Bay leaves: ডায়াবেটিস রোগের জন্য অত্যন্ত উপকারী এই পাতা, জানতেন কি ?

প্রত্যেকেরই রান্নাঘরে রান্নার মশলা হিসাবে বহুল ব্যবহৃত হয় তেজপাতা। যা খাবারের স্বাদ ও ঘ্রাণের জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে জেনে অবাক হবেন, কেবল রান্নার স্বাদ…

Bay leaves are extremely useful for diabetes

short-samachar

প্রত্যেকেরই রান্নাঘরে রান্নার মশলা হিসাবে বহুল ব্যবহৃত হয় তেজপাতা। যা খাবারের স্বাদ ও ঘ্রাণের জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে জেনে অবাক হবেন, কেবল রান্নার স্বাদ বাড়াতেই নয়, এই পাতা দিয়ে শারীরিক অনেক অসুখেরও প্রতিরোধ সম্ভব! তেজপাতার (Bay leaves) রয়েছে বিশেষ ঔষধি গুণ। যা বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্যের উপকার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

   

তেজপাতায় ভিটামিন এ এবং সি, ফলিক এসিড, পুষ্টি ও খনিজ রয়েছে।
তেজপাতা হার্ট, স্ট্রেস বাস্টার ও হজমজনিত সমস্যা রোধে সহায়তা করে।

ডায়াবেটিস রোগীরা এই ভেষজটি অনায়াসে গ্রহণ করতে পারেন। এটি উন্নত ইনসুলিন হিসেবে পরিচিত। জার্নাল অফ বায়োকেমিকাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত ২০১৬ সালে একটি পরামর্শ দেয়া হয়েছে যে, তেজপাতা ডায়াবেটিস এর জন্য দুই ধরনের কাজ করে।

১. তেজপাতা গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে রাখে। কোলেস্টেরলের উন্নতি করে।
২. ডায়াবেটিস রোগীরা ৩০ দিনের জন্য প্রতিদিন ১, ২ বা ৩ গ্রাম গ্রাউন্ড তেজপাতার ক্যাপসুল নিন।
তেজপাতার সক্রিয় উপাদান হলো পলিফেনল। যা গ্লুকোজ স্তর নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ও রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়মিত হ্রাস করে।

এটি এইভাবে বিবেচনা করা হয় যে, এক টেবিল চামচ পরিবেশনে প্রায় পাঁচ ক্যালোরি সরবরাহ করে। তেজপাতার মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টগুলোর মধ্যে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-৬, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন ও ক্যালসিয়াম রয়েছে।

যেভাবে ব্যবহার করবেন
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শুকনো ও আস্ত তেজপাতা ব্যবহার করা হয়। যেহেতু তেজপাতা খুব শক্ত হয়। তাই সাধারণত রান্না করার সময় একটি সম্পূর্ণ পাতা ব্যবহার করা হয় ও খাওয়ার সময় ফেলে দেয়া হয়। তাই রান্নায় ব্যবহৃত তেজপাতা পুষ্টির মান পরিবর্তন করতে পারে না। যদি তেজপাতা গুড়ো করে খাওয়া হয় তাহলে সহজেই উপকার পেতে পারেন।

ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত ওষুধের পাশাপাশি তেজপাতা খাওয়ার অভ্যাস করুন। পাশাপাশি অন্যান্য স্বাস্থ্যকর ডায়েট ও জীবনযাত্রার নিয়মাবলী অনুসরণ করুন।