শহরে এবার মহিলা ‘সিরিয়াল কিলার’! অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন দুই নিরপরাধ, এরপর…

এবার শহরে ‘সিরিয়াল কিলার’ (Serial Killer)। তিনজন মহিলা সদস্যের গ্যাঙ সেই ২০২২ সাল থেকে মানুষ মারার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। জানা গিয়েছে, এ পর্যন্ত মোট ৪…

Serial-Killer Gang

এবার শহরে ‘সিরিয়াল কিলার’ (Serial Killer)। তিনজন মহিলা সদস্যের গ্যাঙ সেই ২০২২ সাল থেকে মানুষ মারার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। জানা গিয়েছে, এ পর্যন্ত মোট ৪ জন নিরপরাধের প্রাণ কেড়েছে তারা। কিন্তু অবশেষে পুলিশের ফাঁদে পা দিতেই হল। 

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা প্রথমে অচেনা মানুষের সঙ্গে ছলেকৌশলে বন্ধুত্ব করত। সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়া মাত্রই পানীয় পান করানোর জন্য অনুরোধ জানাত তারা। কিন্তু একবার সেই পানীয় গ্রহণ করলে আর রক্ষা নেই, সোজা ভব পাড়! কারণ কী শুনবেন? 

   

সেই পানীয়ে মেশানো থাকত সাংঘাতিক ‘বিষাক্ত’ বিষ ‘সায়ানাইড’। যা পান করে কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই প্রাণ হারাতেন সাধারণ মানুষ। তারপর তাদের সঙ্গে থাকা যাবতীয় মূল্যবান জিনিস লুঠ করা হত। পুলিশ জানিয়েছে, এরা প্রত্যেকেই অন্ধ্রপ্রদেশের তেনালি জেলার বাসিন্দা। তারা এ পর্যন্ত চার জনকে মেরেছে। যার মধ্যে আবার তিনজন মহিলা।

সম্প্রতি তারা নাগুর বি নামে এক মহিলাকে হত্যা করে এবং তারপরে আরও দু’জনকে হত্যা করার চেষ্টা করে। তবে তারা বেঁচে যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশের এক আধিকারিক জানায়, “গত ১৩ জুন চেব্রোলু মণ্ডলের বান্দলামুড়ি গ্রামের বাসিন্দা নাগুর বি নামে এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলাকে খুন করে অভিযুক্ত মহিলারা। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তের অংশ হিসাবে পুলিশ রজনী, ভেঙ্কটেশ্বরী এবং রামানাম্মা নামে তিন মহিলাকে চিহ্নিত করেছে যারা নাগুর বি’র হত্যাকারী। 

পুলিশ আরও জানায়, “মাদিয়ালা ভেঙ্কটেশ্বরী নামে এক অভিযুক্ত অতীতেও অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। প্রধান অভিযুক্ত ভেঙ্কটেশ্বরী এর আগে স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করেছে এবং অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের জন্য সে বিদেশেও গিয়েছিল। সেখানে সাইবার অপরাধে জড়িত ছিল সে।” 

জানা গিয়েছে, এই সিরিয়াল কিলাররা (Serial Killer) তাদের এক বন্ধুর থেকে সায়ানাইড পেত। সে পেশায় একজন এসি মেকানিক। আবার সোনার গয়নার কারিগরদের থেকেও এই বিষ জোগাড় করত তারা। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা সায়ানাইড সহ আরও অন্যান্য জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তেনালির ঘটনা কেরালায় সায়ানাইড হত্যাকাণ্ডের হাড় হিম করা স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে, যেখানে ১৪ বছরে এক মহিলা তাঁর স্বামীর পরিবারের ছয় সদস্যকে হত্যা করেছিলেন।