ধিক্কার দিবসে মামলা! যাঁরা মার খেলেন, তাঁরাই অভিযুক্ত! পুলিশের পদক্ষেপ ঘিরে উত্তাল প্রতিবাদ মঞ্চ

বিকাশ ভবনে চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের (Teachers Protest) লাগাতার আন্দোলনের জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছে সল্টলেক চত্বর। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া আন্দোলনের গতি যতই বাড়ছে, ততই তাতে…

eachers Facing Suo Motu Case After Protest Turns Chaotic at Bikash Bhavan

বিকাশ ভবনে চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের (Teachers Protest) লাগাতার আন্দোলনের জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছে সল্টলেক চত্বর। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া আন্দোলনের গতি যতই বাড়ছে, ততই তাতে নতুন মোড় নিচ্ছে প্রশাসনিক প্রতিক্রিয়া। বৃহস্পতিবার (Teachers Protest) রাতে পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের(Teachers Protest) মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ ওঠার পর এবার বিধাননগর পুলিশের (Teachers Protest) তরফ থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধেই দায়ের করা হল স্বতঃপ্রণোদিত মামলা।

আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা (Teachers Protest) রুজু করা হয়েছে—যার মধ্যে রয়েছে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা প্রদান, এবং বেআইনিভাবে সরকারি কর্মচারীদের (Teachers Protest) উপর অভিযোগ আনা। পুলিশ জানিয়েছে, আন্দোলনকারীদের (Teachers Protest) আচরণ “উত্তেজনাপূর্ণ ও আইনবিরুদ্ধ” ছিল, যার ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

   

২০১৬ সালের এসএলএসটি: আন্দোলনের মূল উৎস

এই আন্দোলনের পেছনে রয়েছে বহু শিক্ষকের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ।(Teachers Protest) ২০১৬ সালের এসএসসি মাধ্যমে শিক্ষকদের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর, আদালতের নির্দেশে ওই প্যানেল বাতিল হয়। তার ফলে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা চাকরি হারান। এর মধ্যে আদালত (Teachers Protest) কিছু ‘যোগ্য’ প্রার্থীদের ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরিতে বহাল রাখার নির্দেশ দিলেও, আন্দোলনকারীদের দাবি তাঁরা চাকরির পূর্ণ মেয়াদ চান। এই দাবিকেই সামনে রেখেই চলছে লাগাতার বিক্ষোভ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে এই আন্দোলন চরমে পৌঁছয়। (Teachers Protest) অভিযোগ, আন্দোলনকারীরা বিকাশ ভবনের মূল গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন। পুলিশ বাধা দিতে গেলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

পুলিশের লাঠিচার্জ ও রক্তাক্ত শিক্ষকরা

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার (Teachers Protest) রাতে পুলিশ তাঁদের উপর “নৃশংসভাবে” লাঠিচার্জ করে। একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা রক্তাক্ত হন বলে দাবি ওঠে। (Teachers Protest) তাঁদের বক্তব্য, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসে ছিলাম, হঠাৎ করেই আমাদের উপর পুলিশ ঝাঁপিয়ে পড়ে। মাথা ফেটে গিয়েছে অনেকের, কেউ আবার হাত ভেঙে হাসপাতালে ভর্তি।”

এই ঘটনার বিরুদ্ধে শুক্রবার ‘ধিক্কার দিবস’ (Teachers Protest) পালন করেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু তার মধ্যেই এল আরও এক দফা ধাক্কা—বিধাননগর থানার তরফে শিক্ষকদের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের।

আন্দোলনকারীদের পাল্টা ক্ষোভ

পুলিশের এই পদক্ষেপে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন(Teachers Protest) আন্দোলনকারীরা। তাঁদের প্রশ্ন, “যারা মার খেয়েছে, তারাই আজ অভিযুক্ত? আমরা কী অপরাধ করেছি? (Teachers Protest) আমাদের চাকরি বেআইনিভাবে কেড়ে নেওয়া হয়েছে, তার প্রতিবাদে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছি।”

আন্দোলনের মুখপাত্র জানান, “সরকারের কাছে কোনও উত্তর নেই, তাই পুলিশকে সামনে এনে আমাদের দমন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এতে আমরা দমে যাব না। আমাদের হকের চাকরি ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আমরা উঠব না।”

চিত্র ও তথ্যের লড়াই

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু ভিডিও (Teachers Protest) ফুটেজ ও ছবির ভিত্তিতে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে আন্দোলনকারীরা (Teachers Protest) পাল্টা দাবি করেছেন, “চিত্রের কিছু অংশ দেখিয়ে পুরো আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা হচ্ছে। আমরা কোনও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করিনি। বরং পুলিশই আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে।”

বিকাশ ভবনের আন্দোলন ক্রমেই প্রশাসন (Teachers Protest) বনাম শিক্ষকদের সংঘর্ষে রূপ নিচ্ছে। একদিকে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার নামে পুলিশের কড়া পদক্ষেপ, অন্যদিকে চাকরি হারানো ‘যোগ্য’ প্রার্থীদের (Teachers Protest) বেঁচে থাকার লড়াই। বিচারাধীন একটি ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্র ও রাজনীতি দুই-ই প্রবল চাপে।