SSC দুর্নীতি কান্ডে জাল ছড়িয়েছে বহুদূর। দুর্নীতি কাণ্ডে প্রথমেই নাম উঠেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর সুপারিশ করেছে আদালত। এবার সেই একই দাবি করলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
রবিবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে মেদিনীপুরের সাংসদ জানান, পার্থবাবুর পদত্যাগ করে নেওয়া উচিত। যেভাবে উনি দৌড়ে পালাচ্ছেন বাঁচার জন্য। এর মানে এই দাঁড়ায়, তিনি অন্যায়-অপরাধের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। নৈতিকতার আধারে পার্থবাবুর উচিত্ পদত্যাগ করে নেওয়া। একজন মন্ত্রী হিসেবে তিনি যেভাবে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন বাঁচার জন্য, সেই কারণে ওনার পদত্যাগ করে বাকি কাজ করা উচিত্।
একইসঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, যদিও, তৃণমূল সরকার নৈতিকতার ধার-ধারে না। তাই মন্ত্রী- নেতাদের বাঁচাতে সাধারণ মানুষের কোটি-কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। সমস্ত চাকরির পরীক্ষাতেই কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। আর উপায় না দেখে চাকরি প্রার্থীরা কোর্টে গিয়েছেন। আমরা আশা করব সকলে ন্যায় বিচার পাবেন। কোর্ট সঠিক রায় দেবে। প্রত্যেক অপরাধী শাস্তি পাবে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চরম বিপাকে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। কারণ, বিচারপতির অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন এসএসসি নিয়োগ মামলায় সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে যাতে কড়া পদক্ষেপ না করে। কিন্তু, সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর আর্জি খারিজ করে দেয়। প্রয়োজনে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই।
SSC দুর্নীতি কাণ্ডে শুধু প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নয়, নাম জড়িয়েছে বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারির নাম। মেধাতালিকায় নাম না থাকা সত্বেও তার মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী পেয়েছেন চাকরি। গত ৪৩ মাস ধরে তিনি বহাল তবিয়তে করে গিয়েছেন শিক্ষিকার কাজ। অথচ মেধা তালিকায় নাম ছিল না তাঁর। মেধা তালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও কি করে পেলেন তিনি চাকরি? কে সুপারিশ করেছিল তাঁকে? এই নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।