Bangladesh: জঙ্গলঘেরা সীমান্তে জঙ্গি ও বাংলাদেশ সেনার গুলির লড়াই, রক্তাক্ত পরিস্থিতি

বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর অতর্কিত হামলায় মৃত্যু হয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh) সেনার এক সদস্য। মায়ানমার সীমান্তের কাছে সংঘর্ষে হামলাকারীদের তিনজনকে খতম করা হয় বলেও খবর। ঘটনার কেন্দ্র বাংলাদেশের…

Bangladesh: জঙ্গলঘেরা সীমান্তে জঙ্গি ও বাংলাদেশ সেনার গুলির লড়াই, রক্তাক্ত পরিস্থিতি

বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর অতর্কিত হামলায় মৃত্যু হয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh) সেনার এক সদস্য। মায়ানমার সীমান্তের কাছে সংঘর্ষে হামলাকারীদের তিনজনকে খতম করা হয় বলেও খবর। ঘটনার কেন্দ্র বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দারবান।

এই অঞ্চলে দীর্ঘ সময় ধরে স্বশাসনের দাবিতে রক্তাক্ত সংঘর্ষ চলেছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতৃত্বে। পরে একটি অংশ অস্ত্র নামিয়ে নেয়। বর্তমানে কয়েকটি গোষ্ঠীতে বিভক্ত জনসংহতি সমিতি। পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিদের প্রতিনিধি জনসংহতি সমিতির নেতা সন্তু লারমার সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।

   

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, হামলায় একদা বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস (শান্তিবাহিনী) সদস্যরা। বুধবার রাতে টহল চলাকালীন বান্দারবানের রুমা উপজেলার রুমা ও রাঙামাটি সীমান্তবর্তী দুর্গম বতিপাড়া এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর জানাচ্ছে, সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে ৩ জেএসএস সদস্য নিহত। আহত হয়েছেন ২ জন সেনা। তল্লাশি চালিয়ে থেকে ১টি এসএমজি, ৩টি দেশীয় বন্দুক, সেনাবাহিনীর আদলে তৈরি ৩ সেট পোশাক, ২৮০ রাউন্ড গুলিসহ বিপুল পরিমাণে গোলা-বারুদ উদ্ধারে কথা জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

তবে সেনাবাহিনীর তরফে নিহত অন্য ৩ ব্যক্তিকে জনসংহতি সমিতির সদস্য দাবি করা হলেও তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

রাজধানী ঢাকা থেকে বান্দারবান জেলার দূরত্ব প্রায় ৩২৫ কিলোমিটার। মায়ানমারের চিন ও রাখাইন প্রদেশ সংলগ্ন এই এলাকা।