গতবার যেখানে শেষ হয়েছিল সেখান থেকেই সিজন শুরু করতে মরিয়া এফসি গোয়া (FC Goa)। দাপুটে ফুটবল খেলেও সেবার ডুরান্ড কাপে নজর কাড়তে পারেনি মানোলো মার্কেজের ছেলেরা। সেই হতাশা কাটিয়ে দেশের প্রথম
ডিভিশন ফুটবল লিগ তথা আইএসএলে ভালো পারফরম্যান্স করার পরিকল্পনা থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। সুপার সিক্সে দল স্থান করে নিলেও পরবর্তীতে ধাক্কা খেতে হয়েছিল বেঙ্গালুরু এফসির কাছে। সুনীল ছেত্রীদের কাছে পরাজিত হয়েই ছিটকে যেতে হয়েছিল টুর্নামেন্ট থেকে। এমনকি শিল্ডে ও খুব একটা সুবিধা করা সম্ভব হয়নি।
স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট হতাশা দেখা দিয়েছিল সমর্থকদের মধ্যে। তবে শেষ পর্যন্ত কলিঙ্গ সুপার কাপ ঘরে তুলে মরসুমে ইতি টেনেছিল ইন্ডিয়ান সুপার লিগের এই ফুটবল ক্লাব। সেবার ওডিশার বুকে খালিদ জামিলের শক্তিশালী জামশেদপুর এফসিকে টেক্কা দিয়ে কয়েক বছরের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার এই খেতাব নিশ্চিত করেছিল ইকের গ্যারেক্সোনারা। সেই নিয়ে খুশির আবহ লক্ষ্য করা গিয়েছিল গোয়ান ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। এমনকি এই সর্বভারতীয় কাপ টুর্নামেন্ট জয় করার সুবাদেই এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলার ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছিল গোয়া।
যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল আল নাসের থেকে শুরু করে আল-জাওরার মত শক্তিশালী দলগুলির বিরুদ্ধে। একেবারেই সুবিধে করা সম্ভব না হলেও বিদেশি দলগুলির বিরুদ্ধে লড়ার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই এবারের সুপার কাপ জিততে চাইছে এফসি গোয়া। গত বৃহস্পতিবার টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে পেট্র ক্র্যাটকির মুম্বাই সিটি এফসির বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল বোরহা হেরেরাদের দল। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে একটি গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে রয়েছে গিয়ে নেয় গতবারের সুপার কাপ জয়ীরা। যারফলে আগামী রবিবার নিজেদের ঘরের মাঠেই ফাইনাল ম্যাচে নামবে এই ফুটবল ক্লাব।
যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে অস্কার ব্রুজোর ইস্টবেঙ্গল। খাতায় কলমে প্রতিপক্ষ দলের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে গোয়া। কাজেই প্রতিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিতে হয়তো খুব একটা সমস্যা হবে না মানোলোর ছেলেদের। তাই সেমিফাইনাল ম্যাচের পর যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী থাকতে দেখা যায় ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন তারকা তথা গোয়া দলের বর্তমানে ফুটবলার জাভিয়ের সিভেরিও টোরোকে। তিনি বলেন, ‘সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের পাশে থাকার জন্য। আবার দেখা হবে রবিবার। স্টেডিয়ামে লড়াই হবে। চলুন পুনরায় সাফল্যের জন্য সকলে তৈরি থাকি।’


