লাগাতার দুর্নীতিতে জেরবার তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। কালো টাকা উদ্ধারের একের পর এক ঘটনায় বিব্রত মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বিরোধীদের কটাক্ষ, কালীঘাটে আছে আসল চোর! তবে সরকারের দাবি, কেন্দ্রের মোদী সরকারের নির্দেশে তদন্তের নামে অতি সক্রিয়তা দেখাচ্ছে ED CBI সহ কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি।
রাজ্যজুড়ে অভিযান চলছে তাতে বেজায় অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে তৃণমূল নেতাদের। ১৪ তারিখ থেকে শুরু বিধানসভার অধিবেশনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনা হচ্ছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। সোমবার একথা জানালেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে জেলে রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটি নগদ টাকা, সোনার গয়না ও বিদেশি মুদ্রা। গোরু পাচার মামলায় সিবিআই হেফাজতে জেলে আছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত ম়ন্ডল। বিপুল কালো টাকা উদ্ধারের পর জেলে তৃ়নমূল নেতা ও হালিশহরের পৌরপতি। আর কয়লা পাচারের তদন্তে মন্ত্রী মলয় ঘটককে জেরা, দিল্লিতে তলব। কলকাতায় মোবাইল অ্যাপ গেমিং চক্রী আমির খানের ঘর থেকে কোটি কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তার সঙ্গে তৃণমূল সংযোগের অভিযোগে আরও বিড়ম্বনায় শাসক দল। তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের শ্যালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদে চিঠি ও তার থাইল্যান্ড যাওয়া রোখা নিয়ে বিতর্ক চরমে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের নির্দেশে তদন্ত করতে নেমে ক্রমাগত একাধিক নেতাদের নাম জড়াতে শুরু করেছে। সিবিআই ও ইডির জোড়া চাপে মানিক ভট্টাচার্য ওপ প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীরা। এখনও অবধি বহু নেতা সিবিআইয়ের স্ক্যানারে রয়েছে বলে জানা গেছে।
তৃ়ণমূল নেতাদের অভিযোগ, বেছে বেছে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে ইডি ও সিবিআই দিয়ে প্রতিনিয়ত ভয় দেখানো হচ্ছে। ইডি ও সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই নতুন নিন্দা প্রস্তাব আনছে সরকার। পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই বিষয়ে নোটিসও দিয়েছেন সরকারি দলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ।