Honeymoon: নব দম্পতিদের জন্য রইল মধুচন্দ্রিমার সেরা ঠিকানা

নিজেদের মতন করে সময় কাটাতে পারবে, একে অন্যকে নতুন করে চিনতে পারবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক নবদম্পতির মধুচন্দ্রিমা(Honeymoon) উপভোগ করার আদর্শ জায়গা।

বর্তমানে শীতের আমেজের সাথে সাথে চলছে বিয়ের মরশুমও। আর বিয়ের কথা শুনলেই মনে পড়ে যায় নানা আনন্দ অনুষ্ঠানের কথা। কিন্তু ভিড়ের মাঝে নানা অনুষ্ঠান কাটিয়ে উঠে নব দম্পতি যখন একটু চায় একলা নিরিবিলিতে সময় কাটাতে তখনই প্রয়োজন হয়ে পড়ে মধুচন্দ্রিমার। আর বাঙালির কাছে মধুচন্দ্রিমা মানেই ‘ দিপুদা’ অর্থাৎ দিঘা-পুরী-দার্জিলিং। এই দীঘা-পুরী-দার্জিলিং ছাড়াও এমন আরো অনেক জায়গা আছে যেখানে নব দম্পতিরা নিজেদের মতন করে সময় কাটাতে পারবে, একে অন্যকে নতুন করে চিনতে পারবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক নবদম্পতির মধুচন্দ্রিমা(Honeymoon) উপভোগ করার আদর্শ জায়গা।

 মধুচন্দ্রিমার কথা মাথায় এলেই প্রথমে যে সকল স্থানের কথা মাথায় আসে তা হলো পাহাড়-পর্বত।

 ১) পেহেলগাঁও:- পাহাড় পর্বতমানেই ভারতের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ভ্রমণের স্থানের মধ্যে অন্যতম স্থান হল ভূস্বর্গ অর্থাৎ কাশ্মীর। মধুচন্দ্রিমার সময় পুরো কাশ্মীর ঘোরা না গেলেও কিছু কিছু শহর ঘোরা যেতেই পারে যেমন- সোনমার্গ, গুলমার্গ, পেহেলগাঁও, শ্রীনগর। তেমনি কাশ্মীরের এই পেহেলগাঁও নামক শহরটি খুবই সুন্দর। জম্মু কাশ্মীরে অবস্থিত পহেলগাঁও একটি ছোট্ট শহর। মূলত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত এই শহরটি নবদম্পতির প্রথম গন্তব্য হিসেবেও পরিচিত। এখানের শান্ত পাহাড়ি উপত্যকায় দুজনের‌ জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়ও কাটতে পারে।

 যতই বাঙালির কাছে দিঘা পুরি দার্জিলিং একঘেয়েমির জায়গা হলেও এই জায়গাগুলো সাথে বাঙালি দম্পতির রয়েছে এক আলাদা টান। তাই যাদের কার্যত ‘ঝট মাঙ্গনি পাট সাদি’ হয় তাদের জন্য কাছাকাছি মধুচন্দ্রিমার আদর্শ স্থান বলতে পুরীকেই বোঝানো হয়। দ্বিতীয় যে স্থানটির কথা মাথায় আসে তাহলে পুরী। 

২) পুরী:- পুরী মানেই সমুদ্র সৈকত ও জগন্নাথ মন্দির।‌ পুরীর নাম শুনলে অনেকের মনে হতেই পারে এটি মোটেই শান্ত ও নিরিবিলি ভ্রমণের স্থান নয়। তবে হিন্দুদের মন্দির ও পুজোআচ্চার স্থান ছাড়াও পুরীতে রয়েছে অনন্ত প্রকৃতির সৌন্দর্য। পুরীর সমুদ্রতটের একদিক যেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ, তেমনই পুরীর বেশকিছু জায়গা পর্যটকদের বরাবরের গন্তব্য। এছাড়াও বঙ্গোপসাগর তীরের মনোরম আবহাওয়া মধুচন্দ্রিমার রাতকে রোম্যান্টিক করে তুলতে বাধ্য।

 মধুচন্দ্রিমা চিরাচরিত স্বাদ থেকে একটু অন্য ধরনের স্বাদ উপভোগ করতে নব দম্পতি অনায়াসে বেছে নিতে পারে মরুভূমির দেশ, রাজস্থান।

৩) রাজস্থান:- পাহাড় বা সমুদ্র ছেড়ে মধুচন্দ্রিমায় ঘুরে আসতে পারেন বালির দেশ থেকে। মরুভূমির এই শহরটি সংস্কৃতি এবং শিল্পকলায় পরিপূর্ণ। সূর্যাস্তের সময় উটের পিঠে চড়ে মরুভূমি ভ্রমণের আনন্দ, সে এক অনবদ্য স্মৃতি হয়ে থকবে আপনাদের জন্য। সেই সঙ্গে নব দম্পতির জন্য রয়েছে রাজকীয় ঘরানার অনুভূতি উপভোগের অনন্য সুযোগ। সন্ধেয় মরুশহরে তাঁবুর বাইরে গান-বাজনা, স্থানীয়দের অনুষ্ঠান নবদম্পতির মন ছুঁয়ে যাবে। এখানেই শেষ নয়, চাইলে শীতের মরসুমে বর্নফায়ারের আনন্দও নিতে পারেন। আপনি যদি ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে মধুচন্দ্রিমার পরিকল্পনা করে থাকেন, তা হলে চোখ বুজে বেছে নিতে পারেন মরুশহর জয়সলমের।

 আর যদি নবদম্পতি হয় অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়। তাহলে নিঃসন্দেহে প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে পারেন ডুয়ার্সের জঙ্গলেও।