উল্লেখযোগ্য দল গঠন করছে এটিকে মোহন বাগান (ATK Mohun Bagan)। নতুন-পুরানো, জুনিয়র-সিনিয়রের মিশ্রণ তৈরি করছে সবুজ মেরুন ক্লাব। নতুন মরসুমে এটিকে মোহন বাগানের আক্রমণভাগ হতে চলেছে মূলত ভারতীয় নির্ভর। বিদেশি ফুটবলারদের সাহায্যে ভারতীয়রাই হয়তো প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভেদের দায়িত্বে থাকতে চলেছেন।
সোমবার রাশিয়া বিশ্বকাপের দিমিত্রি পেত্রাতসকে দলে নিশ্চিত করেছে এটিকে মোহন বাগান। দিমিত্রি ফরোয়ার্ড কিংবা স্ট্রাইকার নন, অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। জনি কাউকোর সঙ্গে জুটি বাঁধতে পারেন মাঝমাঠে। ফিনল্যান্ডের জনি কাউকো যেমন মাঝমাঠ ও আক্রমণভাগের মধ্যে সেতু বন্ধন করতে পারেন, দিমিত্রি-ও তেমনই। এছাড়াও মাঝমাঠে থাকছেন কার্ল ম্যাকহিউ।
অস্ট্রেলিয়ান বিশ্বকাপারের আগে এটিকে মোহন বাগান সই করিয়েছে ব্র্যান্ডন হামিল ও পল পোগবার দাদা ফ্লোরেন্টিন পোগবাকে। দু’জনেই মূলত সেন্ট্রাল ব্যাকের ফুটবলার। হামিলকে দলে নেওয়ার পর বাগানের স্প্যানিশ কোচ বলেছিলেন যে ব্র্যান্ডন হামিলকে নিয়ে তিনি আশাবাদী। পিছন থেকে খেলা তৈরি করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
আগামী মরসুমের জন্য সবুজ মেরুন স্কোয়াডে যে বিদেশি ফুটবলাররা রয়েছেন তাঁরা হলেন- দিমিত্রি পেত্রাতস (মাঝমাঠ), জনি কাউকো (মাঝমাঠ), কার্ল ম্যাকহিউ (মাঝমাঠ), ব্র্যান্ডন হামিল (ডিফেন্স), পল পোগবা (ডিফেন্স)। এখনও পর্যন্ত বিদেশি স্ত্রাইকারকে দল সই করায়নি। বাগানের পক্ষ থেকে বারংবার বলা হয়েছে, এএফসি কাপের কথা মাথায় রেখে দল সাজানো হচ্ছে।
গত মরসুমে রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামস দুজনেই পরিচিত ফর্মে ছিলেন না। আলোচনায় উঠে এসেছিলেন লিস্টন কোলাসো এবং মনভীর সিং। এছাড়াও রয়েছেন কিয়ান নাসিরি। এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করার পর গোল না পেলেও, যথেষ্ট ভালো ফুটবলার খেলেছিলেন তিনি। হামিল, কাউকোদের সৌজন্যে এটিকে মোহন বাগান যদি নীচ থেকে খেলা তৈরি করতে পারে, তাহলে আক্রমণভাগে হয়তো আরও ঝাঁঝ বাড়াতে পারবেন লিস্টনরা। ভারতীয় ফুটবলে সুনীল ছেত্রীর বিকল্প এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। মোহন বাগানের এই পরিকল্পনার ফলে আগামী দিনে আক্রমণভাগের ভালো মানের ভারতীয় ফুটবলার উঠে এলেও আসতে পারেন। সেক্ষেত্রে ক্লাব যেমন লাভবান হবে, তেমনই লাভবান হবে দেশ।