রাশিয়ার সঙ্গে সদ্ভাব, জি সেভেন আমন্ত্রিত তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে ভারত 

 চলতি বছরের জুন মাসে জি-৭ গোষ্ঠীর বৈঠক হওয়ার কথা। এবার জি-৭ গোষ্ঠির বৈঠক হতে চলেছে জার্মানিতে। এই বৈঠকের অতিথি তালিকা থেকে ভারত বাদ পড়তে পারে…

রাশিয়ার সঙ্গে সদ্ভাব, জি সেভেন আমন্ত্রিত তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে ভারত 

 চলতি বছরের জুন মাসে জি-৭ গোষ্ঠীর বৈঠক হওয়ার কথা। এবার জি-৭ গোষ্ঠির বৈঠক হতে চলেছে জার্মানিতে। এই বৈঠকের অতিথি তালিকা থেকে ভারত বাদ পড়তে পারে বলে সূত্রের খবর।

 রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত রাশিয়ার দিকে ঝুঁকে থাকার কারণেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে রাশিয়া-ইউক্রেন আক্রমণ করে। আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দেশগুলি রুশ আগ্রসনের কড়া নিন্দা করে। কিন্তু এই যুদ্ধের জন্য ভারত সরাসরি রাশিয়াকে দায়ী করেনি। বরং ভারত আচার-আচরণে এটা বুঝিয়ে দিয়েছে যে, তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যেতে চায় না। 

   

ভারতের এই ভূমিকায় যথেষ্ট অসন্তুষ্ট আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশ। এবার জি-৭ বৈঠক হতে চলেছে জার্মানির মিউনিখের ব্যাভেরিয়া শহরে। সেই বৈঠকে ভারতকে আদৌ আমন্ত্রণ জানানো হবে কিনা সে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে চিন্তাভাবনা করছে জার্মানি। 

সূত্রের খবর, জার্মানি চাইছে ভারতকে বাদ দিয়ে আসন্ন বৈঠকে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইন্দোনেশিয়া সেনেগালকে আমন্ত্রণ করতে। তবে জার্মান সরকারের একাংশ অবশ্য ভারতকে এভাবে সরাসরি বাদ দেওয়ার পক্ষে নয়। 

ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের আগে জি-৭ বৈঠকের আমন্ত্রিত দেশগুলির তালিকায় ভারতের নাম উপরের দিকেই ছিল। কিন্তু যুদ্ধ শুরুর পর সেই পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পাল্টে গিয়েছে। ভারত পশ্চিমী দুনিয়ার সুরে সুর মিলিয়ে সরাসরি ইউক্রেনকে সমর্থন করেনি। বরং তারা ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছে যে, নয়াদিল্লি মস্কোর পাশেই আছে। সে কারণেই জার্মানি আসন্ন বৈঠকে ভারতকে আমন্ত্রণ জানানোর ব্যাপারে দ্বিধায় ভুগছে। 

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের কারণে সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার বিরুদ্ধে দুবার প্রস্তাব পাশ হয়েছিল। কিন্তু প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটিতে ভোটদানে বিরত ছিল ভারত। ভারতের এই ভূমিকায় আদৌ খুশি নয় জার্মানি। সেকারণেই তারা জি-৭ বৈঠকে ভারতকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে এখনও পর্যন্ত যথেষ্টই দ্বিধায় রয়েছে। 

তবে জার্মানি ভারতের উপর অসন্তুষ্ট হলেও তারাও একই কাজ করছে। অর্থাৎ জার্মানি এখনও রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস আমদানি করছে। যে কারণে ইউক্রেন ও পোল্যান্ডের কাছেও জার্মানিকে যথেষ্ট সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জার্মানি জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার ওপর নির্ভরতা কমাতে সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে।

Advertisements