প্রথম শ্রেণি থেকেই সেনা প্রশিক্ষণ, ‘অপারেশন সিঁদুর’–এর পর বড় ঘোষণা সরকারের

সাম্প্রতিক সময়ে মহারাষ্ট্র সরকার (Maharashtra) একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, যা রাজ্যের(Maharashtra) শিক্ষা ব্যবস্থায় এক নতুন দিশা দেখাতে চলেছে। শিক্ষামন্ত্রী দাদা ভুসে ঘোষণা করেছেন যে,…

Patriotism and Discipline: Maharashtra Schools to Begin Military Training from Grade 1

সাম্প্রতিক সময়ে মহারাষ্ট্র সরকার (Maharashtra) একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, যা রাজ্যের(Maharashtra) শিক্ষা ব্যবস্থায় এক নতুন দিশা দেখাতে চলেছে। শিক্ষামন্ত্রী দাদা ভুসে ঘোষণা করেছেন যে, প্রথম শ্রেণি থেকেই স্কুলের পড়ুয়াদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। দেশপ্রেম, শৃঙ্খলা ও শারীরিক(Maharashtra) সক্ষমতার বিকাশ ঘটানোর উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।(Maharashtra) 

Advertisements

এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যজুড়ে(Maharashtra) নানা মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। (Maharashtra) এটি দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে এমন একটি সাহসী পদক্ষেপ নিতে চলেছে, (Maharashtra) যেখানে প্রাথমিক স্তর থেকেই সামরিক প্রশিক্ষণকে শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রীর কথায়,(Maharashtra) “দেশের প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ ছোট থেকেই গড়ে তুলতে হবে। শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য শৃঙ্খলা ও ফিটনেস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেনা প্রশিক্ষণ এই সব গুণ বিকাশে সহায়ক হবে।”(Maharashtra) 

   

এই প্রকল্প বাস্তবায়নে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই (Maharashtra) বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রথম ধাপে স্কুলগুলিতে সামরিক প্রশিক্ষণের প্রাথমিক (Maharashtra) পরিকাঠামো তৈরি করা হবে। এরপর ক্রীড়া শিক্ষক, এনসিসি (ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর), স্কাউটস অ্যান্ড গাইডস এবং সর্বোপরি অবসরপ্রাপ্ত প্রায়(Maharashtra) আড়াই লক্ষ সেনা কর্মীকে স্কুলগুলিতে নিয়োগ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই প্রস্তাব ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিসের কাছে পেশ করা হয়েছে এবং তিনি এই উদ্যোগে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।(Maharashtra) 

এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার পরিসরে শৃঙ্খলা, জাতীয়তা ও আত্মনির্ভরশীলতার মানসিকতা গড়ে তোলা। শিশুরা(Maharashtra) ছোটবেলা থেকেই যদি(Maharashtra) শারীরিক চর্চা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অভ্যস্ত হয়, তাহলে তারা ভবিষ্যতে আরও আত্মবিশ্বাসী ও দায়িত্ববান নাগরিক(Maharashtra) হিসেবে গড়ে উঠবে। দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা, সামাজিক দায়িত্ববোধ এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ — এই তিনটি গুণ একজন সুস্থ নাগরিকের মূল ভিত্তি। এবং এই গুণগুলো ছোটবেলা থেকেই গড়ে তুললে তা আজীবনের সঙ্গী হয়(Maharashtra) 

তবে এই পরিকল্পনার বাস্তব রূপদান কতটা সফল হবে, তা সময়ই বলবে। অনেকে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন, আবার কেউ কেউ এর সমালোচনাও করছেন। সমালোচকদের (Maharashtra) মতে, শিশুদের ওপর শারীরিক প্রশিক্ষণের অতিরিক্ত চাপ দেওয়া উচিত নয়। প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক উন্নয়নের জন্য বয়সোপযোগী শিক্ষাই প্রাধান্য পাওয়া উচিত। তবে শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, এই প্রশিক্ষণ কঠোর কোনও (Maharashtra) সামরিক ড্রিল হবে না বরং তা শিশুদের উপযোগীভাবে পরিকল্পিত হবে।(Maharashtra) 

এই নতুন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে দেশের শিক্ষা ও(Maharashtra) প্রতিরক্ষা নীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। যদি সঠিক পরিকল্পনা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায়, তাহলে এটি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়াও, এটি জাতীয় ঐক্য, সহনশীলতা এবং সমাজসেবার মানসিকতা গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।(Maharashtra) 

সবশেষে, মহারাষ্ট্র সরকারের এই সিদ্ধান্ত যে শুধু একটি শিক্ষামূলক পরিকল্পনা নয়, বরং আগামী প্রজন্মকে সুশৃঙ্খল, সুস্থ ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে তোলার এক গঠনমূলক প্রচেষ্টা — তা বলাই যায়। এই উদ্যোগ সফল হলে তা অন্যান্য রাজ্যের কাছেও এক প্রেরণার উৎস হয়ে উঠতে পারে।(Maharashtra)