Birbhum: এবার অণ্ডকোষ ঠিকই আছে, তবে কতটা ‘অসুস্থ’ কেষ্ট

Birbhum: থানায় হাজিরা না দিয়ে ফের ‘বীরভূমের বাঘ’ অসুস্থ। খোদ বীরভূম জেলা তৃণমূলের অন্দরেই ফিসফাস চলছে এবার তো কেষ্টদার অণ্ডকোষে আর যন্ত্রণা নেই তাহলে কী…

National Women's Commission Sends Another Letter to DG Demanding Confiscation of Anubrata's Mobile Phone"

Birbhum: থানায় হাজিরা না দিয়ে ফের ‘বীরভূমের বাঘ’ অসুস্থ। খোদ বীরভূম জেলা তৃণমূলের অন্দরেই ফিসফাস চলছে এবার তো কেষ্টদার অণ্ডকোষে আর যন্ত্রণা নেই তাহলে কী হয়েছে?

অসুস্থ অনুব্রত মন্ডল (কেষ্ট),বিছানায় শুয়ে আছেন বাড়িতে SDPO অফিসের সামনে এমনই বলছেন অনুব্রত গোষ্ঠীর জেলা তৃণমূল নেতারা তবে জেলার অপর দাপুটে নেতা কাজল শেখ ঘনিষ্ঠদের কটাক্ষ, ওর সব ভড়়ং। দল থেকে বহিষ্কার করা হোক।

   

পুলিশ অফিসারকে ফোনে মারার হুমকি ও তার মা-বৌকে ধর্ষণের হুমকি দে়ওয়া ‘বীরভূমের বাঘ’ অনুব্রত মণ্ডল দলীয় নির্দেশ মেনে ‘দিদির পুলিশ’-এর কাছে ব্যক্তিগত ক্ষমা চেয়েছেন। আর পুলিশ মহলে চলছে তীব্র উষ্মা। পুলিশের পক্ষ থেকে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে চারটি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুটি জামিন অযোগ্য ধারা দেওয়া হয়েছে।  ক্ষমা চাইলেও থানায় হাজিরা দিতে হবে। তবে ‘বাঘ’ গরহাজির।

রবিবার দ্বিতীয় দফায় হাজিরা এড়ান অনুব্রত মণ্ডল। এদিন বেলা ১১টার সময় এসডিপিও অফিসে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল বীরভূমের জেলা তৃণমূলের প্রাক্কন সভাপতির। বোসপুরের আইসিকে অকথ্য ভাষায় হুমকি দে়ওয়ার তদম্তে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। শনিবার ও রবিবার পরপর হাজিরা এড়িয়ে যান অনুব্রত মণ্ডল।

গরু পাচার তদন্তে বারবার সিপিআই জেরা এড়াতেন অনুব্রত। তখন তিনি দাবি করেছিলেন অণ্ডকোষে যন্ত্রনার কথা। তবে দাবি উড়়িয়ে বোলপুরের বাড়ি থেকে অনুব্রত তথা কেষ্টকে গ্রেফতার করা হ়য। তিহার জেলে ছিলেন কেষ্ট। এখন জামিনে মুক্ত।

Advertisements

জেল থেকে জেলায় ফিরে অনুব্রত রাজনীতিতে আগের মতো সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে তার অনুপস্থিতিতে জেলায় প্রতিপক্ষ কাজল শেখ গোষ্ঠী বিশেষ ক্ষমতাশালী হয়েছে। ফলে দুই নেতার দ্বন্দ্ব তীব্র।

গত বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক মাধ্যমে একটি অডিও ভাইরাল হয় যেখানে অনুব্রত মণ্ডলকে বোলপুর থানার আইসিকে সরাসরি অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করতে শোনা যায়। তৃণমূলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, ‘‘অনুব্রত মণ্ডল একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অবমাননা কর মন্তব্য করেছেন, তার সঙ্গে আমাদের দল সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করছে এবং এই মন্তব্যকে সমর্থন করছে না।’’

আইসি কে কুকথায় হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি অনুব্রত কাজল শেখের নাম নেন। এতে আরও স্পষ্ট হ়য দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব চলছে। সম্প্রতি দ্বন্দ্ব নিরসনে বীরভূম জেলা়য ত়ৃণমূলের কোনও সাংগ়ঠনিক সভাপতি পদ রাখেননি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার বিশেষ প্রিয় অনুব্রতকে নিয়ে একটি সাংগঠনিক কোর কমিটি গড়ে দেন। এতে স্থান পায় কাজল শেখ।