তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান দ্বন্দ্বের মধ্যে চিন (China) তার পারমাণবিক (Nuclear Warheads) মজুদ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। কিয়োডো নিউজ সূত্রের উদ্ধতি দিয়ে জানিয়েছে, চিন ২০৩৫সালের মধ্যে তার পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা ৯০০-এ উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে। চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি একটি নীলনকশা তৈরি করেছে৷ যা চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং অনুমোদন করেছেন। এই নীলনকশা অনুযায়ী, আমেরিকার বিরুদ্ধে তার সেনাবাহিনীর শক্তি বাড়াতে জোরদার কাজ করছে চিন।
আমেরিকাও চিনের এই উদ্দেশ্য বুঝতে পেরেছে। ২০২২সালে আমেরিকাও বলেছিল যে চিন তার পারমাণবিক মজুদ বাড়ানোর জন্য কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছিল, চিন ২০৩৫ সালের মধ্যে তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা ১৫০০-তে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে। এখন সর্বশেষ প্রতিবেদনেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ২০৩৫ সালের মধ্যে চিনা সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের কাজ শেষ হবে। কিছু বিদেশী বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন যে চিন পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়ে তার প্রথম ব্যবহার না করার নীতি পরিত্যাগ করতে পারে।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসন সত্ত্বেও ন্যাটো দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি ব্যবস্থা নেয়নি। চিন মনে করে এর কারণ হচ্ছে রাশিয়ার কাছে পরমাণু অস্ত্রের বড় মজুদ রয়েছে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাশিয়ার কাছে বর্তমানে ৫৯৭৭টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। যেখানে আমেরিকার কাছে ৫৪২৮টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। চিন তার পরমাণু অস্ত্র ২০২৭ সালের মধ্যে ৫৫০ এবং ২০৩৫ সালে ৯৯-এ উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে।
চিনের গুপ্তচর বেলুন মার্কিন আকাশে প্রবেশ করার পরে এবং আমেরিকা এটিকে লক্ষ্যবস্তু করার পরেও, দুই দেশের সম্পর্কের কিছুটা উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এর আগে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে আমেরিকা ও চিনের সম্পর্কে উত্তেজনা দেখা দেয়।