নবগ্রাম থানায় হাজিরার নির্দেশ, কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ

বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী, (kartik Maharaj) পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত স্বামী প্রদীপ্তানন্দ ওরফে কার্তিক মহারাজ সম্প্রতি নতুন একটি আইনি সমস্যায় পড়েছেন। নবগ্রাম থানার পক্ষ থেকে তাঁর…

Murshidabad Beldanga Police Station Sends Legal Notice to Kartik Maharaj

বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী, (kartik Maharaj) পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত স্বামী প্রদীপ্তানন্দ ওরফে কার্তিক মহারাজ সম্প্রতি নতুন একটি আইনি সমস্যায় পড়েছেন। নবগ্রাম থানার পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর, তাঁকে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। সোমবার, ১ জুলাই মঙ্গলবারের মধ্যে নবগ্রাম থানায় হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া(kartik Maharaj) হয়েছে। এই নোটিসটি বেলডাঙা শাখার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘে পৌঁছেছে বেলডাঙা থানার আইসি শমিত তালুকদারের মাধ্যমে।

এ ঘটনাটি গত সপ্তাহে শুরু হয়েছিল, যখন এক মহিলা নবগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ(kartik Maharaj) দায়ের করেন। ওই মহিলা দাবি করেছেন যে, ২০১৩ সালে নবগ্রাম থানার চাণক্য ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের একটি বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে স্বামী প্রদীপ্তানন্দ ওরফে কার্তিক মহারাজ তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরে, এই ঘটনায় তিনি গর্ভপাত করাতে বাধ্য হন বলে অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা।(kartik Maharaj) 

   

এদিকে, নবগ্রাম থানার পুলিশ এই অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত চালাচ্ছে এবং কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে চায়। পুলিশ জানান, মহারাজের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তাঁকে জেরা করা প্রয়োজন। এই কারণে, নবগ্রাম থানায় হাজির হওয়ার জন্য তাঁকে আইনি নোটিস দেওয়া হয়েছে।(kartik Maharaj) 

এখন, প্রশ্ন হচ্ছে—কার্তিক মহারাজ আসলে এই অভিযোগের বিষয়ে কী বলছেন? যদিও তিনি আগে অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছিলেন, এবং বলেছিলেন যে গোটা বিষয়টি তাঁর লিগ্যাল সেল দেখছে, তবে তার পরও আইনি নোটিসের মাধ্যমে তাঁকে পুলিশি তদন্তের জন্য তলব করা হয়েছে। কার্তিক মহারাজের প্রতিনিধি, স্বামী অনির্বাণানন্দজী এই নোটিস গ্রহণ করেছেন, তবে মহারাজ নিজে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।(kartik Maharaj) 

নবগ্রাম থানার পুলিশ জানায়, মহারাজের অনুপস্থিতিতে তাঁকে হাজির হওয়ার জন্য যে নোটিস দেওয়া হয়েছে, তা একটি আইনি প্রক্রিয়ার অংশ। পুলিশের ধারণা, অভিযুক্ত মহারাজের বিরুদ্ধে করা অভিযোগটি যদি সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আরও কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে, মহারাজের পক্ষে তাঁর আশ্রমের লিগ্যাল সেল সব সময় সক্রিয় রয়েছে এবং আইনি বিষয়গুলোতে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।

বেলডাঙা শাখার ভূমিকা(kartik Maharaj) 

Advertisements

এ ঘটনার পর, বেলডাঙা শাখার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের মধ্যে চাপের সৃষ্টি হয়েছে। আশ্রমের অনেকে উদ্বিগ্ন যে, এই বিতর্কিত পরিস্থিতি তাদের প্রতিষ্ঠানের মর্যাদায় ক্ষতি করতে পারে। এই ঘটনায় আশ্রমের অন্য সদস্যরা সব সময় কার্তিক মহারাজের পাশে দাঁড়িয়ে তাকে সঙ্গ দিয়ে আসলেও, এবার নতুন আইনি(kartik Maharaj) পদক্ষেপের মাধ্যমে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠছে।

স্বামী প্রদীপ্তানন্দ বা কার্তিক মহারাজকে আশ্রমে একটি গুরুত্বপূর্ণ (kartik Maharaj) ব্যক্তিত্ব হিসেবে দেখা হয়। তাঁর পদ্মশ্রী পুরস্কার এবং দীর্ঘদিনের সেবামূলক কাজের কারণে তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। কিন্তু এই ধর্ষণ অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার ব্যক্তিত্ব এবং অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। যদিও মহারাজ বলেছেন যে, তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং বিষয়টি তাঁর লিগ্যাল সেল দেখছে, তবে পুলিশি তদন্ত চলাকালীন তাকে থানায় হাজিরা দিতে হবে।

আইনগত পর্যায়ে পরবর্তী পদক্ষেপ

আইনগত দৃষ্টিকোণ থেকে, যদি কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সত্যি প্রমাণিত হয়, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করা হয়, এবং তাতে যদি কোন অপরাধের প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে তাকে আদালতে হাজির করানো হয়।(kartik Maharaj) 

মহারাজের বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ ওঠে, তখন তার বিরুদ্ধে ন্যায়বিচারের মুখোমুখি হওয়া অপরিহার্য। পাশাপাশি, অভিযুক্তরা যদি খালাস পান, তবে সেটা কেবলমাত্র আইন অনুযায়ী, প্রমাণিত তথ্যের ভিত্তিতে সম্ভব হবে।(kartik Maharaj)