শেষ পর্যন্ত কড়া বিধিনিষেধের কাছে হার মানল দিঘার পর্যটন শিল্প

করোনার তৃতীয় ঢেউকে হারাতে আগে থেকেই প্রস্তুতি চলছে সর্বত্র। দিঘা, মন্দারমনি সহ বেশ কিছু পর্যটনকেন্দ্রে কড়া বিধিনিষেধ জারি করেছে প্রশাসন। বিশেষ করে লকডাউন কিছুটা হালকা…

Travel

short-samachar

করোনার তৃতীয় ঢেউকে হারাতে আগে থেকেই প্রস্তুতি চলছে সর্বত্র। দিঘা, মন্দারমনি সহ বেশ কিছু পর্যটনকেন্দ্রে কড়া বিধিনিষেধ জারি করেছে প্রশাসন। বিশেষ করে লকডাউন কিছুটা হালকা হতেই ভিড় উপচে পড়ছিল দিঘাতে। কার্যত সেই ভিড়কে সামলাতে পথে নামে কাঁথি প্রশাসন।

   

প্রশাসনের তরফ থেকে জানান হয়, এবার থেকে দিঘায় আসতে হলে পর্যটকদের করোনা টিকার দুটি ডোজের প্রমাণপত্র অথবা ৪৮ ঘণ্টা আগের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট লাগবে। এরপর থেকেই কমছিল পর্যটকের সংখ্যা। তবে পরবর্তীতে হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের জন্য করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছিলেন পর্যটকরা।

তবে প্রশাসনের সক্রিয়তায় বেশ কিছু হোটেলে অসংগতি ধরা পরে। হোটেলের অতিথিদের সঠিক নথি দেখাতে না পারায়, বেশ কিছু হোটেলকে সিল করে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই কমেছে পর্যটকদের সংখ্যা। তাই হোটেল মালিকরা সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা হোটেল বন্ধ করে দেবেন। দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুশান্ত পাত্র জানান, ‘পর্যটক প্রায় নেই বললেই চলে। এই পরিস্থিতিতে হোটেল খুলে রেখে ভারী লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। বিদ্যুতের বিল দিতে পারছি না, স্টাফদের ঠিক মতো মাইনে দিতে পারছি না। তাই হোটেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে’। সব মিলিয়ে কিছুদিন আগের দিঘার ছবির সঙ্গে বর্তমানের দিঘার কোনও মিল নেই। এখনকার দিঘার ছবি আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছে এখনও করোনাকে হারানো যায়নি।