ট্রাম্পের নির্দেশে বিজ্ঞানীরা বেকার, নাসায় ২০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই

Bagram Stays With Us: Taliban Snubs Trump’s Demand for Return

বিজ্ঞানীরা ভাবছেন এখন দরকার কড়া ধাঁচের শ্রমিক আন্দোলন। অন্তত চাপের মুখে চাকরিটা রক্ষা পেত। কাজ হারিয়ে গৃহ অশান্তির আশঙ্কায় বিশ্ববিখ্যাত মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA)-তে কর্মরত বিজ্ঞানী ও অন্যান্য কর্মচারীরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে ফেডারেল কর্মীসংখ্যা হ্রাসের বৃহৎ উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রায় ৩৯০০ কর্মী  ছাঁটাই করা হবে।

Advertisements

সংবাদ সংস্থা AFP জানিয়েছে, নাসা বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের ‘বিলম্বিত পদত্যাগ কর্মসূচির দ্বিতীয় দফায় প্রায় ৩ হাজার কর্মী অংশ নিয়েছেন। আমেরিকার সময় শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাতে যার সময়সীমা শেষ হয়েছে।

নাসা ‘অ্যাক্টিং অ্যাডমিনিস্ট্রেটর’-এর অধীনে চলছে। সংস্থার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পছন্দ ছিলেন টেক ধনকুবের জ্যারেড আইজ্যাকম্যান। তবে ট্রাম্পের প্রাক্তন উপদেষ্টা ইলন মাস্ক তাকে সমর্থন দিলেও শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প নিজে তা বাতিল করে দেন।

SPACE . COM জানাচ্ছে, নাসার কর্মীদের ডিআরপি (DRP)-তে আবেদন করার দুটি সুযোগ ছিল। প্রথম ধাপে, যার আবেদনের শেষ সময় ছিল ফেব্রুয়ারি, প্রায় ৮৭০ জন কর্মী যা মোট কর্মীর ৪.৮% অংশগ্রহণের জন্য সম্মতি দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ধাপে সময়সীমা শুক্রবার রাতে ঠিক মধ্যরাতের আগে শেষ হয়, প্রায় ৩,০০০ জন যা সংস্থার মোট কর্মীর ১৬.৪% এতে অংশগ্রহণ করেন, তিনি আরও জানান। এমন কর্মীরাও রয়েছেন, যারা দুটি অনুরূপ প্রোগ্রামে, অর্থাৎ স্বেচ্ছায় আগাম অবসর এবং স্বেচ্ছায় সংস্থার ত্যাগ প্রণোদনা কর্মসূচির অংশ হয়েছেন।

Advertisements

BBC জানিয়েছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাবিত নাসা বাজেটে বিজ্ঞান ও জলবায়ু কর্মসূচি ব্যাপকভাবে কাটছাঁট করে চাঁদে প্রত্যাবর্তন এবং মঙ্গলে অভিযানের বিষয়গুলোকে কেন্দ্রে রাখা হয়।

নাসার বিবৃতিতে বলা হয়, কর্মী সংকোচন হলেও ট্রান্স মানুষসহ চাঁদ ও মঙ্গলে অভিযানের পরিকল্পনাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। নাসা জানিয়েছে, ‘আমরা একটি অধিকতর দক্ষ ও সুশৃঙ্খল সংস্থায় পরিণত হওয়ার প্রয়াসে ভারসাম্য রক্ষা করছি, এবং চাঁদ ও মঙ্গলের মতো অভিযানের মাধ্যমে অনুসন্ধান ও উদ্ভাবনের ‘সোনালি যুগ’ বজায় রাখার সক্ষমতা ধরে রাখাটাই আমাদের জন্য অগ্রাধিকার।’

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তারা ‘চিনের আগে আবার চাঁদে ফিরে যাওয়া এবং মঙ্গলে প্রথম মানব পাঠানোর’ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। চিন ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের প্রথম মানুষসহ চন্দ্রাভিযান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগোচ্ছে, আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘আর্টেমিস’ কর্মসূচি বারবার বিলম্বের মুখে পড়ছে।