Tag Archives: World War

Ukraine War: রাশিয়াকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে বার্তা জিনপিংয়ের, কী বলল চিন

ইউক্রেন যুদ্ধের (Ukraine War) প্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ ন্যাটো সদস্য দেশগুলিকে বারবার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে বার্তা দিচ্ছে রাশিয়া। রুশ সরকারের হুমকি যেভাবে ন্যাটো জোট ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে ছায়া যুদ্ধ চালাচ্ছে তার ফলে সংঘাতের ক্ষেত্র ইউরোপে ছড়াতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে আরও এক বিশ্বশক্তি চিন দিয়েছে বার্তা। রাশিয়ার ঘনিষ্ট চিন সরকারের দাবি, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ব্যাপারে আগ্রহী নয় বেজিং বরং ইউক্রেন সংঘাত কূটনৈতিক পন্থায় সমাধানের পক্ষে হোক। মঙ্গলবার চিনের বিদেশ বিদেশমন্ত্রক মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন একথা বলেন।

ওয়েনবিন বলেন, কেউ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চায় না। রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের শান্তি আলোচনাকে সমর্থন করা দরকার। রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে সাম্প্রতিক করা মন্তব্যের ব্যাপারে চিন এই বার্তা দিল।

রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ সোমবার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্কতা জানিয়ে বলেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি খুবই মারাত্মক ও বাস্তব।

চিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়েনবিনের মতে ইউক্রেনের যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত হতে দেওয়া উচিত নয়। এ যুদ্ধ শুধু ইউরোপ নয়, পুরো বিশ্বের ওপর প্রভাব ফেলছে। ওয়েনবিন বলেন, আমরা আশা করি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই সহিষ্ণুতা দেখাবে এবং সংঘাত বৃদ্ধি রোধ করতে হবে।

রাশিয়ার জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেলের এক সাক্ষাৎকারে ল্যাভরভ জানান, ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে যে কোনও চুক্তিতে যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি বেশ প্রভাব ফেলবে।

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এড়ানো কতটুকু জরুরি? এমন প্রশ্নের জবাবে ল্যাভরভ বলেন, রাশিয়া যে কোনও মূল্যে পারমাণবিক যুদ্ধ এড়ানোর নীতিতে স্থির থাকতে চায়। এটাই আমাদের মূল অবস্থান।

মারাত্মক সব ঘটনা: ৮ লাখ ঘোড়া, শয়ে শয়ে পায়রা, কুকুর এরাও বিশ্বযুদ্ধে নেমেছিল

নিউজ ডেস্ক: পরিবার, প্রিয়জন, ঘরবাড়ি থাকার সত্বেও বীর সৈনিকরা সীমান্তে প্রাণপাত করেন যাতে দেশবাসীরা রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে যেতে পারেন। তবে দেশের সুরক্ষার জন্য সীমান্তে কেবল সৈন্যরাই প্রাণের আহুতি দেয় না, দেশরক্ষার মতো গুরুতর কাজে যুক্ত থাকা অবলা জীবদের অবদান চাপা পরেই থেকে যায়। অসীম বীরত্বে সীমান্ত পারে প্রাণ দিয়েছে শয়ে শয়ে সারমেয়, ঘোড়া, এমনকি উটও। তবে তাদের কীর্তির কথা মনে রাখেনি কেউই। জেনে নেওয়া যাক গোটা বিশ্বের এমনি কয়েকটি বীর চার-পেয়েদের গল্প:

Celebrating 75 years of animal bravery from heroic horses

১. যোদ্ধা কুকুর
সার্জেন্ট স্টাবি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর হয়ে প্রাণপাত করা ২০০০০ বীর সারমেয়দের একজন। মেসেঞ্জার কুকুর, করুণা কুকুর, পাহারাদার কুকুর এবং মাস্কটরা রাজা এবং দেশের জন্য তাদের কাজ করেছে যুদ্ধের ময়দানে। স্টবি এমনকি আসন্ন গ্যাস আক্রমণের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। কুকুর ছিল প্রথম গৃহপালিত প্রাণী এবং গোটা বিশ্বের ইতিহাস জুড়ে যুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবহৃত মিলিটারি পশু। রোমান সেনাবাহিনীতে কুকুরের একটি পৃথক রেজিমেন্ট ছিল। তাদের গলায় এবং গোড়ালিতে পরানো হতো বিশেষ কাঁটাওয়ালা কলার।

২. যোদ্ধা পায়রা
যুদ্ধের পায়রা ৫০০০ এর ও বেশী সময় ধরে বার্তা আদান প্রদানের কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জরুরী বার্তা আদান-প্রদান করার কাজে অসংখ্য পায়রা ব্যবহার করা হয়েছিল। চের আমি নামে একটি পায়রাকে ‘ক্রয়এক্স দে গুররে’ পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুদ্ধক্ষেত্রে বার্তা আদান প্রদানের কাজেই বীরত্ব দেখানোর জন্য যা বহু সৈনিকের জীবন বাঁচিয়ে ছিল।

৩. যোদ্ধা ঘোড়া
মানুষ ৪০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মধ্য এশিয়ায় ঘোড়া গৃহপালিত করতে শুরু করে এবং ইতিহাসের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়। তারা শিকারী প্রাণী এবং তাই তাদের হুমকির প্রথম প্রতিক্রিয়া হতবাক হয়ে পালিয়ে যাওয়া। তা সত্ত্বেও, তাদের স্বাভাবিক প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে, তারা তাদের রাইডারদের বহন করে অসংখ্য যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে আট লাখেরও বেশি ঘোড়া তাদের জীবন দিয়েছিল।

৪. যোদ্ধা উট
১৯১৫ সালে উট ব্রিগেড গঠন দেখেছিল গোটা বিশ্ব। রোমান সাম্রাজ্যর সময় থেকেই উট যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। উটের গন্ধ শত্রুদের ঘোড়াগুলিকে ভীত করে। তাই বিশ্বযুদ্ধের সময় উটের বহুল ব্যবহার হয়েছে।