চলতি বছরেই লটারি প্রতিযোগীতায় এক কোটি টাকা জিতেছিলেন বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এই তথ্য সামনে আসতেই, লটারিতেও কেষ্ট কারচুপি করেছেন কিনা এই বিষয়েও এবার তদন্ত শুরু করল সিবিআই। সেকারণেই অনুব্রত মণ্ডল যে লটারির এজেন্টের কাছ থেকে লটারি কাটতেন, তাঁকে তলব করেছে সিবিআই। গরু পাচারের পর কি এবার অনুব্রত মণ্ডলের(Anubrata Mandal) লটারিতেও কারচুপি ছিল! উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
সিবিআই আধিকারিকদের তরফে দাবি করা হচ্ছে, গরু পাচার মামলায় তদন্তে নেমে অনুরবত মণ্ডলের বিরাট অঙ্কের সম্পত্তি তাঁদের নজরে এসেছে। সেখানেই অভিযোগ ওঠে, লটারি প্রতিযোগিতায় অনুব্রত মণ্ডল যে ১ কোটি টাকা পেয়েছিলেন, সেটা পুরো তথ্যটাই কতটা সত্য কি না, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
লটারি প্রতিযোগিতায় এক কোটি টাকা জেতার তথ্য সামনে আসতেই খোঁজ শুরু করে সিবিআই। জানা গিয়েছে, বোলপুরের একটি লটারি এজেন্ট ‘গাঙ্গুলি লটারির’ দোকান থেকেই অনুব্রত মণ্ডল লটারির টিকিট কাটেন। সেই লটারির এজেন্ট বাপী গাঙ্গুলিকে তলব করা হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল যে লটারির টিকিট জিতেছিল, সেই টিকিট কে কিনেছিল? কারা কিনেছিল? এর সঙ্গে কারা যুক্ত? সবটা জানতে চেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। লটারি প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত সব রকম তথ্যই জোগাড় করতে চাইছে সিবিআই।
অন্যদিকে গরু পাচার মামলায় অনুব্রত কন্যা সুকন্যা আজ ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছেন। কোথা থেকে এল অনুব্রত কন্যার কোটি টাকা? তা জানতেই আজ দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে তলব করা হয়েছে তাঁকে। সেইমতো দিল্লিতে ইডির দফতরে পৌঁছে গিয়েছেন অনুব্রত কন্যা। সূত্রের খবর, প্রথমে সুকন্যাকে একান্তভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও পরে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
একইসঙ্গে, গরু পাচার মামলায় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয় পিটকে আবার তলব করা হয়েছে। মূলত মলয় পিটের একটি সংস্থা ‘স্বাধীন ট্রাস্ট’ বারবার তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছে। সিবিআইয়ের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, স্বাধীন ট্রাস্টে প্রায় ৯ কোটি টাকা বিভিন্ন সময়ে এসেছে। কোথা থেকে সেই টাকা এল? গরু পাচারের সঙ্গে সেই টাকা যুক্ত রয়েছে কি না? সবটা জানতেই মলয় পিটকে তলব করা হয়েছে। অনুব্রত মন্ডলের গ্রেফতারির পর থেকে যেভাবে একের পর এক তথ্য সামনে আসে তাতে কি ক্রমেই জেলে থাকার মেয়াদ বাড়ছে কেষ্টর? তৎপরতার সঙ্গে যেভাবে তদন্ত করছে সিবিআই, সেই নিরিখে বলাই যায় আগামী সময় আরও বেশ কিছু তথ্য সামনে আসতে চলেছে। রাজনৈতিক মহলেও এই নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।