সমগ্র ভারতের ব্রহ্মামন্দির আছে হাতে গোনা কয়েকটি। পুষ্কর তারমধ্যে অন্যতম। মূলত সরোবরকে ঘিরেই নগরীর অবস্থান। কথিত আছে এই সরোবরে স্নান করলে পুন্যলাভ হয়। এখানে প্রচুর পরিমানে গোলাপের চাষ করা হয়।আর তাই পুষ্করের অন্য নাম গোলাপ শহর। পুষ্করের তিনটি ভাগ-১. বুড়া মন্দির, ২. মধ্য পুষ্কর, ৩. কনিষ্ঠ পুষ্কর। এখানে দেখুন ব্রহ্মামন্দির, বরাহ মন্দির, রঙ্গজি মন্দির, পঞ্চকুন্ড শিবমন্দির, পাপমোচনী মন্দির ও সাবিত্রী মন্দির। এছাড়া রয়েছে পুষ্করের অন্যতম আকর্ষণ মান সিংহের নির্মিত মহল প্রসাদ। ( Pushkar )
কোথায় থাকবেন:
রাজস্থান পর্যাটনের হোটেল সরোবর ( ০১৪৫২৭৭২০৮০ ), নন-এ সি ডবল বেডরুমের ভাড়া ১২০০ টাকা প্রতি রাতে ( ব্রেকফাস্ট-সহ ), এ সি ডবল বেডরুমের ভাড়া ১৯০০ টাকা প্রতি রাতে ( ব্রেকফাস্ট-সহ)। হোটেল পুষ্কর ইন ( ০১৪৫২৭৭২০১০ ) , নন-এ সি ডবল রুমের ভাড়া প্রতি রাতে ১২০০ টাকা ( ব্রাকফাস্ট সহ ), এসি ডবল রুমের ভাড়া প্রতি রাতে ১৬০০ টাকা ( ব্রেকফাস্ট-সহ )। হোটেল কেশব প্যালেস (০১৪৫২৭৭৩১১৫) ভাড়া ৫০০-৭০০ টাকা প্রতি রাতে। ( Pushkar )
কী খাবেন ও কোথায় খাবেন:
- পুষ্কর গৌ ঘাটের মেইন মার্কেটে অবস্থিত লখ্মী মিষ্টান ভান্ডার। এখানকার রাবড়ি ও মালপোয়া বিখ্যাত। প্রতিটি মালপোয়ার দাম মাত্র ২০ টাকা করে।
- ছোট বস্তিতে শিখ মন্দিরের কাছে অবস্থিত সংষ্কার। দোকানটি বিখ্যাত বৈষ্ণো থালির জন্য। পেঁয়াজ-রসুন ছাড়া সম্পূর্ণ নিরামিষ পদ্ধতিতে রান্না। মাত্র ৫০ টাকার বিনিময়ে বৈষ্ণো থালি খেলে তার স্বাদ মুখে লেগে থাকবে সারাজীবন।
- পুষ্করে সন্ধ্যা নামলে মেইন মার্কেট রোডে নগরপালিকা ঘাটের কাছে চলে আসুন। এখানে লালজীর পরোটার সুখ্যাতি লোকের মুখে মুখে প্রচলিত। অতুলনীয় পুর দিয়ে তৈরি পরোটা অবশ্যই একবার চেখে দেখুন। এছাড়া এই দোকানে বিভিন্ন সবজি দিয়ে রোল তৈরি হয় খেয়ে দেখতে পারেন। ( Pushkar )
লোকাল ফুড:
পোহা, খাস্তা কচুরী, রাবড়ি, মালপোয়া, চুড়ান, ভেলপুরি, ছোলে আলু টিক্কি ও কালাকাঁদ মিষ্টি।
কেনাকাটা:
ব্রহ্মামন্দিরের কাছ থেকে কিনতে পারেন রাজস্থানি হস্তশিল্পের জিনিসপত্র। এছাড়া কেদালগঞ্জ বাজার থেকে কিনতে পারেন ঘর সাজানোর সরঞ্জাম ও মিনিয়েচার পেইন্টিং। সারাফা বাজার থেকে সংগ্রহ করতে পারেন জামাকাপড়-জুতো ও এথনিক কাপড়। অবশ্যই কিনুন পুষ্করের বিখ্যাত গোলাপ জল, গুলকন্দ, গোলাপের পারফিউম ও রোজ অয়েল।