কসবা গণধর্ষণ (kasba-incident) কান্ড কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক পরিমণ্ডল যথেষ্ট উত্তপ্ত। এবার এই ঘটনায় নয়া মোড় প্রান্তিক চক্রবর্তীর হাত ধরে। অভিযোগ রাজন্যার স্বামী প্রান্তিকের হাত ধরেই নাকি উত্থান এই গণধর্ষণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মনোজিতের। অভিযোগ উঠেছে প্রান্তিকের সুপারিশেই নাকি টিএমসিপির লিগ্যাল সেলে চাকরি পান মনোজিত।
প্রান্তিক চক্রবর্তী (kasba-incident) এবং তার স্ত্রী রাজন্যা হালদার আরজিকর কাণ্ডের আদলে ছবি করে দল থেকে বহিস্কৃত হন। সাম্প্রতিক কালে রাজন্যা একটি বিস্ফোরক অভিযোগ করেন যে তার এ আই করা নগ্ন ছবি ছাত্র পরিষদের নেতাদের মোবাইলে রয়েছে। একাধিকবার সংবাদ মাধ্যমের সামনে এই অভিযোগ করেন তিনি এবং কান্নায় ভেঙেও পড়েছিলেন। তার পরেই শুরু হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ার সমালোচনা।
বিরোধী (kasba-incident) থেকে শুরু করে তৃণমূলের একাংশের দাবি ছিল, রাজন্যা এই কথা জেনে থাকলে তা নিয়ে তৎক্ষণাৎ কেন কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেননি। আবার কেউ কেউ বলেছেন রাজন্যার কুমিরের কান্নার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। রাজন্যা এবং প্রান্তিক কসবা কাণ্ডের পর বহুবার সংবাদ মাধ্যমের সামনে এসেছেন কিন্তু কখনোই ঘুনাক্ষরেও কাউকে জানতে দেননি মনোজিত তার পূর্ব পরিচিত। প্রান্তিকের সুপারিশেই চাকরি পেয়েছিল মনোজিত।
আইনজীবী তিতাস মান্না সরাসরি অভিযোগ করেছেন, (kasba-incident) টিএমসিপির লিগ্যাল সেলের কান্ডারি হলেন এই প্রান্তিক চক্রবর্তী। এই প্রান্তিক চক্রবর্তী ই মনোজিত কে লিগ্যাল সেলের কোঅর্ডিনেটরের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তিতাস স্পষ্ট জানিয়েছেন লিগাল সেল তৈরী করে প্রান্তিক অনেক আগেই ,মনোজিৎ মিশ্রকে নিয়োগ করতে চেয়েছিলেন।
লঞ্চ হয়েই 15,000 টাকা সস্তা হল Hero Vida VX2, ই-স্কুটার কিনতে লম্বা লাইন ক্রেতাদের!
কিন্তু তিতাস (kasba-incident)এবং অন্যদের কঠোর বিরোধিতায় তা সম্ভব হয়নি। ২০২২ এ তিতাস কে শোকজ করা হলে সেই সুযোগে প্রান্তিক মনোজিত কে নিয়োগ করেন। তিতাস আরও বলেন “প্রথম থেকেই আমরা জানি মনোজিতের চরিত্র। তাই বিরোধিতা করেছিলাম। প্রান্তিক দলের ভিতরেই রাজনীতি করে মনোজিত কে নিয়ে এসেছে।” “আমরা মনোজিতের বিভিন্ন দুর্নীতির কথা জানতাম কিন্তু প্রান্তিক তা মানেনি।”
রাজন্যা এবং প্রান্তিক দল থেকে বহিস্কৃত হয়েছিলেন আগেই। কসবা কাণ্ডের পর থেকেই বিভিন্ন সমাজ মাধ্যমের সামনে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন দুজন। কখনো রাজন্যা একাও সাক্ষাৎকার দিয়েছেন এবং করেছেন বিস্ফোরক অভিযোগ। এমনকি মনোজিত কেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন বহুবার। কিন্তু এতো কিছুর মধ্যেও নিজেদের আসল কীর্তিটা তারা বলেননি।
কিন্তু তিতাসের এই বিস্ফোরক অভিযোগের ভিত্তিতে আজ সবার কাছেই পরিষ্কার মনোজিত এবং প্রান্তিক পূর্ব পরিচিত। এবং মনোজিতের নাম বিভিন্ন অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও প্রান্তিক তাকে লিগ্যাল সেলের কোঅর্ডিনেটর হিসেবে নিয়োগ করেছেন।