WhatsApp: এই ৩টি বিষয় খেয়াল না করলে জেলে পাঠাবে হোয়াটসঅ্যাপ

হোয়াটসঅ্যাপ(WhatsApp) পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে সংযুক্ত থাকার একটি প্রধান উপায় হয়ে উঠেছে। ব্যবহারকারীরা শুধু বার্তা পাঠিয়েই চ্যাট করতে পারবেন না, একে অপরের সাথে ফটো, ভিডিও…

হোয়াটসঅ্যাপ(WhatsApp) পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে সংযুক্ত থাকার একটি প্রধান উপায় হয়ে উঠেছে। ব্যবহারকারীরা শুধু বার্তা পাঠিয়েই চ্যাট করতে পারবেন না, একে অপরের সাথে ফটো, ভিডিও এবং অডিও ফাইলও শেয়ার করতে পারবেন। যে কারণে এর পরিধি এখন অনেক বেড়েছে। এখন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা হয় পেশাদার কাজ থেকে পড়াশোনা পর্যন্ত। তবে এটিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ একটি ছোট ভুল আপনাকে জেলের কারাগারে নিয়ে যেতে পারে। সেই কারণেই আমরা আপনাকে বলব হোয়াটসঅ্যাপ চালানোর সময় কী কী কাজ করা উচিত নয়।

হোয়াটসঅ্যাপ বিশ্বের বৃহত্তম তাৎক্ষণিক বার্তাপ্রেরণ প্ল্যাটফর্মগুলির মধ্যে একটি। বিশ্বব্যাপী 2 বিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী WhatsApp চালান। বড় বড় কোম্পানি, স্কুল, হাসপাতাল থেকে শুরু করে সরকারি দপ্তরে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা হয়। যে কারণে এর নাগালের মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে। একটি ছবি বা ভিডিও একবার শেয়ার করলে তা সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে যায়। সেজন্য হোয়াটসঅ্যাপ অত্যন্ত যত্ন সহকারে ব্যবহার করা উচিত। এখানে আমরা আপনাকে এমন 3টি জিনিস বলছি, যা ভুল করেও হোয়াটসঅ্যাপে করা উচিত নয়।

   
  • ভুল ও ভুয়া খবর শেয়ার করবেন না

আজকাল হোয়াটসঅ্যাপ ভুয়া খবর ছড়ানোর অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে। তবে ভুয়ো খবর বন্ধ করতে হোয়াটসঅ্যাপ খুবই কঠোর নীতি তৈরি করেছে। একইসঙ্গে ভুয়া খবরের অভিযোগে সরকারও কঠোর ব্যবস্থা নেয়। আপনি যদি কোনও বার্তা বা মিডিয়া ফাইল পান তবে তা পরীক্ষা না করে ফরোয়ার্ড করবেন না। এতে করে আপনি ঝামেলায় পড়তে পারেন। ভুল ও ভুয়া খবর ছড়ানোর জন্য জেল হতে পারে।

  • সমাজে ঘৃণা ছড়ায় এমন জিনিস শেয়ার করবেন না

ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় ইত্যাদির নামে মানুষের মধ্যে বৈষম্য ছড়ায় এমন বিষয়বস্তু শেয়ার করা বড় অপরাধ। যদি এমন কোনো বার্তা আপনার কাছে আসে, যা সমাজের শান্তি ব্যবস্থাকে আঘাত করে বা বৈষম্য ছড়ায়, তাহলে তা অবিলম্বে মুছে ফেলা উচিত। ভুল করেও এই ধরনের মেসেজ বা ছবি-ভিডিও ফরোয়ার্ড করবেন না। আপনি যদি এটি করেন তবে জেল আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।

  • পর্ণ ফাইল শেয়ার করবেন না

হোয়াটসঅ্যাপে পর্ণ অর্থাৎ অশ্লীল সামগ্রী শেয়ার করা ভারী হতে পারে। বিশেষ করে শিশু পর্নোগ্রাফির ব্যাপারে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেয়। তাই হোয়াটসঅ্যাপে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও শেয়ার করবেন না। যদি কেউ আপনাকে পর্ণ কন্টেন্ট পাঠায়, তাহলে তা মুছে দিন। এছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা, হোয়াটসঅ্যাপে কাউকে হুমকি দেওয়া, ভুয়ো হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট তৈরি করা বা প্রতারণার জন্যও জেল হতে পারে।