প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর ১১১তম জন্মদিনে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের সূচনা হয়েছে। বিজেপির রাজ্য (Tathagata) সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এই উপলক্ষে জ্যোতি বসুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফুল দিয়েছেন। তবে, একই দিনে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায় (Tathagata) এক্স হ্যান্ডেলে জ্যোতি বসুর বিরুদ্ধে তীব্র বিষোদ্গার করে রাজনৈতিক মহলে ঝড় তুলেছেন।
তিনি(Tathagata) জ্যোতি বসুকে “মূর্তিমান শয়তান” আখ্যা দিয়ে তাঁর শাসনকালের একাধিক কাজের তীব্র সমালোচনা করেছেন। এই মন্তব্য বিজেপির অভ্যন্তরীণ গতিবিধি এবং রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর নতুন আলোকপাত করেছে।তথাগত রায় তাঁর এক্স পোস্টে জ্যোতি বসুর বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন।
এক মূর্তিমান শয়তান জ্যোতি বসুর জন্মের ১১১ বৎসর পূর্ণ হল আজ। বাঙালি হিন্দু জনগোষ্ঠীতে জন্মে এই জনগোষ্ঠীকেই সর্বনাশ ও বিলুপ্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবার কাজে এই লোকটি অদ্বিতীয়।
এর কীর্তির একটি অতি-সংক্ষিপ্ত তালিকা। এটি হিমশৈলের চূড়া মাত্র।
• শিল্পবাণিজ্যে ভারতে সবচেয়ে অগ্রসর…
— Tathagata Roy (@tathagata2) July 8, 2025
তিনি লিখেছেন, “বাঙালি হিন্দু জনগোষ্ঠীতে জন্মে এই জনগোষ্ঠীকেই সর্বনাশ ও বিলুপ্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজে এই লোকটি অদ্বিতীয়।” তিনি জ্যোতি বসুর শাসনকালের কিছু কাজের একটি “অতি-সংক্ষিপ্ত তালিকা” প্রকাশ করে বলেন, “এটি হিমশৈলের চূড়া মাত্র।”
তাঁর (Tathagata)অভিযোগের মধ্যে রয়েছে—শিল্পবাণিজ্যে অগ্রণী পশ্চিমবঙ্গকে “শিল্পের শ্মশানে” পরিণত করা, পূর্ববঙ্গ থেকে আগত হিন্দু উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনে বাধা সৃষ্টি, মরিচঝাঁপিতে গণহত্যা, পুলিশ ও প্রশাসনের রাজনীতিকরণ, ইংরেজি শিক্ষার পথ রুদ্ধ করা, কম্পিউটার প্রবর্তনে বাধা দেওয়া, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দেওয়া, এবং নিজের ছেলেকে বহু-কোটিপতি বানানো।
তিনি (Tathagata)আরও বলেন, জ্যোতি বসু বাঙালি জনগোষ্ঠীকে “নিষ্কর্মা, ঝগড়ুটে, খেঁকুরে, ধর্মঘটী, মিটিং-মিছিলবাজ” গোষ্ঠীতে পরিণত করেছেন। তাঁর পোস্টের শেষে তিনি তীব্র ভাষায় লিখেছেন, “নরকে পচুন। অথবা রাজাবাজারের বস্তির ভিতরে পুনর্জন্ম নিন।”এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে উঠেছে গুঞ্জন।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, (Tathagata)“জ্যোতি বসু বাংলার একজন কিংবদন্তি নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে এমন নীচ মন্তব্য বিজেপির সংস্কৃতিহীনতার প্রমাণ। তথাগত রায়ের এই বক্তব্য বাঙালির আবেগের উপর আঘাত।” তিনি আরও বলেন, “শমীক ভট্টাচার্য জ্যোতি বসুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, আর তথাগত রায় তাঁকে অপমান করছেন।
”সিপিআই(এম) এর তরফে বিবৃতি , “জ্যোতি বসু গরিব মানুষের নেতা ছিলেন। তাঁর ভূমি সংস্কার নীতি এবং শ্রমিকদের জন্য লড়াই বাংলার ইতিহাসে অমর। তথাগত রায়ের এই মন্তব্য বাঙালি জনগোষ্ঠীর প্রতি অপমান।” সিপিআই(এম) পলিটব্যুরো এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছে।
বিজেপির অভ্যন্তরে (Tathagata) এই ঘটনা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। শমীক ভট্টাচার্য জ্যোতি বসুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “তিনি বাংলার রাজনীতির একজন প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। আমরা তাঁর অবদানকে সম্মান করি।” তবে, তথাগত রায়ের মন্তব্য নিয়ে তিনি কোনো সরাসরি মন্তব্য করেননি।
বিজেপির (Tathagata) কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও এই বিষয়ে নীরব রয়েছে, যা দলের অভ্যন্তরীণ সমন্বয়হীনতার ইঙ্গিত দেয়।সামাজিক মাধ্যমে তথাগত রায়ের এই পোস্ট ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। একদল ব্যবহারকারী তাঁর বক্তব্যের সমর্থন করে বলেছেন, “জ্যোতি বসুর শাসনকালে বাংলার শিল্প ধ্বংস হয়েছে। তথাগত রায় সত্য বলেছেন।”
আসছে কাইনেটিকের নতুন ইলেকট্রিক স্কুটার, উৎসবের আগেই লঞ্চ!
অন্যদিকে, (Tathagata) কিছু ব্যাক্তির মত , “এটি বাঙালির ইতিহাসের প্রতি অপমান।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই মন্তব্য বিজেপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে প্রকাশ করছে। শমীকের শ্রদ্ধা এবং তথাগতের আক্রমণ দুটি বিপরীতমুখী অবস্থান তুলে ধরেছে।
এই ঘটনা ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির রাজনৈতিক কৌশলের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তথাগত রায়ের মন্তব্য বাংলার সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে নতুন বিতর্কের সূচনা করেছে।