, Indian Cricket Team

আহমেদাবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে (India vs West Indies) ইনিংস ও ১৪০ রানে জয় পেয়ে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছে ভারতীয় দল (Indian Cricket Team)।  মাত্র আড়াই দিনে শেষ হওয়া ম্যাচে বেশি প্রয়োজনই হয়নি স্পিনারদের। কারণ লাল মাটির সবুজ পিচে আগুন ঝরিয়েছিলেন দুই পেসার জসপ্রীত বুমরাহ এবং মহম্মদ সিরাজ (India Cricket News)। তবে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হতে চলা দ্বিতীয় টেস্টে (Delhi Test) দেখা যেতে পারে ভিন্ন চিত্র।

Advertisements

দিল্লির পিচ ইতিমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। জানা গিয়েছে, এই পিচ তৈরি হয়েছে কালো মাটি দিয়ে। কিছুটা ঘাস রাখা হলেও, বেশিরভাগ অংশই ফাঁকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের পিচ ব্যাটারদের জন্য সহায়ক হয়ে থাকে। বিশেষ করে ম্যাচের প্রথম দুই দিনে। তবে পিচ শুকিয়ে গেলে স্পিনাররা সুবিধা পাবেন। ফলে টেস্ট যত এগোবে, উইকেটে টার্ন ও বাউন্স দেখা যেতে পারে।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখযোগ্য, ২০২৩ সালে শেষ বার দিল্লিতে টেস্ট হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। সেবারও তিন দিনের মধ্যে ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছিল। তবে এবার পিচে স্পিন ও পেস দু’রকম বৈচিত্র্য দেখা যেতে পারে। আউটফিল্ড দ্রুত হওয়ায় রান তুলতেও সুবিধা হবে ব্যাটারদের। বাউন্ডারির দৈর্ঘ্যও তুলনামূলকভাবে কম, এক্ষেত্রে ব্যাটারদের বাড়তি সুবিধা দিতে পারে।

দলের বর্তমান ফর্মও ভারতের পক্ষে কথা বলছে। প্রথম টেস্টে শতরান করেছিলেন লোকেশ রাহুল, ধ্রুব জুরেল এবং রবীন্দ্র জাডেজা। শুভমন গিলও বলেছিলেন, “আমরা এক নিখুঁত ম্যাচ খেলতে পেরেছি। ফিল্ডিং, বোলিং ও ব্যাটিং সব দিকেই ছাপ ফেলা গিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “পিচ ব্যাট করার জন্য ভালই ছিল, কয়েক জন বড় রান না পেলেও সামগ্রিক পারফরম্যান্স সন্তোষজনক।”

তবে দিল্লির পিচে টিম ম্যানেজমেন্টকে বোলিং কম্বিনেশন নিয়ে ভাবতে হতে পারে। তিন স্পিনার এবং দুই পেসার নিয়ে নামা দলকে পিচের আচরণ বুঝে কৌশল সাজাতে হবে। শুভমন বলেন, “একসঙ্গে এত ভাল স্পিনার থাকলে বোলিং পরিবর্তন কঠিন হয়। তবে বিকল্প থাকাও গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দলে এমন ক্রিকেটার রয়েছে, যারা নিজেই পার্থক্য তৈরি করে দিতে পারে।”

দলের মধ্যে একতা নিয়েও আশাবাদী শুভমন বলেন, “গত দেড়-দু’বছরে দলের মধ্যে বোঝাপড়া বেড়েছে। অধিনায়ক হিসেবে এটা দেখতে পেয়ে ভালো লাগে। তবে আমরা এখনও শিখছি এবং সেটাই আমাদের এগিয়ে রাখছে।”

সব মিলিয়ে, দিল্লি টেস্টে ইনিংসে জয়ের পুনরাবৃত্তি কতটা সম্ভব? নির্ভর করছে একদিকে ভারতীয় ব্যাটারদের ধারাবাহিকতা এবং অন্যদিকে বোলারদের কৌশল প্রয়োগের দক্ষতার উপর। পিচ ব্যাটিং সহায়ক হলেও, দ্বিতীয় ইনিংসে স্পিনাররা ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই পিচে কতটা ঘুরে দাঁড়াতে পারে, তা দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা।