ফুটবল উন্মাদনায় যুবভারতীকে ছাপিয়ে ডুরান্ড কাপে হাউসফুল জামশেদপুর!

এশিয়ার প্রাচীনতম ফুটবল টুর্নামেন্ট ডুরান্ড কাপের (Durand Cup 2025) ১৩৪তম আসরে প্রথমবারের মতো জ্বলে উঠলো জামশেদপুরের ফুটবল জোয়ার। ম্যাচের আগের দিন সকাল থেকেই ফুটবলপ্রেমীদের ঢল…

Durand Cup 2025 Function at Jamshedpur to Witness Spectacular Defense Extravaganza and Cultural Celebration

এশিয়ার প্রাচীনতম ফুটবল টুর্নামেন্ট ডুরান্ড কাপের (Durand Cup 2025) ১৩৪তম আসরে প্রথমবারের মতো জ্বলে উঠলো জামশেদপুরের ফুটবল জোয়ার। ম্যাচের আগের দিন সকাল থেকেই ফুটবলপ্রেমীদের ঢল নামে জেআরডি টাটা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে স্টেডিয়ামে, যেখানে সকাল থেকেই শুরু হয়েছিল টিকিট বিতরণ। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সৌজন্যে সম্পূর্ণ ফ্রি এন্ট্রি ঘোষণা করতেই যেন জনস্রোত উপচে পড়ে।

২৩ জুলাই দুপুর ৩টার মধ্যেই ২২,৫০০ আসনের সবক’টি টিকিট বিতরণ শেষ হয় বলে জানা গিয়েছে। সেদিন স্টেডিয়ামের গেটের বাইরে লম্বা লাইন, কেউ এসেছে সকাল ৭টা থেকে, কেউ বা পরিবার নিয়ে অপেক্ষা করেছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সকলের লক্ষ্য একটাই, প্রিয় দল জামশেদপুর এফসির (Jamshedpur FC) ম্যাচ দেখা।

   

৪ মাস পর মাঠে নামছে জামশেদপুর এফসি। শেষবার দেখা গিয়েছিল তাদের আইএসএলের (ISL) সেমিফাইনাল দ্বিতীয় লেগে। তাই এই ম্যাচ ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই শহরে উত্তেজনার পারদ চড়েছে। এমনকি অনেকেই জেএফসির জার্সি পরে হাজির হয়েছিলেন, সঙ্গে হাতে দলীয় পতাকা ও ড্রাম বাজিয়ে শহরে ফুটবল উৎসবের চেহারা নিয়েছে।

আজ ২৪ জুলাই সন্ধ্যায় জামশেদপুর এফসি মুখোমুখি হচ্ছে নেপালের ত্রিভুবন আর্মি এফসির বিপক্ষে (Tribhuvan Army FC)। এই ম্যাচটি শুধু একটি আন্তর্জাতিক ক্লাব ম্যাচ নয়, বরং শহরবাসীর কাছে গর্বের বিষয়। জামশেদপুরের মাটি থেকে আন্তর্জাতিক ম্যাচ সরাসরি দেখতে পারা এই শহরের ফুটবল প্রেমীদের জন্য এক বিশেষ মুহূর্ত।

Advertisements

ডুরান্ড কাপের আয়োজক সংস্থা ও ভারতীয় সেনাবাহিনী এই ম্যাচটিকে শুধুমাত্র ক্রীড়াজগতের একটি ইভেন্ট হিসেবে না দেখে, শহরের সাধারণ মানুষের জন্য উৎসব হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছে। স্টেডিয়ামজুড়ে থাকবে ব্যান্ড পারফরম্যান্স, লোকসঙ্গীত, স্থানীয় কৃষ্টি ও সংস্কৃতির প্রদর্শন।

ডুরান্ড কাপে এমন উদ্যোগের মাধ্যমে স্থানীয় মানুষের ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা এবং আগ্রহকে সম্মান জানানোই মূল উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন ডুরান্ড কাপ অর্গানাইজিং কমিটির (DCOC) এক মুখপাত্র। তার ভাষায়, “জামশেদপুর শহরের ফুটবলপ্রেম অস্বীকার করার উপায় নেই। এখানে ম্যাচ মানেই একটা উয়সব। আমরা চাইছি এই উৎসবকে আরও বড় পরিসরে ছড়িয়ে দিতে।”