Tag Archives: Karnataka Govt

কর্নাটকে কাজের সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব রাজ্য সরকারের

কর্নাটকে (karnataka) শ্রমিকদের কাজের সময়সীমা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্য সরকার একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছে, যেখানে প্রতিদিনের সর্বাধিক কাজের সময় ৮ ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে ১০ ঘণ্টা করার কথা বলা হয়েছে। তবে, সাপ্তাহিক মোট কাজের সময় আইন অনুযায়ী অপরিবর্তিত থাকবে।

এই প্রস্তাবের লক্ষ্য হলো শ্রমিক ও নিয়োগকর্তাদের জন্য আরও নমনীয়তা আনা। এই প্রস্তাবটি শ্রমিক ইউনিয়ন, শিল্প সংস্থা এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে তীব্র আলোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। একদিকে যেখানে কেউ কেউ এটিকে নমনীয়তার একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে মনে করছেন, অন্যদিকে শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে।

প্রস্তাবের বিশদ বিবরণ (karnataka)

কর্ণাটক সরকারের (karnataka) প্রস্তাব অনুযায়ী, শ্রমিকদের প্রতিদিন ৮ ঘণ্টার পরিবর্তে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে, সাপ্তাহিক কাজের মোট সময়, যা বর্তমানে ৪৮ ঘণ্টা নির্ধারিত, তা অপরিবর্তিত থাকবে। এর অর্থ, শ্রমিকরা সপ্তাহে কম দিন কাজ করে মোট কাজের সময় পূরণ করতে পারবেন।

উদাহরণস্বরূপ, একজন শ্রমিক পাঁচ দিনে ১০ ঘণ্টা করে ৫০ ঘণ্টা কাজ করার পরিবর্তে, চার দিনে ১০ ঘণ্টা করে ৪০ ঘণ্টা এবং একদিন ৮ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন। এই প্রস্তাবের মূল উদ্দেশ্য হলো নিয়োগকর্তা এবং শ্রমিকদের জন্য কাজের সময়সূচীতে নমনীয়তা আনা, যাতে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো যায় এবং শ্রমিকদের ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য রক্ষা করা যায়।

সরকারের দাবি, (karnataka) এই পরিবর্তন শিল্পের প্রতিযোগিতামূলক ক্ষমতা বাড়াবে, বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) এবং উৎপাদন খাতে। কর্ণাটক, যা ভারতের আইটি হাব বেঙ্গালুরুর জন্য বিখ্যাত, এই প্রস্তাবের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে চায়।

নমনীয়তার পক্ষে যুক্তি

প্রস্তাবের সমর্থকরা বলছেন, এটি শ্রমিক এবং নিয়োগকর্তা উভয়ের জন্যই সুবিধাজনক। শিল্প সংস্থাগুলি, যেমন ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই), এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে (karnataka)। তারা মনে করে, দৈনিক কাজের সময় বাড়ানোর ফলে কোম্পানিগুলি তাদের প্রকল্পের সময়সীমা আরও দক্ষতার সঙ্গে পূরণ করতে পারবে। এছাড়া, শ্রমিকরা কম দিন কাজ করে সপ্তাহে বেশি ছুটি পেতে পারেন, যা তাদের কাজ ও জীবনের ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক হবে।

এক্স প্ল্যাটফর্মে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “১০ ঘণ্টা কাজের প্রস্তাব শ্রমিকদের জন্য বেশি ছুটির সুযোগ দেবে। এটি আইটি পেশাদারদের জন্য ভালো, যারা প্রায়ই দীর্ঘ সময় কাজ করেন। সরকারের এই পদক্ষেপ উৎপাদনশীলতা বাড়াবে।” আরেকজন লিখেছেন, “এটি শিল্পের জন্য একটি জয়-জয় পরিস্থিতি। কোম্পানিগুলি দ্রুত কাজ শেষ করতে পারবে, আর শ্রমিকরা বেশি ছুটি পাবেন।”

শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্বেগ

অন্যদিকে, শ্রমিক ইউনিয়ন এবং বিরোধী দলগুলি এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করছে। তারা বলছে, দৈনিক কাজের সময় বাড়ানো শ্রমিকদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। সেন্টার অব ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়নস (সিআইটিইউ)-এর একজন নেতা বলেন, “৮ ঘণ্টার কাজের সময় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ১০ ঘণ্টা কাজ শ্রমিকদের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে এবং তাদের শোষণের ঝুঁকি বাড়াবে।”

শ্রমিক ইউনিয়নগুলির (karnataka) আরেকটি উদ্বেগ হলো, এই প্রস্তাবের ফলে নিয়োগকর্তারা শ্রমিকদের ওভারটাইম ছাড়াই দীর্ঘ সময় কাজ করতে বাধ্য করতে পারে। একজন শ্রমিক নেতা বলেন, “কোম্পানিগুলি এই নমনীয়তার অজুহাতে শ্রমিকদের উপর অতিরিক্ত কাজের চাপ চাপিয়ে দেবে। এটি শ্রম আইনের লঙ্ঘন হতে পারে।”

এক্স-এ একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “১০ ঘণ্টা কাজের প্রস্তাব শ্রমিকদের জন্য শোষণের আরেকটি পথ। সরকার কোম্পানিগুলির স্বার্থে কাজ করছে, শ্রমিকদের নয়।” আরেকজন লিখেছেন, “দৈনিক ১০ ঘণ্টা কাজ শ্রমিকদের জীবনকে আরও কঠিন করে তুলবে। এটি শুধুমাত্র ধনী কোম্পানিগুলির জন্য লাভজনক।”

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

কর্ণাটকের (karnataka) বিরোধী দল কংগ্রেস এই প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা করেছে। কংগ্রেস নেতা সিদ্ধারামাইয়া বলেন, “বিজেপি সরকার শ্রমিকদের অধিকার কেড়ে নিয়ে শিল্পপতিদের সুবিধা দিচ্ছে। এই প্রস্তাব শ্রমিকদের শোষণের একটি নতুন পথ খুলে দেবে।” তিনি আরও দাবি করেন, সরকার শ্রম আইন সংশোধনের নামে শ্রমিকদের অধিকার হরণ করছে।

অন্যদিকে, (karnataka) বিজেপি নেতারা এই প্রস্তাবকে শিল্পের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় বলে দাবি করেছেন। কর্ণাটকের শ্রমমন্ত্রী বলেন, “এই প্রস্তাব শ্রমিকদের বিরুদ্ধে নয়। এটি তাদের নমনীয় কাজের সময় দেবে এবং শিল্পের প্রতিযোগিতামূলক ক্ষমতা বাড়াবে। আমরা শ্রম আইনের কোনো লঙ্ঘন করব না।”

Form 16 দিয়ে ITR ফাইল করবেন? আগে জানুন কী কী তথ্য এতে থাকে না

সমাজ ও অর্থনীতির উপর প্রভাব

কর্ণাটক (karnataka) ভারতের অর্থনীতির একটি প্রধান কেন্দ্র, এবং এই প্রস্তাবের প্রভাব রাজ্যের শ্রমবাজার এবং অর্থনীতির উপর গভীরভাবে পড়তে পারে। আইটি এবং উৎপাদন খাতের কোম্পানিগুলি এই প্রস্তাব থেকে উপকৃত হতে পারে, কারণ তারা কম সময়ে বেশি কাজ সম্পন্ন করতে পারবে। তবে, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য, কাজের পরিবেশ এবং জীবনযাত্রার মান নিয়ে উদ্বেগ থেকে যায়।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই প্রস্তাবের সফলতা নির্ভর করবে এটি কীভাবে বাস্তবায়িত হয় তার উপর। যদি নিয়োগকর্তারা এই নমনীয়তার অপব্যবহার করেন, তবে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়তে পারে। একইসঙ্গে, যদি শ্রমিকরা বেশি ছুটির সুযোগ পান, তবে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হতে পারে।

কর্ণাটকের (karnataka) কাজের সময় বাড়ানোর প্রস্তাব শ্রমিক, নিয়োগকর্তা এবং সরকারের মধ্যে একটি জটিল বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এটি শিল্পের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর একটি সুযোগ হলেও, শ্রমিকদের অধিকার এবং স্বাস্থ্যের প্রতি যথাযথ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

সরকারের উচিত শ্রমিক ইউনিয়ন এবং শিল্প সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনা করে এমন একটি নীতি প্রণয়ন করা, যা উভয় পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করে। এই প্রস্তাবের বাস্তবায়ন কর্ণাটকের শ্রমবাজার এবং অর্থনীতির ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

 

অন্ধ্রে স্থানান্তর নয় হ্যাল এর স্পষ্ট জবাব কর্ণাটক সরকারের

কর্ণাটক (karnataka) সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL)-এর কোনো উৎপাদন ইউনিট অন্ধ্রপ্রদেশে স্থানান্তরের কোনো সম্ভাবনা নেই। এই ঘোষণা এসেছে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে, যিনি সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনায় HAL-এর উৎপাদন কার্যক্রম অন্ধ্রপ্রদেশে সম্প্রসারণের প্রস্তাব তুলেছেন।

নাইডু র সাথে বৈঠক

নাইডু কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে অন্ধ্রপ্রদেশে একটি নতুন গ্রিনফিল্ড HAL কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছেন, যেখানে লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট (LCA) তেজস এবং অন্যান্য দেশীয় প্ল্যাটফর্মের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর স্পষ্ট করেছে যে তারা বিদ্যমান কোনো কারখানা স্থানান্তরের প্রস্তাব দেয়নি।

নাইডু প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে অন্ধ্র -কর্ণাটক (karnataka) সীমান্ত থেকে মাত্র ৭০ কিলোমিটার দূরে লেপাক্ষিতে ১০,০০০ একর জমি HAL-এর সম্প্রসারণের জন্য প্রস্তাব করেছেন। একটি শীর্ষস্থানীয় সূত্র সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে, “প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলির জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও জায়গার প্রয়োজন, যা অন্ধ্রপ্রদেশে সম্ভব। কর্ণাটকে এটি কঠিন হতে পারে।”

HAL, ভারতের শীর্ষস্থানীয় মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা উৎপাদন সংস্থা, বর্তমানে কর্ণাটকের (karnataka) বেঙ্গালুরু ও তুমকুরুতে প্রধান উৎপাদন কারখানা পরিচালনা করে। এই ইউনিটগুলি ফাইটার জেট, হেলিকপ্টার এবং প্রশিক্ষণ বিমান, যেমন LCA তেজস এবং প্রস্তাবিত অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্রাফট (AMCA) উৎপাদনের কেন্দ্রবিন্দু।

কর্ণাটকের নেতৃত্বের তীব্র প্রতিক্রিয়া (karnataka)

নাইডুর প্রস্তাবটি কর্ণাটকের (karnataka) নেতৃত্বের তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। তারা জোর দিয়ে বলেছেন যে HAL-এর উৎপাদন ভিত্তি রাজ্যের মহাকাশ খাতের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত এবং এটি সহজে স্থানান্তর বা প্রতিলিপি করা সম্ভব নয়। মঙ্গলবার কর্ণাটকের বৃহৎ ও মাঝারি শিল্পমন্ত্রী এমবি পাতিল HAL-এর কার্যক্রম স্থানান্তরের গুজব প্রত্যাখ্যান করেছেন।

তিনি বলেন, “কোনো মুখ্যমন্ত্রীর বিদ্যমান HAL কারখানা স্থানান্তরের ক্ষমতা নেই। বেঙ্গালুরুতে কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সম্ভবত নতুন একটি ইউনিট স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা একটি পৃথক বিষয়।” কর্ণাটকের (karnataka) মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এই অবস্থানের প্রতিধ্বনি করে বলেন, “আমার জানা মতে, এটি সম্ভব নয়। HAL স্থানান্তরিত হবে না।” উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার জোর দিয়ে বলেন যে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার রাজ্যে HAL এবং এর সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো রক্ষায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে।

Bangladesh: ‘আমাকে গুলি করো, গণভবনেই কবর দিও’, সেনার চাপের মুখে বলেছিলেন হাসিনা

শিবকুমার বলেন

শিবকুমার বলেন, “HAL কোনো বিজেপি সরকারের দেওয়া নয়। এটি বেঙ্গালুরুতে প্রযুক্তিগত জনশক্তির প্রাপ্যতার কারণে নেহরু প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। চন্দ্রবাবু নাইডুর রাজনৈতিক প্রস্তাবে আমি হস্তক্ষেপ করব না। আমরা HAL-কে পর্যাপ্ত জমি দিয়েছি এবং তুমকুরুতে হেলিকপ্টার ইউনিট স্থাপনের জন্য জমি প্রদান করেছি। আন্ধ্রপ্রদেশে নতুন কিছু স্থাপন করতে চাইলে আমরা আপত্তি করব না। তবে আমাদের সরকার রাজ্যের সম্পদ রক্ষায় যা যা প্রয়োজন তা করবে।”

তিনি কর্ণাটকের (karnataka) সাংসদদের নীরবতার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “দিল্লিতে আমাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা কী করছেন? কর্ণাটকের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা এই বিষয়ে একটি কথাও বলেননি। আমি আশা করি তারা রাজ্যের পক্ষে দাঁড়াবেন।” যেদিন কর্ণাটকের মন্ত্রীরা এই বিবৃতি দিয়েছেন, সেদিনই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং AMCA প্রকল্পের বাস্তবায়ন মডেলের অনুমোদন দিয়েছেন। এই প্রকল্পটি বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত এবং অ্যারোনটিকাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (ADA) এবং HAL-এর সহযোগিতায় পরিচালিত হচ্ছে।

মন্ত্রী শরণ প্রকাশ পাতিলও এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন

কর্ণাটকের (karnataka) চিকিৎসা শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন মন্ত্রী শরণ প্রকাশ পাতিলও এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, “HAL আমাদের রাজ্যের গর্ব। আমরা এটি অন্ধ্রপ্রদেশে স্থানান্তরের অনুমতি দেব না। এই প্রতিষ্ঠানটি বিজেপি প্রতিষ্ঠা করেনি। কংগ্রেস সরকার এটি এখানে এনেছিল। যদি এটি সরানোর কোনো চেষ্টা হয়, তবে কর্ণাটকের বিজেপি সাংসদদের পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায়, তারা রাজ্যের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে।”

HAL ইতিমধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনার চাহিদা মেটাতে তেজস উৎপাদন বাড়ানোর পথে রয়েছে। সম্প্রতি ৮৩টি LCA Mk1A ভ্যারিয়েন্টের জন্য ৬,৫০০ কোটি টাকার অর্ডার অনুমোদিত হয়েছে। ভবিষ্যতে তেজস Mk2 এবং AMCA-র মতো অর্ডারের জন্য প্রসারিত অবকাঠামো এবং প্রশিক্ষিত জনশক্তির প্রয়োজন হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এখনও এই সম্প্রসারণ প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে বিবেচনাধীন কিনা তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

২৭.৫ শতাংশ বেতন বাড়াবে সরকার, উপকৃত হবেন ৭ লক্ষ কর্মী

আর মাত্র কিছুদিন, তারপরেই রাজ্যের সরকারি কর্মীদের লটারি লাগতে চলেছে বলে মনে হচ্ছে। রাজ্য সরকার এবার এমন এক সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে যারপরে উপকৃত হতে পারেন সাত লক্ষ মানুষ। বাড়বে বেতন (Salary Hike), যে কোনও মুহূর্তে এই নিয়ে সরকার ঘোষণা করতে পারে সরকার বলে মনে হচ্ছে।

আসলে সোমবার কর্ণাটক মন্ত্রিসভা সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিধানসভায় সাত লক্ষেরও বেশি রাজ্য সরকারি কর্মচারীর বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করতে পারেন।

জানা গিয়েছে, প্রাক্তন মুখ্যসচিব কে সুধাকর রাওয়ের নেতৃত্বাধীন সপ্তম বেতন কমিশন সরকারি কর্মীদের মূল বেতন ২৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে। এর ফলে সরকারি কোষাগারে বছরে অতিরিক্ত ১৭,৪৪০.১৫ কোটি টাকা খরচ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কর্ণাটক রাজ্য সরকারী কর্মচারী সমিতি আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে যাওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করার পরে সিদ্দারামাইয়া সরকার বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য চাপের মধ্যে ছিল। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই কর্মচারীদের অন্তর্বর্তীকালীন ১৭ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করেছিলেন, যার সাথে সিদ্দারামাইয়া প্রশাসন ১০.৫ শতাংশ পয়েন্ট বৃদ্ধি করতে পারে, যা সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুসারে মূল বেতনের উপর মোট ২৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্যের কর্মচারীরা উপকৃত হবেন এবং তাদের বেতন বৃদ্ধি পাবে। তবে রাজ্য সরকারের কোষাগারে বিশাল বোঝা পড়তে চলেছে। প্রাক্তন মুখ্যসচিব কে সুধাকর রাওয়ের নেতৃত্বাধীন সপ্তম বেতন কমিশন সরকারি কর্মীদের মূল বেতন ২৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে।

কর্ণাটকের রাজ্য কর্মচারীদের বেতনও গত বছর দৃঢ়ভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সেইসময়ে রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই ২০২৩ সালে কর্মচারীদের অন্তর্বর্তীকালীন ১৭ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি উপহার দিয়েছিলেন। এবার মনে করা হচ্ছে, সিদ্দারামাইয়া সরকার এর সঙ্গে ১০.৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি যোগ করতে পারে। এর পরে কর্ণাটক সরকারের অধীনে কর্মরত কর্মচারীদের সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী মূল বেতনে ২৭.৫ শতাংশ বেতন বাড়বে।