সীমান্ত পেরিয়ে হামলার চেষ্টা, যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কা, দিল্লিতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে (India-Pakistan Conflict)  ফের একবার উত্তেজনার পারদ চরমে। ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের পর এই প্রথম এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে চলেছে উপমহাদেশ। সীমান্তে লাগাতার…

India-Pakistan Conflict: Pakistan Mobilizes Troops Near Border, Colonel Sofia Qureshi Confirms Escalation

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে (India-Pakistan Conflict)  ফের একবার উত্তেজনার পারদ চরমে। ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের পর এই প্রথম এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে চলেছে উপমহাদেশ। সীমান্তে লাগাতার গোলাবর্ষণ তো হচ্ছেই, তার সঙ্গে এবার পাকিস্তান সেনাবাহিনী সরাসরি সীমান্ত (India-Pakistan Conflict)  বরাবর নিজেদের বাহিনী মোতায়েন করতে শুরু করেছে। ভারত সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে যে, পরিস্থিতি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে সেনাবাহিনীর(India-Pakistan Conflict)  কর্নেল সোফিয়া কুরেশি জানান, পাকিস্তান চারটি রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা মোট ২৬টি গুরুত্বপূর্ণ মিলিটারি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। এই হামলার (India-Pakistan Conflict)  জবাবে ভারতও চারটি পাক এয়ারবেসে(India-Pakistan Conflict)  পাল্টা আঘাত হেনেছে। কর্নেল কুরেশি আরও বলেন, “পাকিস্তান সেনা সীমান্তের দিকে যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে, তা নিছক প্রতিরক্ষা কৌশল নয়—এটি সরাসরি আক্রমণের ইঙ্গিত।”

   

উল্লেখ্য, উইং কম্যান্ডার ব্যোমিকা সিং-ও (India-Pakistan Conflict)  এই বিষয়ে একমত প্রকাশ করে জানান যে, পাকিস্তান তাদের বাহিনী সীমান্ত বরাবর এগিয়ে এনে ভারতের সার্বভৌমত্বে সরাসরি (India-Pakistan Conflict)  আঘাত হানতে চাইছে। তিনি বলেন, “এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের পরিকল্পিত সামরিক (India-Pakistan Conflict)  আগ্রাসনের পরিচয় বহন করে।” তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী (India-Pakistan Conflict)  সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং দেশের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় পাকিস্তান (India-Pakistan Conflict)  একাধিকবার ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও অসামরিক স্থাপনায় হামলার চেষ্টা করেছে। উধমপুর, পাঠানকোট, ভূজ, ভাটিন্ডা সহ ২৬টি কৌশলগত এলাকাকে নিশানা করে একাধিক রকেট এবং ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। পঞ্জাবের একটি এয়ারবেসেও রাত ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ হাই-স্পিড মিসাইল দিয়ে হামলার চেষ্টা হয়েছিল, তবে ভারতীয় প্রতিরক্ষা (India-Pakistan Conflict)  ব্যবস্থা তা সফলভাবে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।

পাশাপাশি ভারতের পশ্চিম সীমান্তে একটানা নজরে এসেছে ড্রোন ও যুদ্ধবিমান(India-Pakistan Conflict)  চালিত আক্রমণ। পাকিস্তান এমনকি লং রেঞ্জ মিসাইলও ব্যবহার করছে, যা যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কা আরও জোরালো করে তুলছে।

এই প্রেক্ষাপটে দিল্লিতে প্রতিরক্ষা দপ্তরে (India-Pakistan Conflict)  উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং সামরিক বাহিনীর (India-Pakistan Conflict) শীর্ষ কর্তারা যুদ্ধের সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে আলোচনা করছেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক (India-Pakistan Conflict) থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্ডার এলাকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সক্রিয় করা এবং রণসজ্জা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান এই ধরণের আচরণ করে (India-Pakistan Conflict) আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট করতে চাইছে। এ ধরনের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক নিয়ম ও সমঝোতার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক মহল এই পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে এবং উভয় পক্ষকে সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে।

ভারতের জনগণের মধ্যে স্বভাবতই উদ্বেগ ছড়িয়ে (India-Pakistan Conflict)  পড়েছে। তবে সরকারের তরফ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, দেশ নিরাপদ হাতে রয়েছে। সেনাবাহিনী পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে এবং দেশের প্রতিরক্ষার জন্য যে কোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।

এখন দেখার বিষয়, দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক(India-Pakistan Conflict)  স্তরে কোনো আলোচনার রাস্তা খোলা হয় কিনা, নাকি পরিস্থিতি আরও জটিল ও ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। আপাতত যুদ্ধের ছায়া স্পষ্ট, আর ভারত প্রস্তুত প্রতিটি সম্ভাব্য মোকাবিলার জন্য।

Advertisements