BJP: দলবদলুদের হাতে দল,‌ সায়ন্তনের চিঠি জেপি নাড্ডাকে

sayantan basu

বিজেপিতে(BJP) কান পাতলেই শোনা যায় আদি বনাম নব্যের লড়াই। বছর না ঘুরলেও রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন এমনকি জায়গা পাননি কোনও জেলা কমিটিতেও। বিজেপিতে তবে কী ব্রাত্য সায়ন্তন বসু? বহুদিন ধরে দলের অন্দরে এই প্রশ্ন ঘোরপাক শুরু করেছিল। শুক্রবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে চিঠি পাঠান সায়ন্তন বসু। দলবদলুরা দল চালাচ্ছেন, সরাসরি এই অভিযোগ করে যে জেপি নাড্ডাকে চিঠি পাঠিয়েছেন সায়ন্তন। যা রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। 

Advertisements

গত বছরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। সেই জায়গায় আনা হয় বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে। তারপর থেকেই একাধিক কমিটি থেকে বাদ পড়েন বহু পুরাতন নেতারা। জেলা সংগঠন থেকে রাজ্য সংগঠনেও প্রাধান্য পান তৃণমূল থেকে আসা নেতারা। এজন্য সাংগঠনিক সভাপতি অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেছে বিজেপির একাংশের।

জেপি নাড্ডাকে পাঠানো ‌চিঠিতে সায়ন্তন বসু অভিযোগ তুলেছেন, ‘তৃণমূল থেকে আসা নেতারা রাজ্য বিজেপি চালাচ্ছেন’। একইসঙ্গে সায়ন্তন বসুর অভিযোগ, ‘সিবিআই এবং ইডি-র ভয় দেখিয়ে আরও তৃণমূল নেতাদের ভাঙিয়ে দলে আনার চেষ্টাও চলছে’। চিঠিতে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে তিনি লিখেছেন,’বাংলায় বিজেপি মূলনীতি নিয়ে লড়াই করছে না। মানুষের কাছে এমন ধারণা তৈরি হচ্ছে যে, সিবিআই, ইডির সমনের ভয়ে আরও অনেকে বিজেপিতে যোগ দেবেন। এরজন্য রাজ্য বিজেপির উপরে মানুষের ভরসা কমছে। 

Advertisements

যদিও রাজ্য বিজেপিতে এই অভিযোগ একেবারেই অমূলক নয়। এমনকি বিধানসভা নির্বাচনের পর অনেকেই দলবদল করেছেন। আবার অনেকে রাজনীতি থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখেছেন। এতে সাংগঠনিকভাবে বিপর্যয় আসতে চলেছে বিজেপির জন্য। বরং বিরোধী শক্তি হিসাবে উঠে আসছে বামেরা। আগামী দিনে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। সেই জায়গা থেকে আগামী দিনে বাংলার বিজেপি নিয়ে কী পদক্ষেপ নেন দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের নেতারা? সেটাই দেখার।