Bangladesh: কলকাতায় ধৃত বাংলাদেশি ‘খুনি’ নূর, জেল থেকে ভোট করায়

বাংলাদেশে (Bangladesh) সেনাবাহিনী ও ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের অফিসারদের একাংশকে হাত করে চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলার মূল চক্রী নুর হোসেন ধরা পড়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। ইন্টারপোল তদন্তে তাকে…

Bangladesh: কলকাতায় ধৃত বাংলাদেশি 'খুনি' নূর, জেল থেকে ভোট করায়

বাংলাদেশে (Bangladesh) সেনাবাহিনী ও ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের অফিসারদের একাংশকে হাত করে চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলার মূল চক্রী নুর হোসেন ধরা পড়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। ইন্টারপোল তদন্তে তাকে বাগুইআটির কাছে গোপন ডেরা থেকে গ্রেফতার করে ফের আ়ইনি প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশে পাঠায় ভারত সরকার। ফাঁসির আসামী নুর জেলের কনডেম সেল থেকে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে।

বন্দি নুর হোসেনের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর আরও একটি ঘটনা সামনে এসেছে। সে জেল থেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক দিয়ে আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ভোট করানোর তালিম দিচ্ছিল। ঢাকার গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর কনডেম সেলে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ উদ্ধার করেছে মোবাইল।

নুর হোসেনের ফাঁসির সাজা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরী করার আইনি প্রক্রিয়া চলছে। এমন অবস্থায় নির্বিকার এই আন্তর্জাতিক অপরাধী। ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্রের খবর, গত ৫ জানুয়ারি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ (সংশোধনাগার) এর কনডেম সেল থেকে তার ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে কর্তৃপক্ষ।

জেল সুপার আব্দুল জলিল জানান, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ এর কনডেম সেলে নূর হোসেনসহ তিনজন বন্দি রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার ফাঁসির আসামি প্রাক্তন কাউন্সিলর নূর হোসেন। সে কনডেম সেলে বসে গোপনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছে। ওই কনডেম সেল থেকে একটি মিনি বাটন মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ছিল নুর হোসেন। সে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (পুর নিগম) এর প্রাক্তন কাউন্সিলর।

আলোচিত সাত খুন মামলা
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশ কেঁপে গিয়েছিল। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকার সহ সাতজনকে অপহরণের তিনদিন পর তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে।

Advertisements

অভিযোগ ছিল প্রকাশ্যে এই সাতজনকে অপহর়ন করিয়েছিল নূর হোসেন। এতে জড়িত সেনাবাহিনী ও ব়্যাব বাহিনীর কিছু সদস্য অফিসার। মৃতদের আত্মীয়দের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। এই মামলার মোড় নেয় নূর পলাতক হওয়ার পর। চাপের মুখে বাংলাদেশ সরকার ইন্টারপোলের সাহায্য নেয়। নূর হোসেনকে কলকাতার কাছে বাগুইআটি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের কিছু অফিসারদের মদতে ভয়াবহ এই সাত খুন মামলায় বিশ্বজোড়া চাঞ্চল্য ছড়ায়। ধৃত নূরকে কলকাতা থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে সহ মোট ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা হয়েছে।

নূর হোসেনের অপরাধ জালের বিস্তার কনডেমড সেল পর্যন্ত ছড়ানো। এতেই চমক। যার ফাঁসি হবে সে কী করে প্রভাব খাটিয়ে কনডেমড সেল পর্যন্ত মোবাইল নিতে পারে, জেলের রক্ষীদের মধ্যে কে তার ঘনিষ্ঠ এই নিয়ে প্রশাসনের কড়া সমালোচনা চলছে।

তদন্তে উঠে এসেছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আগামী ১৬ জানুয়ারি। সেখানকার দুটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভাই-ভাইপোকে জেতাতে মরিয়া নূর। জেলের কনডেম সেলে বসেই মোবাইল ফোনে ভোট কীভাবে হবে তার তালিম দিয়ে যাচ্ছিল নূর হোসেন।