‘মুকুল রায় ব্যাগ ভর্তি টাকা কালীঘাটে পৌঁছে দিতেন’

তৃণমূলে (TMC) থাকাকালীন যোগ্য সম্মান না পেয়েই দল ছেড়েছিলাম। বিজেপি (BJP) যোগদানের পর বারবার একথা বলেছেন এক সময় তৃণমূলের সেকেণ্ড-ইন-কম্যান্ড মুকুল রায়। পরে ফিরেছেন তৃণমূলেই। ঘরের ছেলে মুকুলকে (Mukul Roy) সাদরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো (Mamata Banerjee) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু মাঝের বছরগুলি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে কেন গেলেন মুকুল রায়?

Advertisements

Mukul Roy is the leader of which party

প্রাক্তন টিএমসি বিধায়ক দীপক ঘোষের দাবি, মুকুল রায় তো তৃণমূলের ঘরের ছেলে। আমার কাছে যে তথ্য আছে তা আগামী দিনে তুলে ধরব৷ মুকুল রায়কে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিজেপিতে৷ এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুকুল রায় মিলেই করেছিলেন৷ কয়েক হাজার কোটি টাকা কীভাবে ডিসপোসাল করা যায়? কারণ, চিটফান্ডের তখন মামলা হয়ে গেছে। প্রায় ১১৩টি চিটফান্ড গজিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে৷

দীপক ঘোষের দাবি, সভাপতি পদে থেকে কাগজপত্র দেখতেন সুব্রত বক্সি। টাকা পয়সার বিষয় ছিল মুকুল রায়ের দায়িত্বে। গণি খান চৌধুরী তাকে কাচরাপাড়ার ওয়াগন ব্রেকারদের অ্যাকাউন্ট্যান্ট বলত৷ এখন সবাই তার ইতিহাস জানে। অসুস্থতার অজুহাতে সল্টলেকের একটি ফ্ল্যাটে লুকিয়ে রয়েছে। মুকুল রায় ব্যাগ ভর্তি টাকা কালীঘাটে পৌঁছে দিতেন৷

Mukul Roy

Advertisements

তৃণমূলের হাতে ধরেই কি চিটফান্ডের জন্ম হয়েছিল? এই অভিযোগ বারবার একাধিক দলের তরফে তোলা হয়েছে। এবিষয়ে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্য, চিটফান্ড মামলায় কুণাল ঘোষকে ধরা হয়েছিল শো হিসেবে৷ পুরো জিনিসটা সাজানো গপ্পো৷ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পরামর্শে কুণাল ঘোষকে মিডিয়া ডিরেক্টর করা হয়েছিল৷ ম্যাট্রিক পাশ লোকের মাইনে ছিল ১৫ লক্ষ টাকা।

উল্লেখ্য, তৃণমূল বনাম বিজেপির দ্বন্দ্ব রাজ্য রাজনীতিতে লেগেই রয়েছে৷ এরই মধ্যে নয়া সংযোজন অভিষেক বনাম শুভেন্দু৷ সেখান থেকেই উঠে এল দীপক ঘোষের নাম৷ যার বই উল্লেখ করে সরাসরি তৃণমূলের বর্তমান সেকেন্ড ইন কম্যান্ডকে আক্রমণ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা৷ তৃণমূল নিয়ে দীপক ঘোষের একের পর এক মন্তব্য এখন তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলছে।