ভারতীয়দের ‘ব্রেন ডেড’ বলায় ব্লগারকে সমর্থন, মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে সরব বিজেপি

moitra-faces-political-backlash-for-aligning-with-vloggers-indian-bashing-post

তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra) ঘিরে ফের শুরু হয়েছে বড় রাজনৈতিক বিতর্ক। এক কানাডিয়ান ভ্লগারের সামাজিক মাধ্যমের পোস্টে সমর্থন জানানোর পরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক উত্তেজনা। ওই ভ্লগার দীপাবলির সমালোচনা করে ভারতীয়দের ‘ব্রেন ডেড’ বা ‘মস্তিষ্কহীন’ বলে মন্তব্য করেছিলেন, যা নিয়ে দেশজুড়ে ক্ষোভ ছড়ায়। আর সেই পোস্টে মহুয়া মৈত্রর ‘লাইক’ ও প্রতিক্রিয়া দেখা যেতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে রাজনৈতিক মহলে।

Advertisements

বিতর্কের সূত্রপাত সোশ‌্যাল মিডিয়ায়। কানাডিয়ান ভ্লগার ‘নেট’ নামে পরিচিত একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর তার এক ভিডিও পোস্টে দীপাবলিকে “প্রদূষণময় এবং অযৌক্তিক উৎসব” বলে উল্লেখ করেন। শুধু তাই নয়, তিনি ভারতীয়দের ‘ব্রেন ডেড’ বলে অপমানজনক মন্তব্য করেন। সেই পোস্টের নিচে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ‘সমর্থনমূলক’ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে পোস্টটি ভাইরাল হয়ে পড়ে, এবং শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। বিজেপি অভিযোগ তোলে, একজন সাংসদ হয়েও মহুয়া মৈত্র ভারত ও হিন্দু ধর্মের উৎসবের বিরুদ্ধে ‘বিদ্বেষপূর্ণ’ মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন। বিজেপি নেতাদের দাবি, এটি কেবল দীপাবলির অপমান নয়, গোটা দেশের সংস্কৃতির প্রতি আঘাত। দলের মুখপাত্ররা একে “অ্যান্টি-ইন্ডিয়া” এবং “অ্যান্টি-হিন্দু” মানসিকতার প্রকাশ বলে কটাক্ষ করেন।

সমালোচনার মুখে মহুয়া মৈত্র এক্স-এ নতুন একটি পোস্ট করে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। তিনি লেখেন, বাংলায় অর্থ করলে দাঁড়ায়, “আমি শুধু স্পষ্ট করছি— আমার টুইটার ফিডে একাধিক ভিডিও দেখাচ্ছিল। আমি আসলে ওই বর্ণবাদী ভিডিওটির নিচে থাকা অন্য একটি ভিডিওতে সমর্থন জানাতে চেয়েছিলাম। ভ্রমণে ছিলাম, তাই ভালোভাবে চেক করতে পারিনি।”

অর্থাৎ, মহুয়া দাবি করেছেন এটি একটি ভুল বোঝাবুঝি। তিনি যে পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন, সেটি ভুলবশত হয়ে গিয়েছে। তিনি আসলে অন্য একটি ভিডিওকে সমর্থন জানাতে চেয়েছিলেন। তবে বিজেপি তাঁর এই ব্যাখ্যা মানতে নারাজ। দলের নেতাদের বক্তব্য, এটি “জনপ্রিয় অসহিষ্ণুতা ঢাকতে দেরিতে দেওয়া দায়সারা ব্যাখ্যা”।

Advertisements

বিজেপি নেতারা দাবি করেছেন, “মহুয়া মৈত্র যেভাবে দীপাবলির বিরুদ্ধে ওই বিদেশি ভ্লগারের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তা দেশের আবেগের প্রতি অপমান। পরে তিনি ক্ষমা চাইলেও প্রথম প্রতিক্রিয়া অনেক কিছুই বলে দিয়েছে।”

তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেনি। দলের এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, “মহুয়া নিজেই বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন। এটি একটি ভুল ক্লিকের ঘটনা, এর বেশি কিছু নয়।”