২১শে জুলাই, বাংলার ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এটি শুধুমাত্র একটি (Abhishek Banerjee) তারিখ নয়, এক প্রতিরোধের কাহিনী, যা গণতন্ত্রের প্রতি বাংলার অবিচল আস্থার প্রতীক। এই দিনে, ১৯৯৩ সালে, ১৩ জন সাহসী ব্যক্তি শহিদ হন যারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁদের আত্মদান ছিল কোনো ক্ষমতা দখলের লড়াই নয়, ছিল একটি সশস্ত্র প্রতিরোধ, যা আমাদের রাজ্য এবং দেশের ভবিষ্যতকে নতুন দিশা দেখাতে সাহায্য করেছে।(Abhishek Banerjee)
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিশেষ দিনে এক্স হ্যান্ডলে একটি আবেগপ্রবণ বার্তা প্রকাশ করেছেন। তিনি লেখেন, ‘‘আত্মসমর্পণ নয়, রুখে দাঁড়ানোই আমাদের পরম্পরা।’’ তাঁর মতে, ২১শে জুলাই শুধু একটি তারিখ নয়, এটি বাংলার গণতান্ত্রিক রাজনীতির এক অমোঘ চিহ্ন। অভিষেক আরও উল্লেখ করেন, ‘‘শহিদ দিবসে আমাদের মনে রাখতে হবে, বুলেট শরীরকে মারতে পারে, বিশ্বাস নয়।’’ এর মাধ্যমে তিনি বাংলার জনগণের অদম্য মনোবল এবং নিরন্তর সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন। বাংলার উদ্যমকে কেউ কখনো পিষে দিতে পারবে না, কারণ এখানে গণতন্ত্রের প্রতি অটুট আস্থা আছে।(Abhishek Banerjee)
১৯৯৩ সালের শহিদ দিবসে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছিলেন, তাঁদের আত্মত্যাগ শুধুমাত্র শাসন ক্ষমতা কিংবা রাজনৈতিক আধিপত্যের লড়াই ছিল না। এটি ছিল এক মহান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ, যেখানে সাধারণ মানুষ নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রুখে দাঁড়িয়েছিল। সেই আন্দোলন কেবল একটি রাষ্ট্রীয় পরিবর্তনের সূচনা করেনি, বরং এটি ভারতের গণতান্ত্রিক আদর্শের প্রতি জনগণের বিশ্বাসকে আরও শক্তিশালী করেছে।(Abhishek Banerjee)
শহিদ দিবসের এই দিনটিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এমনভাবে স্মরণ করেন যেন এটি বাংলার মানুষের জন্য এক অমর লড়াইয়ের চিহ্ন। তিনি জানান, ‘‘সেই দিন আমরা প্রমাণ করেছি, বাংলার মাটি আমাদের জন্য ত্যাগের চিহ্ন।’’ শহিদের আত্মদান যেন এক অসীম শক্তির প্রতীক, যা শোষণ, নিপীড়ন বা অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী আওয়াজ তুলে। আজও এই শহিদ দিবসে আমরা তাঁদের স্মরণ করি, তাঁদের সাহস ও ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।(Abhishek Banerjee)
এ দিনটিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে চেয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘‘আমাদের এই আন্দোলন কেবল রাজনীতি বা ক্ষমতা দখলের জন্য নয়, এটি একটি সাংবিধানিক লড়াই, যেখানে গণতন্ত্র, মানুষের অধিকার এবং বাক স্বাধীনতার জয় হবে।’’ এই বার্তা নতুন প্রজন্মকে যে অনুপ্রাণিত করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গণতন্ত্র রক্ষায় একতা এবং সঙ্ঘবদ্ধ সংগ্রামের প্রতি অভিষেকের আহ্বান স্পষ্ট। ‘‘ঘৃণাকে পরাস্ত করতে হবে একতার মাধ্যমে,’’—এই অঙ্গীকার নিয়ে তিনি শহিদ দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
বাংলার ইতিহাসে শহিদ দিবসের দিনটি এক বিরাট চিহ্ন হয়ে রয়েছে। এটি কেবল রাজনৈতিক স্মৃতিচিহ্ন নয়, এটি মানবাধিকার, মানুষের অধিকার এবং নাগরিক স্বাধীনতার এক শক্তিশালী সুরক্ষা। ১৯৯৩ সালের আন্দোলন, যেখানে ১৩ জন বীর শহিদ হয়েছেন, আজও মানুষের মননে চিরকালীন প্রেরণা। তৃণমূল কংগ্রেস সেই আন্দোলনের উত্তরসূরি হয়ে এগিয়ে চলেছে, এবং তাদের সংগ্রাম আজও শেষ হয়নি। শহিদ দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, যে কোনো পরিস্থিতিতেই, গণতন্ত্রের শিখা কখনো নিভে যেতে পারে না। শহিদের আত্মদানে আজও বাংলার রাজনীতির অঙ্গীকার গড়ে উঠেছে: ‘‘গণতন্ত্র রক্ষায় আমরা একসঙ্গে।’’
আজও বাংলার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ধারা অব্যাহত রয়েছে, এবং ২১শে জুলাইয়ের শহিদ দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন একটি দীর্ঘ সংগ্রামের ফল, যা মানুষের চেতনাকে চিরকাল জাগ্রত করে রাখে।