১৯৯০ সালে গুন্টার উভেন্টস নামে এক সাত বছরের ছাত্রকে ক্লাসের মধ্যেই চরম অপমান করেছিলেন মারিয়া ভারলিন্ডেন নামে এক শিক্ষিকা। সেই অপমানের কথা ভুলতে পারেনি ছাত্রটি। ওই শিক্ষিকার ওপর তার প্রতিশোধ স্পৃহা ক্রমেই বেড়েছে। ২০২০ সালে নিজের বাড়িতেই ৫৯ বছর বয়সী ওই শিক্ষিকা নৃশংসভাবে খুন হন। ওই শিক্ষিকাকে ১০১ একবার ধারালো অস্ত্রের কোপ মারা হয়েছিল। এরপর পুলিশ বহু চেষ্টা করেও ওই শিক্ষিকার খুনিকে ধরতে পারেনি। ভারলিন্ডেন খুনের পর কেটে গিয়েছে আরও ১৬ মাস।
এরইমধ্যে হঠাৎই বৃহস্পতিবার গুন্টার নিজে এসে পুলিশের কাছে তাঁর অপরাধের কথা স্বীকার করেন। গুন্টারের বক্তব্যের পর ওই শিক্ষিকার খুনের কিনারা হল। গুন্টার জানিয়েছেন, শুধুমাত্র অপমানের বদলা নিতেই তিনি ৩০ বছর পর ওই শিক্ষিকাকে খুন করেছেন। চাঞ্চল্যকর এই খুনের ঘটনাটি ঘটেছে বেলজিয়ামে। পুলিশ জানিয়েছে ২০২০ সালে ওই শিক্ষিকা খুন হওয়ার পর তারা খুনিকে ধরতে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়েছিলে। এমনকী, মৃতের ডিএনএ টেস্ট করার পরেও এই হত্যাকাণ্ডের কোনও মীমাংসা করা যায়নি। শেষ পর্যন্ত ২৭ বছরের গুন্টার যদি নিজে এসে ঘটনাটি স্বীকার না করত তবে অপরাধী কোনও দিনে হয়তো ধরা পড়ত না।
বেলজিয়ামের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ২০০২ সালে ওই শিক্ষিকাকে নৃশংসভাবে কোপানো হয়েছিল। ওই শিক্ষিকার স্বামীর অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্তে নামে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ এটা নিশ্চিত হয় যে, নিতান্তই প্রতিশোধস্পৃহার কারণেই কেউ ওই শিক্ষিকাকে এভাবে খুন করেছে। এই খুনের সঙ্গে চুরি-ডাকাতির কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ ওই শিক্ষিকার মৃতদেহের পাশেই পড়েছিল তাঁর মানিব্যাগ এবং দামি মোবাইল ফোন। মানিব্যাগে প্রচুর টাকা ছিল। কিন্তু সে সব ছুঁয়েও দেখেনি খুনি। বেশ কিছুদিন তদন্ত চলার পর পুলিশ তদন্ত বন্ধ করে দেয়। কারণ খুনিকে তারা ধরতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত গুন্টার নিজেই এই খুনের কথা স্বীকার করলেন।