পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি কেন্দ্রিক একটি বড় খবর সামনে এসেছে। পশ্চিমবঙ্গের হাই কোর্ট গত মঙ্গলবার বিজেপি নেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) অধিকারীকে মহেশতলায় যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে, তবে কিছু শর্তের ভিত্তিতে। শুভেন্দু অধিকারী, যিনি বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দল বিজেপির প্রভাবশালী নেতা, দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে, এবং সম্প্রতি তিনি মহেশতলায় জনসভা করার পরিকল্পনা করেছিলেন।(Suvendu Adhikari)
এই মামলার প্রেক্ষিতে, হাই কোর্ট তাকে মহেশতলায় যাওয়ার অনুমতি দিলেও, কিছু শর্ত আরোপ করেছে। এর মধ্যে অন্যতম শর্ত হলো, তিনি মহেশতলায় কোনও ধরনের অশান্তি বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন না। তার সফরের সময় তিনি কোনোভাবেই আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে পারবেন না এবং তাঁর সফরের পরিকল্পনা পূর্বে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে হবে।(Suvendu Adhikari)
কোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী কোনো ধরনের (Suvendu Adhikari) রাজনৈতিক প্রচারণা করতে পারবেন না এবং শুধুমাত্র একটি শান্তিপূর্ণ জনসভা করার অনুমতি দেওয়া হবে। তার সফরের সময় পুলিশ বিভাগের অধীনে থাকবে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাও কড়া থাকবে। এর পাশাপাশি, যদি কোনও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে তার সফর বাতিল করা হবে এবং তাকে আদালত নির্দেশিত শর্তাবলী অনুসরণ করতে হবে।(Suvendu Adhikari)
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী গত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক(Suvendu Adhikari) অস্থিরতার এক অন্যতম চরিত্র হয়ে উঠেছেন। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা ছিলেন, কিন্তু ২০২০ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। তারপর থেকেই তাঁর রাজনৈতিক যাত্রা নানা উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে তাঁর কর্মসূচি ও জনসভাগুলোকে কেন্দ্র করে বহুবার রাজনৈতিক সংঘর্ষ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।(Suvendu Adhikari)
বিপক্ষ দলের নেতা এবং তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রীরা দাবি করেছেন, শুভেন্দুর সফর রাজ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করবে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে(Suvendu Adhikari) পারে। তারা এই সফরকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও উল্লেখ করেছেন। তবে, আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে শুভেন্দু যদি আদালতের শর্তাবলী পালন করেন, তবে তার সফরের অনুমতি থাকবে।(Suvendu Adhikari)
এই ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে নতুন দৃষ্টিকোণ আনতে পারে এবং এটি আরও কিছু প্রশ্নও উত্থাপন করেছে। কোর্টের শর্তগুলো কি আদৌ সফলভাবে বাস্তবায়িত হবে? শুভেন্দু কি আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করে তাঁর সফর সম্পন্ন করতে পারবেন? আগামী দিনে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কি আরও উত্তপ্ত হবে, নাকি শান্তির দিকেই যাবে?(Suvendu Adhikari)
এটাই সময় দেখাবে, তবে এই সিদ্ধান্তের পর রাজ্যের রাজনীতি ও প্রশাসনের মধ্যে কিছু অস্বস্তি অবশ্যই দেখা দেবে।
