অর্জুনকে নিয়ে অভিষেকের মহাসভা, বিজেপি বিধায়কের দলত্যাগ সম্ভাবনা

প্রায় তিন বছর ধরে বিজেপিতে থাকার পর গত রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন করেছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। সোমবার তাকে নিয়েই মহাসভা করবেন তৃণমূল…

Abhishek Banerjee-Arjun Singh

প্রায় তিন বছর ধরে বিজেপিতে থাকার পর গত রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন করেছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। সোমবার তাকে নিয়েই মহাসভা করবেন তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এই মহাসভাতেই বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূল কংগ্রেসে আসার গুঞ্জন ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিংয়ের।

রাজ্যে বিরোধী দল বিজেপির আরও এক বিধায়ক কমছে বলেই মনে করা হচ্ছে। অর্জুন সিংয়ের পুত্র পবন সিং এই তালিকার এক সদস্য হতে চলেছেন।
গত তিন বছরে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল ভাটপাড়া, জগদ্দল, কাঁচরাপাড়ায় একাধিকবার তৃণমূল নেতাদের সংঘর্ষে নাম জড়িয়েছিল অর্জুন সিং এবং তাঁর অনুগামীদের। এখন অর্জুন দলের ফিরলেও তৃণমূল নেতাদের মধ্যে অনেকেই খুশি নন। তাই দ্বন্দ্ব মেটাতে শ্যামনগরে মহাসভা করবেন তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক। 

অভিষেককে স্বাগত জানাতে গত সপ্তাহেই তোড়জোড় শুরু করেছে উত্তর ২৪ পরগণার টিএমসি নেতৃত্ব। বিজেপি থেকে বাবুল সুপ্রিয় আসার পরে অর্জুন সিংয়ের দলত্যাগে জনসমক্ষে এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একেবারে নীচুতলার কর্মীদের মনের সং শয় দূর করতে আসছেন অভিষেক।

কারণ, পুরভোটে দলের ব্যাপক ফলাফল হলেও বিজেপি থেকে তৃণমূলে একাধিক নেতাদের দলবদলের কারণে ভোটব্যাঙ্কে যেন না কোনও প্রভাব পড়ে। তাই সংগঠনকে আরও মজবুত করতে এখন থেকেই জেলায় জেলায় প্রশাসনিক সভা এবং কর্মী সভা শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতবারের মতো ২৪ এর নির্বাচনে কোনও ভুল চাইছে না তৃণমূল। তাই অভিষেক নিজে গিয়ে কর্মীদের আশ্বস্ত করতে চান।

দীর্ঘদিন পাটশিল্পের দুরাবস্থা নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করে এসেছেন অর্জুন সিং৷ পরে দলের সাংগঠনিক কার্যকলাপ নিয়েও সোচ্চার হন। বিজেপির তরফে পাটের দামের উর্ধ্বসীমা তুলে নেওয়া হলে এখন আরও একটি দাবী বাকি রয়েছে। এদিন সভামঞ্চ থেকে পাটশিল্পের বিষয়ে কোনও বার্তা কী দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, চটকলের কর্মীদের নিয়ে তৃণমূলের পদক্ষেপ কী? সেটাও স্পষ্ট করবেন তিনি।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি হদলদিয়ার জনসভা থেকে অভিষেক বার্তা দিয়েছিলেন দলবদলুদের টিকিট দেওয়া হবে না। বরং তৃণমূলে যারা দীর্ঘ সময় ছিলেন তাঁরাই প্রাধান্য পাবেন। এখানেও একই বার্তা দেবেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড৷