দিঘার জগন্নাথ দেবের খোয়া ক্ষীর আজ রাজ্যজুড়ে বিতরণ, ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ

বিশ্বস্ত শ্রী জগন্নাথ দেবের পুজা ও ভোগের ঐতিহ্য পৃথিবীজুড়ে (Digha Jagannath Temple)  ভক্তদের মধ্যে এক অমলিন স্থান অধিকার করেছে। এর মধ্যে বিশেষ গুরুত্ব লাভ করেছে…

Mahaprasad from Digha Jagannath Temple to Be Distributed Starting Today

বিশ্বস্ত শ্রী জগন্নাথ দেবের পুজা ও ভোগের ঐতিহ্য পৃথিবীজুড়ে (Digha Jagannath Temple)  ভক্তদের মধ্যে এক অমলিন স্থান অধিকার করেছে। এর মধ্যে বিশেষ গুরুত্ব লাভ করেছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির, যা শুধুমাত্র ধর্মীয় পুণ্যক্ষেত্র নয়, একটি সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক প্রতীক হিসেবেও পরিচিত।(Digha Jagannath Temple)  মহাপ্রভু জগন্নাথ-এর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে প্রতি বছর নানা ধরনের ধর্মীয় আচার পালিত হয়। এবার, সেই আচারেই এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চলেছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। সোমবার বেলায়, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে নিবেদিত খোয়া ক্ষীর বিলি হবে রাজ্যজুড়ে, যা স্থানীয় ও বিশ্বস্ত ভক্তদের মধ্যে এক বিশেষ মহাপ্রসাদ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠবে(Digha Jagannath Temple)  

মা বিমলার মাধ্যমে ভোগ নিবেদনের ঐতিহ্(Digha Jagannath Temple)  

দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের মা বিমলা-এর সঙ্গে এক বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। (Digha Jagannath Temple)  মন্দিরের পুজো প্রথা অনুযায়ী, প্রথমে মা বিমলাকে ভোগ নিবেদন করা হয়। তারপর সেই ভোগই পরিণত হয় মহাপ্রসাদে, যা মহাপ্রভু জগন্নাথ-কে নিবেদন করা হয়। একই পদ্ধতি মেনে, আজকের খোয়া ক্ষীর প্রথমে মা বিমলা-কে নিবেদন করা হবে এবং তারপরে তা পরিণত হবে মহাপ্রসাদে(Digha Jagannath Temple)  

   

মন্দিরের নিত্যপুজোর দায়িত্বে থাকা ইসকনের(Digha Jagannath Temple)  সহ-সভাপতি রাধারমণ দাস জানান, “কালীঘাটের মা কালীই তো জগন্নাথ মন্দিরের মা বিমলা। সেই মা-কে ভোগ নিবেদন করলে ভোগ মহাপ্রসাদ হয়ে যায়। তখনই তা মহাপ্রভুকে নিবেদন করা হয়।” এর মাধ্যমে, দিঘার জগন্নাথ মন্দির এবং(Digha Jagannath Temple)  কলকাতার কালীঘাট মন্দির-এর মধ্যে একটি বিশেষ সম্পর্কের প্রমাণ মেলে। কালীঘাটের মায়ের ভোগে যে পেঁড়া নিবেদন করা হয়, সেটি এখন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের ভোগ হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে(Digha Jagannath Temple)  

খোয়া ক্ষীরের মহাপ্রসাদ বিতরণের উদ্যো(Digha Jagannath Temple)  

এবার, বিশেষভাবে খোয়া ক্ষীর-এর মহাপ্রসাদ তৈরি করা হয়েছে, (Digha Jagannath Temple)  যা রাজ্যের নানা প্রান্তে বিলি করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই এই ঘোষণা করেছেন। আজ সকালেই কলকাতার নির্দিষ্ট স্থান থেকে খোয়া ক্ষীর জগন্নাথ মন্দিরে পৌঁছাবে। এরপর,(Digha Jagannath Temple)  বেলা সাড়ে ১১টায় সেই খোয়া ক্ষীর মন্দিরে মহাপ্রভুর কাছে নিবেদন করা হবে। নিবেদনের পর, সেই ভোগ মহাপ্রসাদ হিসেবে পরিণত হয়ে বিভিন্ন গাড়িতে পরিবহন করে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিলি করা হবে।(Digha Jagannath Temple)  এই মহাপ্রসাদে ভক্তরা শুধু খোয়া ক্ষীরই নয়, সঙ্গে থাকবে গজা, পেঁড়া, এবং খোয়া ক্ষীরের সন্দেশ—একটি বিশেষ ধরনের মিষ্টি যা মানুষের মধ্যে দান হিসেবে বিলি করা হবে।(Digha Jagannath Temple)  

Advertisements

কালীঘাটের মায়ের ভোগ ও দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের সংযোগ(Digha Jagannath Temple)  

দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের বিশেষত্ব হলো এর সংযোগ কালীঘাটের মা কালী মন্দিরের সঙ্গে।(Digha Jagannath Temple)  কালীঘাট মন্দিরের ভোগে যে পেঁড়া দেওয়া হয়, সেটিই আজ দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের ভোগ হিসেবে নিবেদন করা হবে। এটি একটি ঐতিহ্যগত ও ধর্মীয় প্রথা, যেখানে বিভিন্ন(Digha Jagannath Temple)  মন্দিরের ভোগ একে অপরের সাথে যুক্ত হয়ে থাকে। কালীঘাটের মন্দিরের সঙ্গে দিঘার মন্দিরের এই সম্পর্ক, মূলত এক অদৃশ্য আধ্যাত্মিক শক্তির অভিব্যক্তি, যা ভক্তদের কাছে এক অনন্য অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে(Digha Jagannath Temple)  

রাজ্যজুড়ে ভোগের বিতর(Digha Jagannath Temple)  

মঙ্গলবার বেলা ১১টার মধ্যে দিঘার জগন্নাথ মন্দির থেকে(Digha Jagannath Temple)  মহাপ্রসাদ বিতরণের কাজ শুরু হবে। এটি শুধুমাত্র একটি ভোগ বা প্রসাদ বিতরণ নয়, বরং একটি ঐতিহ্যিক ও আধ্যাত্মিক সংস্কৃতির অংশ।(Digha Jagannath Temple)  রাজ্যের নানা প্রান্তে এই খোয়া ক্ষীর পৌঁছানোর মাধ্যমে মহাপ্রভু জগন্নাথ-এর অমৃত মন্দির প্রসাদ সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাবে। এমন একটি ঐতিহ্য, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসছে, আজও তার তাজা রূপে মানুষকে একত্রিত করে(Digha Jagannath Temple)