পুলিশের মাথা কেটে নিল বিদ্রোহীরা। এমন নারকীয় ঘটনার সাক্ষী কাজাখস্তান। ভয়াবহ পরিস্থিতি মধ্য এশিয়ার এই দেশে।
রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সরকারের পতন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিদ্রোহ হয়েছে আরও রক্তাক্ত। পুলিশের গুলিতে বেশ কয়েকজন বিদ্রোহী নিহত। সবমিলে কাজাখস্তান যেন তালিবানস্তানে পরিণত হয়েছে।
বিবিসি জানাচ্ছে, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির জেরে কাজাখস্তানে চরম বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। গত শনিবার এলপিজির দাম দ্বিগুণের বেশি বাড়ানো হয়। এরপর দিন দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের তেলসমৃদ্ধ প্রদেশ মানজিস্তাউয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে এই বিক্ষোভ দেশটির অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে।
কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, বুধবার (৫ জানুয়ারি) দেশটির প্রধানমন্ত্রী আসকার মমিনের নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন প্রেসিডেন্ট কাসিম জোমার্ট তোকায়েভ।
কাজাখস্তানের জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের একটি খবরে বিশ্ব স্তম্ভিত। রিপোর্টে বলা হয়েছে বিক্ষোভকারীদের হামলায় ১৩ জন নিরাপত্তারক্ষী মৃত। দুই পুলিশ কর্মীর মাথা কেটে নিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। ৩০০ জনের বেশি সরকারি কর্মকর্তা জখম হয়েছেন।
বোমা মারছে বিক্ষোভকারীরা। গুলি ছুঁড়ছে পুলিশ। গ্রেনেড চার্জ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করছে রক্ষীরা। জানাচ্ছে রুশ সংবাদ সংস্থা তাস নিউজ।
রয়টার্স জানাচ্ছে,বৃহস্পতিবার বিক্ষোভকারীদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছে কাজাখ পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা সরকারি ভবনের ওপর হামলা চালাতে চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি চালায়। গুলিতে ডজন খানেক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে।
কাজাখ পুলিশের মুখপাত্র সালতানেট আজিরবেক জানান, ‘চরমপন্থী শক্তি’ রাতজুড়ে প্রশাসনিক ভবন ও পুলিশের বিভাগে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। ডজন খানেক হামলাকারীকে নির্মূল করা হয়েছে এবং তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। ২০০ এর বেশি জনকে আটক করা হয়েছে।
সরকার পতনের পর দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার কাছে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করতে অনুরোধ জানিয়েছে। তাস জানাচ্ছে, রুশ সামরিক বাহিনী ঢুকবে কাজাখস্তানে।