TMC: জয়নগরের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝে তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লাকে খুনের হুমকি

তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লাকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। এর জেরে রাজ্য সরগরম। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক শওকত বরাবর ভাঙড়ের রক্তাক্ত রাজনীতির আবর্তে…

তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লাকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। এর জেরে রাজ্য সরগরম। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক শওকত বরাবর ভাঙড়ের রক্তাক্ত রাজনীতির আবর্তে শিরোনামে আসেন। এবার হেভিওয়েট এই তৃণমূল নেতা পেলেন খুনের হুমকি। এমন সময় হুমকির অভিযোগ এলো যখন জেলার জয়নগরের বামনগাছিতে এক তৃণমূল নেতাকে খুনের জেরে তীব্র উত্তেজনা চলছে।

একেরপর এক রাজনৈতিক বিদ্বেষের পর এবার খুনের হুমকি পেলেন শওকত মোল্লা। নিজের প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক। গতকাল জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনের পর উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। যার প্রভাব পড়েছে সিপিএমের সদস্যদের উপর। এবার ক্যানিং পূর্বের শাসকদলের বিধায়ককে খুনের হুমকি!

জানা গিয়েছে আজ ঠিক যেই সময়ে শওকত মোল্লা ভাঙড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন, ঠিক সেইসময় তাঁকে ফোন করে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। কে বা কারা কোন মতলবে বিধায়ককে খুনের হুমকি দিয়েছে, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই খুনের হুমকি মেলার পর বিধায়ক শওকত মোল্লা থানায় লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন।

গতকাল তৃণমূল নেতা খুনের পর ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা জানিয়েছেন “আমাদের জয়নগরের বামনগাছি অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি সাইফুদ্দিন লস্করকে বিজেপি ও সিপিএম আশ্রিত সমাজ বিরোধীরা গুলি করে খুন করেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় বিরোধী দলগুলোর পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। আর সেই কারণে এইভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের একের পর এক খুন করছে।”

তবে এই গোটা অভিযোগ উড়িয়ে সিপিএম ও বিজেপি তৃণমূলের দিকেই নিশানা করেছেন। এবং জানিয়েছেন, এই গোটা ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী ও তাদের মাফিয়াদের কর্মকাণ্ড।

তবে গতকাল তৃণমূলের নেতা খুন হওয়ার পর আজ ফের তৃণমূলেরই বিধায়ককে খুনের হুমকির ঘটনা এর রীতিমতো রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে। কারণ গতকাল নিখুঁত ছক্কো সেই তৃণমূলের এক নেতাকে খুন করা হয়। তা ঠিক পরের দিনই শওকত মোল্লাকে হুমকি দিয়ে ফোন আসা রীতিমতো শোরগোল ফেলেছে। একটু হলেও প্রাণে ভয় জেগেছে তৃণমূল বিধায়কের মনে। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে কতটা তার নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখে পুলিশ সেদিকেই নজর থাকবে। তবে আপাতত থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তৃণমূলের অন্দরমহলে।