শনিবার সকাল থেকে বঙ্গের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে ঝিরিঝিরে বৃষ্টি (Rain) এবং সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। এই পরিস্থিতি বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছে কৃষকদের(farmers), যারা এখন পাকা ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ত। বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার ফলে কৃষকরা (farmers) ব্যাপক উদ্বেগে রয়েছেন, কারণ এখনই ধান কাটা সময়। এমন আবহাওয়ায় পাকা ধান (rice crops) মাঠে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা তাদের বড় ক্ষতির (damaging) কারণ হতে পারে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যা আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। বিশেষ করে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, এবং অন্যান্য কিছু জেলার কৃষকরা এখন চিন্তিত। তাদের ভয়, বৃষ্টির কারণে মাঠে পাকা ধান নষ্ট হয়ে যাবে, এবং এতে তাদের কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। গ্রামীণ হাওড়া, উলুবেরিয়া, বাগন, শ্যামপুর, উদয়নারায়ণপুর, আমড়া এবং আশেপাশের এলাকাগুলোতে হালকা বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছে, যা ধান কাটার জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে।
এখন পাকা ধান কাটার মৌসুম চললেও, এমন সময়ে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার কারণে মাঠে ধান পড়া, নষ্ট হওয়া বা জল জমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষকরা মনে করছেন, যদি এই অবস্থায় ধান না কাটানো যায়, তাহলে তাদের আর্থিক ক্ষতি হবে এবং আগামী দিনে তাদের জমিতে কাজ করা কঠিন হয়ে যাবে। পুজোর সময়ও বৃষ্টির কারণে অনেক কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, এবং এখন আবার একই পরিস্থিতি তৈরি হতে যাচ্ছে।
বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার কারণে কৃষকদের শুধু ধান নষ্ট হওয়া নয়, জমির উর্বরা শক্তি কমে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। এই সময়টায় জমির ধান পড়ে গেলে বা নষ্ট হলে, কৃষকদের জন্য তা বড় ধাক্কা হতে পারে। কৃষকরা কষ্ট করে ধান উৎপাদন করেছেন, কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে তাদের পরিশ্রম বৃথা যেতে পারে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা আরও বাড়তে পারে এবং এর ফলে কৃষকদের ক্ষতির পরিমাণও বাড়বে। কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে, সরকারি সাহায্য এবং সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কৃষকদের জন্য উপযুক্ত পরামর্শ এবং সহায়তা দেওয়া গেলে তারা কিছুটা হলেও এই দুঃসময়ে সহায়ক হতে পারেন।
এখন প্রশ্ন হলো, কৃষকরা কীভাবে এই ঝুঁকি মোকাবিলা করবেন এবং কীভাবে তাদের উৎপাদন পুনরুদ্ধার করবেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের আবহাওয়ায় পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করলে কিছুটা হলেও ক্ষতি কমানো সম্ভব। তবে, এখনই সময় কৃষকদের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার।