ধর্মতলায় মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ভাষা আন্দোলের মঞ্চ খুলে ফেলেছে সেনাবাহিনী (Mamata Banerjee)। সেই ভাঙা মঞ্চেই পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তার সঙ্গে এই মঞ্চে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং মদন মিত্র।
ঘটনাস্থলে পৌঁছেই মমতা দাবি করেন তিনি যখন ঘটনাস্থলে আসছিলেন, তাকে দেখে সেনাবাহিনী পালাতে থাকে। তিনি আরো বলেন ভারতীয় সেনা বাহিনীর উপরে কারুর কোনো রাগ নেই।
আমরা তাদের সম্মান করি, কিন্তু বিজেপি সেনাবাহিনীর অপব্যবহার করছে। ক্ষমতার অপব্যাবহার করছে। মমতা দাবি করেন বিজেপি পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে পারত কিন্তু তা না করে তারা আইন তুলে দিয়েছে সেনাবাহিনীর হাতে।
ভাঙা মঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন এখন আর কোনো এজেন্সি নিরপেক্ষ নেই। এরা ভোটের আগে থেকেই বাংলায় বিভিন্ন এজেন্সি পাঠিয়ে সরকারকে বদনাম করার চেষ্টা করে। তার সঙ্গে তিনি বলেন আমি খোলা আকাশ কে আমার অভিযোগ জানাচ্ছি কারণ আর কাউকে অভিযোগ জানাবার নেই।
তিনি বলেন মেয়ো রোড নয় এবার থেকে রানী রাসমণি রোডে এই প্রতিবাদ সভা হবে এবং তা প্রত্যেকদিন হবে। এছাড়াও তিনি ঘোষণা করেন এই মঞ্চ ভাঙার প্রতিবাদে কাল জেলায় জেলায় প্রতিবাদ মিছিল করতে হবে। ধর্মতলার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে সকালবেলাতেই তৃণমূল কংগ্রেসের ভাষা আন্দোলনের প্রতিবাদ মঞ্চ সেনাবাহিনীর তরফে খুলে দেওয়া হয়।
সেনাবাহিনী জানায় শনিবার ও রবিবার ধর্মতলায় চলা এই প্রতিবাদ কর্মসূচির সময়সীমা শেষ হওয়ায় সেনাবাহিনী মঞ্চ ভেঙে ব্যারিকেড সরিয়ে নিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে বাংলা ভাষা ও বাঙালি অস্মিতার উপর আক্রমণের প্রতিবাদে এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল, যা গত ২৭ জুলাই নানুর দিবস থেকে প্রতি শনি-রবিবার ধর্মতলায় চলছিল।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই কর্মসূচি রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে। সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ায় মঞ্চ ও ব্যারিকেড সরানো হয়েছে, তবে তৃণমূল দাবি করছে সেনা বাহিনী কেন্দ্রীয় সরকারের।
তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই তারাই নির্দেশ দিয়েছেন এই মঞ্চ খুলে ফেলার। তৃণমূল অভিযোগ করেছে বাংলার বাইরে বাঙালিদের যে বঞ্চনা তার প্রতিবাদ করতে দিতে চায়না বিজেপি। তাই সেনাবাহিনী পাঠিয়ে এই মঞ্চ খুলে ফেলছে তারা।
রাজস্থান থেকে রাহুলকে ‘লাথি মেরে বার’! তোপ দাগলেন প্রাক্তনী
মমতা আরও বলেছেন সেনাবাহিনীর পোশাক খুব সম্মানের কিন্তু বিজেপি যেভাবে সেনাবাহিনীকে দিয়ে অনৈতিক কাজ করাচ্ছে তাতে সেনার সম্মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন করেন আমার ব্যানার, ছবি এবং দলীয় পতাকা সরাবার কে বিজেপি? তারা কি করে দলীয় পতাকা খুলে ফেলতে পারে।