Tag Archives: bay of bengal

নিম্নচাপের ঘূর্ণি রাজ্যে! কোথায় কবে কেমন বৃষ্টি?

কলকাতা: উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করছে। এর জেরে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সর্বত্র বৃষ্টিপাত ও ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি বর্তমানে উপকূল গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ওপর অবস্থান করছে এবং তা ধীরে ধীরে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। পরবর্তী গন্তব্য উত্তর ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড।

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বাংলাদেশের নিম্নচাপ অঞ্চল থেকে শুরু করে রাজস্থানের নিম্নচাপ অঞ্চল পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে, যা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর ঝাড়খণ্ডের ওপর দিয়ে অতিক্রম করছে। এই অক্ষরেখা এবং নিম্নচাপের প্রভাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে টানা বৃষ্টি ও দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির সম্ভাবনা রয়েছে।

দক্ষিণবঙ্গে ব্যাপক প্রভাব

আজ, ১ জুলাই থেকে আগামী ৭ জুলাই পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে একাধিক জেলায় দফায় দফায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পশ্চিম বর্ধমানে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামে জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা, যেখানে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

 কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা না থাকলেও, শুক্রবার (৫ জুলাই) থেকে বৃষ্টির দাপট বাড়তে পারে। নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

উত্তরবঙ্গেও সতর্কতা West Bengal Monsoon Rains

উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলায় আজ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে কোথাও কোথাও ৭ থেকে ১১ সেমি পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এই পাঁচ জেলায় আজ হলুদ সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।

সর্তকতা

আবহাওয়া দফতর সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। বিশেষ করে, জলাশয়ের ধারে না যাওয়া, বজ্রপাতের সময় নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়া এবং প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ অনুসরণ করার অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া, কৃষক এবং চাষিদেরও বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়ার কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপ! দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা, কতদিন চলবে দুর্যোগ?

কলকাতা: বঙ্গোপসাগরে ফের একবার নিম্নচাপের ভ্রুকুটি! আর তারই জেরে একটানা ভিজতে চলেছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ। হালকা নয়, বরং মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়ার এই রদবদলে প্রভাব পড়বে কলকাতা শহর থেকে শুরু করে দুই মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম এবং অন্যান্য জেলাতেও।

কলকাতায় ছাতা ছাড়া বেরনো নয়!

নতুন করে নিম্নচাপের জেরে চলতি সপ্তাহ জুড়েই কলকাতায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে৷ রবিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে বেশ কিছুটা কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও নামল ২৫.৭ ডিগ্রির ঘরে৷ এই ধারা বজায় থাকবে গোটা সপ্তাহজুড়েই৷ বৃষ্টির জেরে তীব্র গরম মালুম হবে না। মেঘলা আকাশ, ঠান্ডা হাওয়া, আর মাঝে মাঝে ভারী বৃষ্টিতে শহরের জনজীবনে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট।

দক্ষিণবঙ্গে সতর্কতা জারি, উপকূলে অরেঞ্জ অ্যালার্ট Heavy Rain South Bengal

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষত হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রামে বৃষ্টি হতে পারে ব্যাপকভাবে। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া এবং দুই বর্ধমান জেলাতেও রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে ভারী বৃষ্টি।

উপকূলবর্তী অঞ্চলে ইতিমধ্যেই কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দমকা হাওয়া বইতে পারে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে, যার ফলে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে।

বন্যার আতঙ্ক ফের!

সম্প্রতি ওড়িশা উপকূলের একটি শক্তিশালী নিম্নচাপ দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলে প্রবল বৃষ্টির কারণ হয়েছিল। তার জেরে ঘাটাল, হাওড়া, হুগলি-র একাধিক এলাকায় জলমগ্ন অবস্থার সৃষ্টি হয়। নতুন নিম্নচাপের কারণে ফের বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে সেই সব অঞ্চলে যেগুলি এখনও পুরোপুরি জলমুক্ত নয়।

উত্তরবঙ্গেও বর্ষার দাপট
৩০ জুন থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির দাপট বজায় থাকবে।
দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ইতিমধ্যেই ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
• দার্জিলিংয়ে বৃষ্টি চলবে সোমবার পর্যন্ত
• জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত
• কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে জারি রয়েছে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

এছাড়া উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত! রাজ্যে ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

কলকাতা: আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় দিশেহারা বঙ্গ! উত্তর বঙ্গোপসাগরে ফের ঘূর্ণাবর্তের ইঙ্গিত মিলেছে, যা নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, এর জেরেই রবিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় শুরু হতে পারে প্রবল বৃষ্টি। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায়।

দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

রবিবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে। সোমবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান সহ দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলাতেই রয়েছে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। কোথাও কোথাও অতি ভারী বৃষ্টিও হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

উত্তরবঙ্গেও সক্রিয় বর্ষা Heavy Rain Forecast West Bengal

আজ থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলায় বৃষ্টিপাত চলবে। কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে।

সমুদ্র উত্তাল, মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কতা

নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল হতে পারে সমুদ্র। রবিবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে জারি করা হয়েছে সতর্কতা।

কলকাতায় তাপমাত্রা

শনিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকতে পারে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অত্যন্ত বেশি৷ সর্বাধিক ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। আজ থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।

ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি! আগামী কয়েকদিন দুই বঙ্গে ভারী বৃষ্টি

কলকাতা: আবারও বদলাচ্ছে আবহাওয়ার মেজাজ। বঙ্গোপসাগরে নতুন করে তৈরি হচ্ছে নিম্নচাপ, যার প্রভাবে রাজ্যের একাধিক জেলায় শুরু হয়েছে বৃষ্টির আনাগোনা। কোথাও টিপটিপ, কোথাও আবার ঝেঁপে – সঙ্গে দমকা হাওয়া ও বজ্রপাত।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, এই বৃষ্টি আপাতত থামছে না। আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গ – দুই অঞ্চলেই চলবে বৃষ্টির দাপট।

ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপ, রাজ্যে ছড়িয়ে পড়বে প্রভাব

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তার সংলগ্ন ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল বরাবর বিস্তৃত হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। এর থেকেই যে কোনো মুহূর্তে তৈরি হতে পারে নিম্নচাপ। তার জেরে বাড়বে বৃষ্টিপাত, বাড়বে হাওয়ার গতি।

দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি, কোথাও বজ্রপাত West Bengal Rain Forecast

কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় বৃহস্পতিবার থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত চলবে বৃষ্টি। কখনও হালকা, কখনও মাঝারি। কিছু এলাকায় ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে বইতে পারে দমকা হাওয়া। কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা।

উত্তরবঙ্গেও টানা বর্ষণের পূর্বাভাস

শুধু দক্ষিণ নয়, উত্তরবঙ্গেও একই ছবি। বৃহস্পতিবার থেকে ১ জুলাই – টানা বর্ষার সম্ভাবনা রয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের রিপোর্টে। শুক্রবার থেকে সেখানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

কোন কোন জেলায় ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা?

আজ, বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমানের কিছু অংশে। শুক্রবার ভারী বৃষ্টির তালিকায় রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান এবং বীরভূম।

সমুদ্র থাকবে উত্তাল, মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা

নিম্নচাপের সম্ভাবনার কারণে সমুদ্রেও শুরু হয়েছে অশান্তি। পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূল এলাকায় ৩৫-৪৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। কোথাও তা পৌঁছতে পারে ঘণ্টায় ৫৫ কিমি পর্যন্ত।
হাওয়া অফিস থেকে মৎস্যজীবীদের আজ, বৃহস্পতিবার সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা কেমন থাকবে?

তাপমাত্রায় তেমন কোনো বড় পরিবর্তন নেই। কলকাতায় এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর সর্বনিম্ন ২৭ ডিগ্রি। বাতাসে আর্দ্রতা সর্বাধিক ৯১ শতাংশ, ন্যূনতম ৭২ শতাংশ। ফলে বৃষ্টির মধ্যেও অনুভূত হবে ভ্যাপসা গরম।

 

ভ্যাপসা গরমের মাঝেই বৃষ্টির হাতছানি, ভারী বৃষ্টি কোন কোন জেলায়?

কলকাতা: বর্ষা শুরু হলেও দক্ষিণবঙ্গে মিলছে না স্বস্তি। একদিকে গরম, অন্যদিকে ভ্যাপসা আবহাওয়ায় নাকাল জনজীবন। বর্ষা ঢুকে পড়লেও এখনও পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে নিয়মিত বৃষ্টি না হওয়ায় জনসাধারণকে তীব্র গরম ও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তির মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। এর মধ্যেই আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়ে দিয়েছে, আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গে চলবে বৃষ্টিপাত। বিশেষ করে কলকাতা-সহ দক্ষিণের বেশ কয়েকটি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে।

৩০ জুন পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টি

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ, বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার কিছু অংশে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বৃষ্টি আরও জোরালো হতে পারে। হুগলি, পশ্চিম বর্ধমান, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবারও বৃষ্টি চলবে। সেদিন ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও বীরভূমে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে, উত্তরবঙ্গেও সক্রিয় বর্ষা। আজ থেকে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের কিছু অংশে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনি ও রবিবারও এই জেলাগুলিতে বৃষ্টির দাপট বজায় থাকবে। এছাড়া উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

উত্তাল বঙ্গোপসাগর South Bengal Rain Forecast

এই মুহূর্তে বঙ্গোপসাগরের পরিস্থিতিও স্থিতিশীল নয়। আজ এবং আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার ও বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলবর্তী এলাকায় ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। কোথাও কোথাও সেই গতিবেগ ঘণ্টায় ৫৫ কিমিতেও পৌঁছতে পারে। ফলে সমুদ্র হয়ে উঠতে পারে অত্যন্ত উত্তাল। এই অবস্থায় দুই দিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

কলকাতায় তাপমাত্রা

কলকাতার তাপমাত্রা এখনও তেমন কমেনি। আজ শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকতে পারে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে প্রায় ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯২ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৬১ শতাংশ- যা ভ্যাপসা গরমের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আপাতত দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রায় তেমন কোনও বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। ফলে বর্ষার মধ্যে মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলেও গরম ও আর্দ্রতার জেরে অস্বস্তি কাটছে না।

এই মুহূর্তে রাজ্যবাসীর কাছে সবচেয়ে বড় ভরসা হলো নিয়মিত বৃষ্টি, যাতে করে গরমের দাপট কিছুটা হলেও কমে এবং স্বস্তি ফিরে আসে সাধারণ মানুষের জীবনে।

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত, দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার ‘কামব্যাক’! মঙ্গল থেকেই ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

কলকাতা: দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকলেও, সে ছিল বিরতিতে৷ তবে আবার নতুন উদ্যমে ফিরতে চলেছে বর্ষা। দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমি বায়ু ঢুকলেও, বৃষ্টির ঘনঘটা দেখা যায়নি। বরং দিনের পর দিন ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস করেছে রাজ্যবাসী। তবে এখন আশার খবর শোনাচ্ছে হাওয়া অফিস৷ আবার সক্রিয় হতে চলেছে বর্ষার মেজাজ। বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হচ্ছে নতুন একটি ঘূর্ণাবর্ত, যার প্রভাবে চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে দক্ষিণবঙ্গে নামতে পারে জোর বৃষ্টি।

সোমবার থেকেই মেঘ জমবে আকাশে

আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সোমবার থেকেই আকাশে মেঘ জমবে আরও ঘনভাবে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়ে বুধবার-শুক্রবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় হতে পারে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি। পাশাপাশি, বজ্রবিদ্যুৎ ও ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে৷ ঘণ্টায় ৩০–৫০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বইবে। বিশেষ করে বুধবার থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও বর্ধমানের বিভিন্ন অংশে।

গত ১৭ জুন দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করলেও, এরপর বর্ষার গতি ধাক্কা খায়। মাঝখানে তৈরি হওয়া একটি নিম্নচাপ সরে যাওয়ায় দক্ষিণবঙ্গের উপর তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। তবে, আবার সমুদ্রের বুকে তৈরি হওয়া নতুন সিস্টেম চাঙ্গা করতে পারে বর্ষা পরিস্থিতি।

উত্তরবঙ্গেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস West Bengal monsoon update

উত্তরবঙ্গেও আগামী কয়েকদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদহ, আলিপুরদুয়ার-এই জেলাগুলিতে মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে অতি ভারী বর্ষার সতর্কতাও জারি হয়েছে।

রবিবার শহর কলকাতার তাপমাত্রা ছিল ২৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে, যা স্বাভাবিকের থেকে প্রায় ২ ডিগ্রি বেশি। আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকছেই, তবে সপ্তাহের দ্বিতীয়ার্ধে একটানা বৃষ্টি নামলে কিছুটা স্বস্তি মিলতে পারে শহর ও শহরতলির বাসিন্দাদের।

সমুদ্রতটবর্তী জেলা ও মৎস্যজীবীদের জন্যও সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। ২৫ জুন সমুদ্র উত্তাল থাকতে পারে। তাই মৎস্যজীবীদের নিরাপদে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

 

ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস? দক্ষিণে বর্ষা ঢোকার জিনক্ষণ জানিয়ে দিল হাওয়া অফিস

প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা দক্ষিণবঙ্গবাসীর। কিন্তু এবার মিলতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত স্বস্তি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহের শুরুতেই দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করতে চলেছে বর্ষা। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া দুটি ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে রাজ্যের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

ঘূর্ণাবর্তের হাত ধরে বর্ষা প্রবেশের ইঙ্গিত

বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের উপর একসঙ্গে দুটি ঘূর্ণাবর্ত সক্রিয়৷ একটি বাংলাদেশের দক্ষিণ দিকে, অন্যটি অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলসংলগ্ন অঞ্চলে। এই আবহাওয়ার সিস্টেম দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আনার পক্ষে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

 কবে, কোথায়, কতটা বৃষ্টি? South Bengal Monsoon

সোমবার (১৭ জুন) দুই ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুর জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। বাকি জেলাগুলি যেমন হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া প্রভৃতিতে হলুদ সতর্কতা সহ বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বুধবার (১৯ জুন) দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই আবারও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

১৫ জুন পেরিয়ে গেলেও বর্ষা আসেনি, এবার সেই অপেক্ষার অবসান

দেশে বর্ষা ঢোকার নির্ধারিত সময় ১ জুন। এ বছর বর্ষা ২৪ মে-তেই কেরলে প্রবেশ করেছিল। এরপর ২৯ মে উত্তরবঙ্গে বর্ষা পৌঁছে গেলেও দক্ষিণবঙ্গ এখনও পর্যন্ত থেকেছে তার বাইরে। সাধারণত ১৫ জুন দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢোকে, কিন্তু এবার তার কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। ফলে দিনের পর দিন আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিতে জেরবার দক্ষিণবঙ্গের মানুষ।

তাপপ্রবাহ নয়, এবার জলীয় বাষ্পে হাঁসফাঁস

গত কয়েকদিন ধরেই কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে জেঁকে বসেছে অস্বস্তিকর ভ্যাপসা গরম। কখনও তাপমাত্রা খুব বেশি না হলেও আর্দ্রতা ছিল অস্বাভাবিক মাত্রায়। আবহাওয়াবিদদের মতে, যতক্ষণ না বর্ষা পুরোমাত্রায় দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।

 

চলতি সপ্তাহেই বদলাবে আবহাওয়া! বর্ষা ঢোকার কাউন্টডাউন শুরু?

উত্তরবঙ্গে সময়ের আগেই ঢুকে পড়েছে বর্ষা, কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে এখনো অধীর অপেক্ষা। কবে আসবে বর্ষা? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে দক্ষিণবঙ্গবাসীর মনে। যদিও হাওয়া অফিসের বার্তা, দক্ষিণবঙ্গে এখনই বর্ষা ঢোকার মতো অনুকূল পরিবেশ নেই। বরং এই সপ্তাহে গরম ও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি আরও বাড়বে।

দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া: গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী তিনদিনে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ-এই জেলাগুলিতে শুষ্ক ও গরম হাওয়ার দাপট থাকবে।

উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় অস্বস্তির মাত্রা আরও বেড়েছে। সোমবার দক্ষিণবঙ্গের উপকূল ও সংলগ্ন কিছু এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। তবে বুধবারের পর থেকে ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা কিছুটা বাড়তে পারে। ওই দিন বিকেলে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়াতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

বর্ষা আসবে কবে? South Bengal Monsoon Delay

আবহাওয়াবিদদের মতে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বর্তমানে দেশের কোথাওই সক্রিয় নয়। ২৯ মে থেকে মৌসুমি বায়ু স্থবির হয়ে রয়েছে স্যান্ডহেড এলাকায়, যা এখনও পশ্চিমবঙ্গ উপকূল পর্যন্ত পৌঁছায়নি।

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে ১০ থেকে ১৭ জুনের মধ্যে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। সেটি যদি শক্তি সঞ্চয় করে পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা উপকূলের দিকে অগ্রসর হয়, তাহলে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের পথ তৈরি হতে পারে। তবে সেই নিম্নচাপ কবে তৈরি হবে এবং তার অভিমুখ কী হবে, সে বিষয়ে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।

উত্তরবঙ্গ: বর্ষা ঢুকে গেলেও নেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি জেলাগুলিতে যেমন দার্জিলিং, কালিম্পং-এ বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে ভারী বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। উল্লেখযোগ্য বিষয়, উত্তরবঙ্গে সময়ের আগেই মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করেছে।

দক্ষিণবঙ্গের মানুষদের এখনও কিছুদিন অপেক্ষা করতেই হবে বর্ষার জন্য। অন্তত ১২ জুন পর্যন্ত বড় ধরনের বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। এর মাঝে গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ থাকছে প্রতিটি জেলার বাসিন্দাদের জন্য।

West Bengal: South Bengal awaits monsoon as North enjoys early rains. Kolkata and surrounding districts face intense heat & humidity; temperatures to rise 4°C. Monsoon stalled; low pressure in Bay of Bengal (June 10-17) crucial for arrival. Get the latest weather forecast & monsoon updates here!

বৃষ্টি কিছুটা রেহাই দিলেও বর্ষা এখনও দূরে, দক্ষিণবঙ্গে কবে ঢুকবে মৌসুমি বায়ু?

কলকাতা: গত দু’দিন ধরে কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হঠাৎ বৃষ্টি, ঘন ঘন বজ্রপাত ও দমকা হাওয়ার দাপটে অনেকেই ভেবে নিয়েছেন বর্ষা বুঝি ঢুকে পড়েছে। কিন্তু আবহাওয়াবিদদের বক্তব্যে ভাঙল সে ভুল ধারণা।

এই বৃষ্টি বর্ষায় নয়

আলিপুর আবহাওয়া দফতর স্পষ্ট করে জানিয়েছে, এই বৃষ্টি আদৌ বর্ষার নয়। এটি মূলত জলীয় বাষ্প থেকে সৃষ্ট প্রাক–বর্ষার বৃষ্টি। দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢোকার জন্য প্রয়োজন দক্ষিণ–পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর শক্তিশালী প্রবেশ, যা এখনো থমকে রয়েছে বঙ্গোপসাগরের কাছে।

শুক্রবারও বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়–বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে। ঘণ্টায় ৪০–৫০ কিমি বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। কিন্তু বৃষ্টি হলেও গরমের থেকে স্বস্তি মিলবে না বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। ভ্যাপসা গরম বজায় থাকবে জলীয় বাষ্পের প্রভাবে।

বর্ষা আসবে কবে? South Bengal Monsoon Rain

আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা নামার নির্ধারিত সময় ১৫ জুন। এখনও প্রায় ৮–৯ দিন বাকি। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকে গিয়েছে নির্ধারিত সময়ের আগেই — ২৯ মে। দক্ষিণবঙ্গের মানুষও সে আশাতেই বুক বেঁধেছিলেন, কিন্তু বর্ষা ঢুকতে সময় লাগছে দেশের দুই প্রান্তে — আরব সাগর এবং বঙ্গোপসাগরে থাকা শক্তিশালী সিস্টেমগুলির কারণে।

কেরলে বর্ষা ঢুকেছিল নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই, ২৪ মে। কিন্তু এখন মৌসুমি বায়ুর গতি থমকে গিয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে ওয়েদার সিস্টেম

আপাতত ১০ জুন নাগাদ বঙ্গোপসাগরে নতুন করে একটি ওয়েদার সিস্টেম তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি সেটি কার্যকর হয়, তবে তার হাত ধরেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে বলে আশাবাদী আবহাওয়াবিদরা।

তাই বজ্রপাত আর দু–চার পশলা বৃষ্টি দেখে বর্ষা ভেবে বসবেন না এখনই। বর্ষার আসতে আরও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে দক্ষিণবঙ্গবাসীর।

West Bengal: Thinking monsoon hit Kolkata & South Bengal due to recent rains? Alipore Met Office clarifies: it’s pre-monsoon! Southwest monsoon entry delayed. Expect more thunderstorms & humidity. Actual monsoon likely by June 15. Get latest weather forecast.

বর্ষার আগমনের প্রহর গুনছে বাংলা, নিম্নচাপের জেরে ৮ জেলায় কমলা সতর্কতা

Heavy rainfall warning Bengal

কলকাতা: দক্ষিণবঙ্গের আকাশ আজ ভারী। নিম্নচাপ ও মৌসুমী বায়ুর যুগলবন্দিতে রাজ্যে বর্ষা প্রবেশের পথ একপ্রকার প্রশস্ত। বঙ্গোপসাগরে সক্রিয় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু আরও এগিয়ে এসেছে পশ্চিম-মধ্য অঞ্চলে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী দু’দিনের মধ্যেই বর্ষা রাজ্য ও সিকিমের কিছু অংশে প্রবেশ করবে।

নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপের পথে

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপ অক্ষরেখাটি আজ আরও শক্তিশালী হয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর জেরে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি অঞ্চল এবং সিকিমে ২৯ ও ৩০ মে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

আজ কোথায় কতটা বৃষ্টি? Heavy rainfall warning Bengal

আজ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সমুদ্রে উত্তাল পরিস্থিতির আশঙ্কায় জারি হয়েছে সতর্কতা, মৎস্যজীবীদের আপাতত সমুদ্রে যাওয়া নিষিদ্ধ।

৮ জেলায় কমলা সতর্কতা

আজই দক্ষিণবঙ্গের ৮টি জেলায় জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। তালিকায় রয়েছে—কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা। এই জেলাগুলিতে আজ ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে ঘণ্টায় ৪০–৬০ কিমি বেগে।

পরবর্তী দিনগুলির পূর্বাভাস

৩০ মে: দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির তীব্রতা কিছুটা কমবে, তবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত চলবে।

১ জুন: উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি।

২ জুন: দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির প্রবণতা আরও কমবে, উত্তরবঙ্গে চলবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি।

কী বলছে আবহাওয়া দফতর?

আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হলে রাজ্যের আরও বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্রভাব পড়তে পারে। নাগরিকদের জন্য জারি হয়েছে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ।

West Bengal: West Bengal braces for monsoon 2024! Low pressure system strengthens, bringing heavy to very heavy rainfall across South Bengal & Sikkim. Orange alert for 8 districts including Kolkata. Stay updated on weather warnings, strong winds, and fishing bans. Get the latest monsoon forecast.

সমুদ্র উত্তাল, বৃষ্টি শুরু! বাংলায় বর্ষা ঢুকছে কখন?

Bengal Monsoon Early Arrival

বছরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত মৌসুম বর্ষা চলতি বছর সময়ের অনেক আগেই ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ঢুকে পড়েছে। কেরল ও মুম্বইয়ে ইতিমধ্যেই বর্ষা প্রবেশ করেছে৷ এবার পালা বাংলার। আবহাওয়াবিদদের মতে, আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উত্তরবঙ্গ দিয়ে রাজ্যে প্রবেশ করতে চলেছে মৌসুমী বায়ু। জুনের প্রথম সপ্তাহেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার আনুষ্ঠানিক প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তার আগেই নিম্নচাপের প্রভাবে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টিপাত।

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, শুরু বর্ষার আগমন বার্তা

আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরের উপর একটি নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে, যা আজ মঙ্গলবারের মধ্যেই ঘনীভূত হয়ে আরও শক্তি বাড়াতে পারে। এর প্রভাবে আজ ও আগামীকাল রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। বিশেষ করে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ঝড়বৃষ্টির দাপট বেশি থাকবে।

 আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবেই Bengal Monsoon Early Arrival

আজ (মঙ্গলবার) আবহাওয়া থাকবে আংশিক মেঘলা, দুপুর গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মেঘের পরিমাণ বাড়বে। দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলাতেই রয়েছে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে বৃষ্টির ফাঁকে উচ্চ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা জনিত ভ্যাপসা গরম অসহ্য করে তুলবে জনজীবন।

সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টি, বুধবার থেকে বাড়বে দাপট

আবহাওয়াবিদদের মতে, বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টি শুরু হতে পারে। বিশেষত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বৃষ্টির দাপট আরও বাড়বে। উপকূলবর্তী জেলাগুলি যেমন-দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া ও হুগলি এই জেলাগুলিতে বেশি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়।

উত্তাল সমুদ্র, সতর্ক মৎস্যজীবীরা

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় সমুদ্র ক্রমশ উত্তাল হয়ে উঠছে। হাওয়া অফিস থেকে বুধবার থেকে সমুদ্র উত্তাল থাকার সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। সেই কারণে মৎস্যজীবীদের জন্য সমুদ্রে যাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। উপকূল এলাকার বাসিন্দাদেরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন।

উত্তরবঙ্গেও বর্ষার আগমন ঘণ্টা

উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার-সহ একাধিক জেলায় বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি বজ্রপাতের খবর মিলেছে। আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে বর্ষা উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করে ধাপে ধাপে দক্ষিণবঙ্গেও ছড়িয়ে পড়বে।

West Bengal: Get ready for Monsoon 2024 in Bengal! A low-pressure system in the Bay of Bengal brings early rains. Expect heavy showers in Kolkata, South, and North Bengal. Fishermen are warned as seas turn rough. Stay updated with the latest IMD weather forecast for West Bengal’s approaching monsoon season.

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, দক্ষিণে ঝেঁপে বৃষ্টি! ভিজবে কোন কোন জেলা?

কলকাতা: বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবারের মধ্যে মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ যার প্রভাবে রাজ্যের উপকূল ও মূল ভূখণ্ড—দু’জায়গাতেই শুরু হতে পারে ঝড়বৃষ্টি। সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠবে, জারি হয়েছে সতর্কতা।

আগামী ২৮ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে। বিশেষত ২৯ ও ৩০ তারিখে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় সমুদ্র অতি বিপজ্জনক হয়ে উঠবে। মৎস্যজীবীদের সেই সময় সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

ঝড়-বৃষ্টিতে ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ

রবিবার থেকেই রাজ্যের একাধিক জেলায় শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টি। পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে বইতে পারে ঘণ্টায় ৫০ কিমির ঝোড়ো হাওয়া।

সোমবার থেকে সতর্কতা জারি হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলায়। অন্যান্য জেলাগুলিতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ মঙ্গলবার ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলায়। পাশাপাশি বৃষ্টি নামতে চলেঠে কলকাতা, হাওড়া ও হুগলি জেলাতেও।

বুধবার থেকে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে। বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান ও বীরভূমে ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস৷

উত্তরবঙ্গেও বর্ষার আগমনী বার্তা west bengal storm rain forecast

শুধু দক্ষিণবঙ্গই নয়, বর্ষার প্রভাব পড়বে উত্তরবঙ্গেও। বুধবার থেকে কোচবিহার, মালদহ, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার ও সোমবারও উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস মিলেছে।

কেরলে বর্ষা ইতিমধ্যেই আগেভাগেই ঢুকে পড়েছে। আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গেও বর্ষা প্রবেশের মতো পরিবেশ তৈরি হয়েছে। রাজ্যজুড়ে বর্ষা কবে ঢুকবে, তা অনেকটাই নির্ভর করছে এই নিম্নচাপের গতিপথ ও শক্তির উপর।

তাপমাত্রার হালচাল

এদিকে, কলকাতায় রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস- যা স্বাভাবিকের থেকে সামান্য বেশি। শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ৩ ডিগ্রি কম।

West Bengal: Low pressure in the Bay of Bengal threatens West Bengal with storms and rain. Alipore Met Office warns of heavy rainfall, thunderstorms, and rough seas from May 28-30. Fishermen advised to avoid the coast. South and North Bengal brace for widespread monsoon-like conditions. 

কলকাতায় ভারী বৃষ্টি, নিম্নচাপের প্রভাবে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা

Cyclone Alert in Bengal: বঙ্গোপসাগরে ফের দানা বাঁধছে নিম্নচাপ (Weather Update )। ফলে রাজ্যজুড়ে ফের সক্রিয় হচ্ছে মৌসুমি বায়ু। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের(Weather Update ) পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৭ মে নাগাদ বঙ্গোপসাগরের (Weather Update ) মধ্যাঞ্চলে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই নিম্নচাপের প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গের(Weather Update ) উপরেও। বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় শুরু হবে বৃষ্টিপাত, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা (Weather Update ) জারি হয়েছে কয়েকটি জেলায়।

দক্ষিণবঙ্গের পরিস্থিতি
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি সক্রিয় হওয়ার ফলে দক্ষিণবঙ্গের চারটি জেলায় – উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর – ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৭ মে থেকে শুরু হয়ে এই বৃষ্টিপাত চলতে পারে কয়েক দিন পর্যন্ত। এছাড়াও, দক্ষিণবঙ্গের বাকি(Weather Update ) জেলাগুলিতেও বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়-বৃষ্টি চলবে বলে পূর্বাভাস। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না আবহাওয়াবিদরা।

কলকাতার আবহাওয়ার হাল(Weather Update )
নিম্নচাপের প্রভাব পড়তে চলেছে মহানগর কলকাতাতেও(Weather Update ) । আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৭ মে থেকে শহর কলকাতায় শুরু হতে পারে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি। একইসঙ্গে বইতে পারে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া। এর ফলে(Weather Update ) জনজীবন কিছুটা (Weather Update ) ব্যাহত হতে পারে। যান চলাচলে সমস্যা, জলজট, ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মতো পরিস্থিতির আশঙ্কা (Weather Update ) করা হচ্ছে। তবে স্বস্তির খবর হল, এই বৃষ্টিপাতের ফলে তাপমাত্রা কিছুটা হলেও নামবে এবং গরমের তীব্রতা কমবে।

উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির সম্ভাবনা
শুধু দক্ষিণবঙ্গই নয়, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। পাহাড়ি অঞ্চলে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে ভূমিধসের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে কৃষকদের জন্য এই বৃষ্টিপাত কিছুটা হলেও আশার আলো জোগাবে।

আজকের আবহাওয়ার আপডেট(Weather Update )
আজকের দিনেও রাজ্যের একাধিক জেলায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। বিশেষ করে বীরভূম, নদিয়া, পশ্চিম বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের(Weather Update ) অন্যান্য জেলাতেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়ে‌ছে। আগামীকাল এবং পরশু দুই ২৪ পরগনা(Weather Update ) দুই মেদিনীপুর ও নদিয়াতেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

কী করবেন সাধারণ মানুষ?
আবহাওয়া দফতর ইতিমধ্যেই (Weather Update ) সতর্কতা জারি করেছে। সাধারণ মানুষকে অপ্রয়োজনীয়ভাবে বাইরে না বেরোনোর (Weather Update ) পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবীদের(Weather Update ) ২৬ মে বিকেল থেকে সমুদ্রে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্কুল-কলেজগুলি বৃষ্টির দিনগুলোতে প্রয়োজনে ছুটি ঘোষণা করতে পারে।

সব মিলিয়ে বলা যায়, আগামী কয়েক (Weather Update ) রাজ্যের আবহাওয়া থাকবে বেশ পরিবর্তনশীল। হঠাৎ ঝড়বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সম্ভাবনা থাকায় সকলকে সতর্ক (Weather Update ) থাকার পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এই সময়ে আবহাওয়া সংক্রান্ত আপডেট নিয়মিত দেখে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সৈকতের স্বর্গে সামরিক সঙ্কেত! আন্দামানের আকাশে জারি NOTAM

পোর্ট ব্লেয়ার: গরমের ছুটি তে বহু ভ্রমণপিপাসু এখন আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের পথে। পর্যটকে ঠাসা হোটেল, নৌবিহারে ব্যস্ত সমুদ্র, সৈকতের ধারে ভিড়। ঠিক সেই সময়ে আচমকাই ওই অঞ্চলের আকাশ নিয়ে জারি হল NOTAM— অর্থাৎ আকাশসীমায় নিষেধাজ্ঞা।

২৩ ও ২৪ মে-র জন্য জারি হয়েছে এই নির্দেশ, যার মানে এই দুই দিন আন্দামান অঞ্চলের আকাশ পুরোপুরি ফাঁকা রাখা হবে। বিমানের চলাচলে থাকবে নিষেধাজ্ঞা। ফলে এই সময়ে সেখানে যাওয়ার বা ফেরার ফ্লাইটে থাকতে পারে বিঘ্ন।

কেন এই আচমকা নির্দেশ? 

সরকারি ভাবে স্পষ্টভাবে কিছু না জানালেও, প্রতিরক্ষা সূত্রে ইঙ্গিত— মিসাইল পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে। অতীতেও যখনই ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী ব্রহ্মোস বা অন্যান্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে, তখনই এমনভাবে আকাশ ফাঁকা রাখা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছে, আন্দামান থেকে যেহেতু সমুদ্রপথে মিসাইল উৎক্ষেপণের আদর্শ অবস্থান, তাই ওই এলাকাতেই বারবার এমন পরীক্ষা চালায় ভারত।

সাম্প্রতিক উত্তেজনার আবহে নতুন বার্তা? notam issued for andaman nicobar

ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক উত্তেজনার আবহে, এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরবর্তী সময়ে এই নোটাম জারি আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যদিও দুই দেশই এখন সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত, তবু প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির দিক থেকে ভারত যে কোনো ঢিলেমি রাখতে চাইছে না, তা স্পষ্ট।

NOTAM মানে কী?

NOTAM বা Notice to Airmen এমন একটি নির্দেশিকা, যেখানে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি অঞ্চলকে ‘নো-ফ্লাই জোন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সাধারণত সামরিক মহড়া, মিসাইল পরীক্ষা বা অন্য কোনও উচ্চ-স্তরের নিরাপত্তা কারণে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

পর্যটকদের জন্য সতর্কবার্তা

এই সময় আন্দামান ভ্রমণের পরিকল্পনা থাকলে পর্যটকদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বাতিল বা পুনঃনির্ধারিত হতে পারে একাধিক বিমান। তাই যাত্রার আগে নিশ্চিত করে নেওয়া জরুরি।

Bharat: Travel alert: A no-fly zone (NOTAM) is in effect over the Andaman and Nicobar Islands on May 23rd and 24th, 2025. This is likely due to an anticipated missile test by India, potentially causing flight disruptions for tourists.

বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

ভারতের আবহাওয়া দপ্তর (IMD) বুধবার জানিয়েছে যে বঙ্গোপসাগরের ওপর সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে আগামী তিন দিন অর্থাৎ ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস (weather update) অনুযায়ী, উত্তর উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ (NCAP), ইয়ানাম, দক্ষিণ উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ (SCAP), এবং রায়ালসীমার কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।

১৮ ডিসেম্বর: ভারী বৃষ্টির শুরুর পূর্বাভাস
বুধবারের জন্য IMD জানিয়েছে যে NCAP, ইয়ানাম, SCAP, এবং রায়ালসীমার নির্দিষ্ট এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ এবং বজ্রঝড়ের সাথে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।

১৯ ডিসেম্বর: অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা
বৃহস্পতিবারের জন্য আবহাওয়া দপ্তর সতর্ক করেছে যে NCAP এবং ইয়ানামের নির্দিষ্ট এলাকায় “ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি” হতে পারে। এছাড়াও, SCAP এবং রায়ালসীমার কিছু জায়গায় “বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টি” হতে পারে।

২০ ডিসেম্বর: ভারী বৃষ্টির অব্যাহত পূর্বাভাস
শুক্রবারও NCAP এবং ইয়ানামের নির্দিষ্ট এলাকায় “বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টির” পূর্বাভাস রয়েছে।

নিম্নচাপের অবস্থা ও গতিবিধি
আবহাওয়া দপ্তরের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি ৫.৮ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত প্রসারিত একটি ঘূর্ণাবর্তের সাথে যুক্ত। এটি বর্তমানে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর তামিলনাড়ু এবং দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে বলে জানানো হয়েছে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এই নিম্নচাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল ধরে আরও শক্তিশালী হতে পারে।

সতর্কবার্তা ও প্রস্তুতি
ভারী বৃষ্টির কারণে নিম্নাঞ্চলে জলজট, ভূমিধস এবং ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে এবং উপকূলীয় এলাকায় জনগণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

বজ্রবিদ্যুৎ এবং ঝড়ের সতর্কবার্তা
বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলীয় এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, NCAP, ইয়ানাম, SCAP, এবং রায়ালসীমার কিছু অংশে এই ঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে।

প্রভাবিত এলাকার তালিকা
উত্তর উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ (NCAP)
ইয়ানাম
দক্ষিণ উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ (SCAP)
রায়ালসীমা

IMD-র পরামর্শ
১. স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে হবে।
২. নিম্নাঞ্চল ও নদীর তীরবর্তী এলাকায় বিশেষ নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩. মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
অন্ধ্রপ্রদেশের আবহাওয়ার এই পরিস্থিতি রাজ্যের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জেলায় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষত কৃষি ও মৎস্যজীবীদের এই পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশ মেনে সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করতে পারে ভারতীয় নৌসেনা, জারি হল NOTAM

Indian Navy: ভারতীয় নৌসেনা আগামী ১৮ থেকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে একটি যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাতে পারে। এই জন্য নৌবাহিনী NOTAM জারি করেছে, যাতে ৮০০ কিলোমিটার পাল্লা দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার তথ্য দেওয়া হয়েছে। বিশাখাপত্তনমে বঙ্গোপসাগরের কাছে এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হবে। যুদ্ধজাহাজ থেকে পরিচালিত এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাটি ১৮ তারিখ সকাল ৭ টা থেকে পরের দিন অর্থাৎ ১৯ ডিসেম্বর বিকেল ৪ টের মধ্যে পরিচালিত হবে। সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ব্রহ্মোস বর্ধিত রেঞ্জের সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল (Brahmos extended range cruise missile) বা দেশীয় প্রযুক্তির ক্রুজ মিসাইলের পরীক্ষা হতে পারে। নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ থেকে এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হবে।

ব্রহ্মোস এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ ক্রুজ মিসাইলের স্ট্রাইক রেঞ্জ প্রায় 800 কিলোমিটার, যা তার পুরনো রেঞ্জের থেকে তিনগুণ বেশি। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারত ও রাশিয়ার যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি করা হয়েছে এবং ভারতীয় নৌবাহিনী ব্যবহার করছে। ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষত্ব হল এটি সুপারসনিক গতিতে উড়তে পারে এবং স্থল, আকাশ ও সমুদ্র থেকে ব্যবহার করা যায়। ব্রহ্মোস এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ ক্রুজ মিসাইল বিশ্বের দ্রুততম স্ট্রাইক মিসাইলগুলির মধ্যে একটি, যা প্রায় 4,300 কিমি/ঘন্টা বেগে উড়ে।

এই ক্ষেপণাস্ত্র তার লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই তার পথ পরিবর্তন করতে পারে, যা এটিকে আরও বিপজ্জনক করে তোলে। এমনকি চলমান টার্গেটকেও ধ্বংস করতে পারে। এর দ্রুত গতি এটিকে শত্রু রাডার থেকে পালাতে সাহায্য করে।

এই মিসাইল 10 মিটার উচ্চতায় উড়তে সক্ষম, এটিকে গুলি করা প্রায় অসম্ভব করে তোলে। ব্রহ্মোস মিসাইল আমেরিকার টমাহক মিসাইলের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে উড়ে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি 1200 ইউনিট শক্তি উৎপাদন করে, যা যেকোনো বড় লক্ষ্যকে ধ্বংস করতে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে নিক্ষেপ করা যেতে পারে, যেমন জাহাজ, সাবমেরিন, বিমান এবং স্থল-ভিত্তিক মোবাইল লঞ্চার।

শনি-রবির মধ্যে ‘ফেনজাল’ ঘূর্ণিঝড়, বঙ্গোপসাগরে জারি সতর্কতা

শনি-রবির মধ্যে ‘ফেনজাল’ (Fenjal) ঘূর্ণিঝড় (Cyclone), বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) জারি সতর্কতা (Alert)। বঙ্গোপসাগরে নতুন নিম্নচাপ সৃষ্টির পর আবহাওয়ার পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এই নিম্নচাপটি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone) পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যার ফলে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলীয় রাজ্যগুলো, বিশেষ করে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, এবং কেরালা, ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। বঙ্গোপসাগরে এমন সাইক্লোনের পূর্বাভাস ভারতীয় উপকূলের বাসিন্দাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আইএমডি (ইন্ডিয়ান মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট) এর পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই নিম্নচাপটি মূলত দক্ষিণ আন্দামান সাগরের কাছাকাছি অবস্থান করছে এবং এটি দ্রুত শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। বর্তমানে বাতাসের গতি ও সমুদ্রের পরিস্থিতি এমনভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে যে, এর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, আবহাওয়া দফতর সতর্ক করেছে যে, এই সিস্টেমটি সম্পর্কে বিস্তারিত পূর্বাভাস দিতে এখনও সময় রয়েছে। কারণ সিস্টেমটি যদি ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone) পরিণত হয়, তবে তখনই তার গতিপথ, তীব্রতা এবং সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হবে।

বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) নভেম্বর মাসে ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) সৃষ্টি হয়ে থাকে। আগের বছরের তুলনায় এবছরও এই সময়ের মধ্যে একাধিক সাইক্লোনের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এই সিস্টেমটি উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে, যা বিশেষত মাছ ধরার নৌকা এবং উপকূলবর্তী এলাকা যেখানে মানুষের বসবাস, সেখানে বিপজ্জনক হতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে, আবহাওয়া দফতর প্রতিটি রাজ্যকে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে, দক্ষিণ ভারতের উপকূলীয় রাজ্যগুলোতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে, এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের এবং স্থানীয় প্রশাসনকে জরুরি প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া, মৎস্যজীবীদের সমুদ্রের কাছাকাছি না যেতে এবং সমস্ত জলযানগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।

এছাড়া, রাজ্য সরকারগুলোকেও দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য জরুরি অবস্থা ব্যবস্থা তৈরি করতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) সম্ভাবনা মাথায় রেখে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় এই মুহূর্তে কেবল সতর্কতাই কার্যকরী হতে পারে, যতক্ষণ না নিম্নচাপটি আরও গভীর হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।

আবহাওয়া দফতরের মতে, সিস্টেমটি যে ধরনের পরিবর্তন করছে এবং বায়ুর গতি যেভাবে পাল্টাচ্ছে, তাতে এটি ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone) পরিণত হওয়ার একেবারে সঠিক সময় আসতে পারে। তবে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সিস্টেমটির গতিপথ এবং শক্তি নিয়ে আরও কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সেই অনুযায়ী, শেষ পর্যন্ত তার তীব্রতা এবং প্রভাব সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে, তটরেখা এবং সমুদ্রপথে যাতায়াতকারী সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন এবং সিভিল ডিফেন্স টিমকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

Cyclone Alert: সাগর থেকে আসছে ঘূর্ণিঝড়, পশ্চিমবঙ্গে আঘাত? কী তার নাম?

নভেম্বর মাসে বঙ্গোপসাগরে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি (Cyclone Alert) হতে পারে বলে (BMD) বাংলাদেশ আবহাওয়া বিভাগ আগেই জানিয়েছিল। এবার ভারতের আবহাওয়া বিভাগ বঙ্গোপসাগরে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় তৈরির পূর্বাভাস দিয়েছে। চলতি মাসেই হবে এই ঝড়।

আইঅমডি জানাচ্ছে বেশিরভাগ ঝড় নির্ধারক মডেলগুলি ৫ নভেম্বরের কাছাকাছি একটি উচ্চ বায়ু ঘূর্ণিঝড় সঞ্চালনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এবং ৯ নভেম্বর পর্যন্ত তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে ক্রমশ পশ্চিম দিকে যেতে পারে।

এবার যে ঝড় আসবে তার নাম হবে ‘ফেইনজাল’/ফেঙ্গেল (Fengal) এই নামটি দিয়েছে সৌদি আরব। ইংরাজি বর্ণমালার ২১টি অক্ষর ব্যবহার করে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়। এতে QXYZ এই ৫টি অক্ষর বাদ দেওয়া হয়। এক বছরের জন্য পর্যায়ক্রমিকভাবে এই নামগুলো প্রস্তাব করা হয়। যদি কোনো বছর ২১টির বেশি ঘূর্ণিঝড় দেখা দেয় তবে নামগুলোর সঙ্গে গ্রিক বর্ণমালা যুক্ত করে নামকরণ করা হয়।

২০০৪ সালে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগর অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু হয়। ২০২০ সালে ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা তৈরি হয়। সেই তালিকা থেকেই বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হচ্ছে।

Cyclone Dana: ঘূর্ণিঝড় ডানা পশ্চিমবঙ্গ ছুঁয়ে যাবে, সতর্কতা বাংলাদেশেও

বঙ্গোপসাগর থেকে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana)। বাংলাদেশ (Bangladesh) আবহাওয়া বিভাগ (বিএমডি) জানাচ্ছে, নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে শুক্রবার বৃষ্টি হয়েছে। কার্তিক মাস শুরুতে বঙ্গোপসাগরে ফের একটি লঘুচাপ তৈরির আভাস পাওয়া গেছে। লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘ডানা’। এই নাম দিয়েছে কাতার।  

বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, ঝড়টি পড়শি দেশ ভারতের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ছুঁয়ে বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলেও এমন বিশ্লেষণ।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন,  ঘূর্ণিঝড় আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে উপকূলে আঘাত করার শঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া বিভাগের আবহাওয়াবিদ মহম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওড়িশা বা পশ্চিমবঙ্গের দিকে আঘাত হানতে পারে। গতিপথ পরিবর্তন করে বাংলাদেশেও আঘাত হানার শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

চলতি মাসের শেষের দিকে বঙ্গোপসাগরে ‘ডানা’ নামে  ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথ বিশ্লেষণ চলছে। বঙ্গোপসাগর উপকূলের তিনটি দেশ ভারত, বাংলাদেশ ও মায়ানমার। বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে ডানার গতিপথ বাংলাদেশ-ভারতের উপকূলের দিকে। আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেল জানিয়েছে আগামী ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে স্থলভাগে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে পারে।

কালীপুজোর আগেই ঘূর্ণিঝড় “ডানার” ঝাপটায় সম্ভবত লন্ডভন্ড হবে বাংলা

কলকাতা, ১৮ অক্টোবর ২০২৪: বাংলার উপকূল এলাকায় কালীপুজোর (Kali Puja) আগেই প্রকৃতির চরম আঘাত আসতে পারে। বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) একটি গভীর নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যা ক্রমে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিভিন্ন আবহাওয়া মডেল। যদিও ভারতের আবহাওয়া দফতর এখনো নিশ্চিতভাবে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দেয়নি, তবে ইউরোপ ও আমেরিকার আবহাওয়া মডেলগুলোর অনুমান অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় “ডানা” (Cyclone Dana) আছড়ে পড়তে পারে। ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরের পরিস্থিতি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আবহাওয়া দফতরের আগাম সতর্কতা
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ২০ শে অক্টোবর রবিবার উত্তর আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। এই ঘূর্ণাবর্ত ২২ শে অক্টোবর মঙ্গলবার মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে রূপান্তরিত হবে। এরপর এটি আরো শক্তিশালী হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এ পর্যন্ত আবহাওয়া দফতর ঘূর্ণিঝড় নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি, তবে বিপদের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

ইউরোপ ও আমেরিকার মডেলের পূর্বাভাস
ইউরোপ ও আমেরিকার আবহাওয়া মডেলগুলো অনুযায়ী, ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশা থেকে বাংলাদেশের বরিশাল উপকূলের মধ্যে যেকোনো স্থানে ল্যান্ডফল করতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনা ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ।

ইউরোপিয়ান মডেলের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি যদি ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ে, তাহলে এর শক্তি অনেকটা বেশি হবে। তবে বাংলাদেশের উপকূলে ল্যান্ডফল করলে এর গতি কিছুটা কম থাকবে এবং ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে প্রবাহিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার নামকরণ হবে “ডানা” যা কাতার দ্বারা দেওয়া হয়েছে।

মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা
আবহাওয়া দপ্তর ইতিমধ্যেই মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কতা জারি করেছে। আগামী ২২ এবং ২৩ শে অক্টোবর মধ্য ও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সেসময় সমুদ্রে ৫৫ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে, যার ফলে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠবে। মৎস্যজীবীদের জীবন রক্ষার জন্য এই সতর্কতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে প্রভাব
এই সিস্টেমের প্রভাবে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যেতে পারে। ২২ শে অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেল থেকে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ঝড়ো হওয়া শুরু হতে পারে এবং এর সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। ২৩ এবং ২৪ অক্টোবর দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৩ এবং ২৪ শে অক্টোবর দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

প্রস্তুতি এবং বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা
বাংলার উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ইতিমধ্যেই স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যেতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সমুদ্র উপকূলে থাকা মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা দলগুলি প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যাতে ঝড় বা বন্যার ফলে কোনও বড় ক্ষতি না হয়।

পূর্বের অভিজ্ঞতাগুলো মাথায় রেখে রাজ্য সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন আগাম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে জরুরি সেবা চালু রাখতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ পরিষেবা, পানীয় জল এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।

পূর্ববর্তী ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব এবং আশঙ্কা
বাংলার উপকূলীয় জেলাগুলি আগেও বেশ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বিপর্যস্ত হয়েছে। “আম্পান” ও “ইয়াস” এর মতো ঘূর্ণিঝড় বাংলার উপকূল এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি করেছে। তাই নতুন করে আবার একটি ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা মানুষকে ভয় ধরিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে কালীপুজোর আগে এই ধরনের বিপদজনক পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের আনন্দমুখর উৎসবমুখী মেজাজকে ভেঙে দিচ্ছে।

যদিও ভারতীয় আবহাওয়া দফতর এখনো নিশ্চিতভাবে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দেয়নি, তবে ইউরোপ ও আমেরিকার মডেলগুলোর পূর্বাভাসকে উপেক্ষা করা যাচ্ছে না। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরে তৈরি হওয়া পরিস্থিতি বাংলার উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। কালীপুজোর ঠিক আগে প্রাকৃতিক দুর্যোগের এই সম্ভাবনা সবাইকে সতর্ক করেছে। আগামী দিনগুলোতে পরিস্থিতির আরও উন্নতি বা অবনতি হবে কিনা তা নির্ভর করছে সাগরে তৈরি হওয়া সাইক্লোজেনেসিসের ওপর।

Bangladesh: বাংলাদেশের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে মা ইলিশ চুরির অভিযোগ, আরও ভারতীয় মৎস্যজীবী বন্দি

শুরু হয়েছে ইলিশ প্রজনন মরশুম। এই সময় বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার নদী মোহনা ও বঙ্গোপসাগরে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। অভিযোগ, পড়শি ভারত থেকে জেলেরা আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমান্ত পার করে ইলিশ ধরছে। বাংলাদেশের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে মা ইলিশ চুরির অভিযোগে আরও ভারতীয় জেলেরা বন্দি। বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও উপকূলরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, ধৃতরা পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এলাকার বাসিন্দা।

মা ইলিশ রক্ষায় বাংলাদেশ সরকার ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত বঙ্গোপসাগর ও নদীতে ২২ দিনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

বাংলাদেশ নৌবাহিনী জানাচ্ছে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে খুলনা বিভাগের লাগোয়া বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে ৩টি ফিশিং ট্রলারসহ ৪৮ ভারতীয় জেলেকে আটক করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বরিশালের উপকূলে পাহারার সময় পটুয়াখালির কুয়াকাটা সংলগ্ন গভীর সমুদ্রে বাংলাদেশের জলসীমা থেকে দুটি ভারতীয় জাহাজ ও ৩১ জেলেকে আটক করে পুলিশে হাতে তুলে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের তিনটি উপকূলীয় বিভাগ খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামের মৎসজীবীদের এ সময় ইলিশ ধরা নিষেধ। বাংলাদেশ নৌবাহিনী জানিয়েছে, সমুদ্র সীমা পার করে আলা জেলেরা তাদের ট্রলারে বিপুল ইলিশ তুলেছিল। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের ট্রলারে ভারতের পতাকা ছিল।

বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের নিয়মিত টহলের সময় জাহাজের রাডারে সন্দেহজনক ফিশিং ট্রলারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। বিদেশি পতাকাবাহী ট্রলার হিসেবে শনাক্ত করা হয়। নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড ধাওয়া করে। একাধিক অনুপ্রবেশকারী ট্রলার বাংলাদেশের জলসীমাতেই আটক করতে সক্ষম হয়।

Cyclone Dana: ধেয়ে আসছে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ডানা, কবে ও কোথায় হামলা?

জাগছে সাগর দানব। এবার তার নাম ডানা। সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) জন্ম নেবার সব লক্ষ্ণণ প্রকট। চলতি মাসের শেষের দিকে বঙ্গোপসাগরে ‘ডানা’ নামে  ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথ বিশ্লেষণ চলছে। বঙ্গোপসাগর উপকূলের তিনটি দেশ ভারত, বাংলাদেশ ও মায়ানমার। ডানা কোনদিকে যাবে?

আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেল জানিয়েছে আগামী ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে স্থলভাগে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টি জন্ম নিলে তার নাম হবে ডানা। এই নামটি দিয়েছে কাতার। ঘূর্ণিঝড় ডানা চলতি অক্টোবর মাসের ২৪ থেকে ২৬ তারিখের মধ্যে উপকূলে আঘাত করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে বলে বাংলাদেশ আবহাওয়া বিভাগ জানাচ্ছে।

আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলের বিশ্লেষণ, আসন্ন ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগ ও ভারতের ওড়িশা রাজ্যের মধ্যবর্তী যে কোনও উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করতে পারে।

ফের বাংলাদেশের উপকূলে জ্বলছে জাহাজ

বাংলাদেশে (Bangladesh) কয়েক সপ্তাহ ধরে পরপর জাহাজে অগ্নিকাণ্ড ঘটার পিছনে কি নাশকতা?,এমনই প্রশ্ন উঠছে। শনিবার রাত থেকে আবারও জ্বলন্ত জাহাজের ছবিতে শোরগোল। রবিবার (১৩ অক্টোবর) সকালেও জাহাজটি জ্বলছে।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে ‘বাংলার জ্যোতি’ নামে একটি তেলবাহী জাহাজে আগুনের পর বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়।  এর আগে আরও একটি জাহাজে আগুন ধরার ঘটনা ঘটে।  ফের শনিবার আরও একটি জাহাজে আগুন ধরল।

জাহাজের নাম সুফিয়া। জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে যাচ্ছিল।   জানা গেছে, রবিবার ভোর পর্যন্ত ওই জাহাজে থাকা ৩১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ার উপকূলে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে বলে জানান বাংলাদেশ উপকূলরক্ষী বাহিনীর পূর্বাঞ্চল গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি। তিনি জানান, আগুনের সূত্রপাত কীভাবে ঘটেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তিনি জানান ,শনিবার মধ্যরাতে জাহাজটিতে আকস্মিক আগুন লেগে যায়। এতে আগুন ভয়াবহ রূপ নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে। কুতুবদিয়ার উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পাওয়ার পর উদ্ধার কাজ চালাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের কয়েকটি জাহাজ।

দুর্গোৎসবের মাসে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা, সতর্কতা দিল বাংলাদেশ

বাংলাদেশ (Bangladesh) আবহাওয়া বিভাগ (BMD) সতর্কতা চলতি মাসে বঙ্গোপসাগর থেকে ঘূর্ণিঝড় তেড়ে আসার সম্ভাবনা (Cyclone alert) আছে।  দুর্গোৎসবের মাসে এই ঘূর্ণির গতি কোনদিকে সেটি এখনই স্পষ্ট নয়। বিএমডি জানিয়েছে, অক্টোবরে আসছে ঘূর্ণিঝড়।

বিএমডি জানিয়েছে বঙ্গোপসাগরে তিনটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। মঙ্গলবার ঢাকায় (১ অক্টোবর) আবহাওয়া বিভাগে পূর্বাভাস বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠকে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে আলোচনা হয়।

উল্লেখ্য অক্টোবর মাসে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছে আমেরিকার গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম (জিএফএস)। বাংলাদেশি আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ পূর্বাভাস মডেল বিশ্লেষণ করে ঘূর্ণির আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, অক্টোবর মাসের ১৫ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘুর্নিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা নির্দেশ করছে আমেরিকার গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম (জিএফএস) আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল।

তিনি উল্লেখ করেছেন, ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ঘূর্ণিঝড় সিতরাং (২২ থেকে ২৫ তারিখ) এবং ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ঘূর্ণিঝড় হামুন (২১ থেকে ২৫ তারিখ) সৃষ্টি হয়েছিল। এই দুটি ঘূর্ণিঝড়ই সরাসরি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত করেছিল। ঘূর্ণিঝড় সিতরাং খুলনা ও বরিশাল উপকূলে এবং ঘূর্ণিঝড় হামুন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপর দিয়ে বাংলাদেশে আঘাত করে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া বিশ্লেষকরা এই দিকটি খুব গভীরভাবে বিশ্লেষণ করছেন। তারা জানিয়েছেন, অক্টোবর মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীতে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে। তবে ভারি বৃষ্টিপাতজনিত কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্ব পার্বত্য অববাহিকার কতিপয় স্থানে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

উৎসবে ঘূর্ণি ঝড়ের হামলা? সাগর অসুরের মুখ কোন দিকে?

শারদোৎসবের মাসে বঙ্গোপসাগর থেকে অসুরের মতো গর্জন করে তেড়ে আসবে (Cyclone) ঘূর্ণি। এমনই একটি আশঙ্কার সম্ভাবনা নিয়ে বিশ্নেষণ চলছে। অক্টোবর মাসে বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছে আমেরিকার গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম (জিএফএস)। বাংলাদেশের (Bangladesh) আবহাওয়া বিশ্লেষকরা এই দিকটি খুব গভীরভাবে বিশ্লেষণ করছেন।

তবে বাংলাদেশ আবহাওয়া বিভাগ (BMD) জানিয়েছে, ঘূর্ণি আসছে কিনা তা স্পষ্ট হবে দিনকয়েক পর। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বারবার ঘর্ণির পূর্বাভাস মিলিয়ে দ়েওয়া বাংলাদেশি আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ আমেরিকার জিএনামক আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল বিশ্লেষণ করে ঘূর্ণির আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মোস্তাফা কামাল পলাশ ফেসবুকে জানান, অক্টোবর মাসের ১৫ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘুর্নিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা নির্দেশ করছে আমেরিকার গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম (জিএফএস) আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল।

তিনি উল্লেখ করেছেন, ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ঘূর্ণিঝড় সিতরাং (২২ থেকে ২৫ তারিখ) এবং ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ঘূর্ণিঝড় হামুন (২১ থেকে ২৫ তারিখ) সৃষ্টি হয়েছিল। এই দুটি ঘূর্ণিঝড়ই সরাসরি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত করেছিল। ঘূর্ণিঝড় সিতরাং খুলনা ও বরিশাল উপকূলে এবং ঘূর্ণিঝড় হামুন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপর দিয়ে বাংলাদেশে আঘাত করে।

মোস্তফা কামাল পলাশ উল্লেখ করেন, বঙ্গোপসাগরে নতুন ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হবে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য অক্টোবর মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

ঝড়ের মুখ বাংলাদেশের দিকে নাকি ভারত, মায়ানমারের দিকে তা নিশ্চিত নয়। তবে বঙ্গোপসাগর থেকে আসা সামুদ্রিক ঘূর্ণির সিংহভাগ বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলে আছড়ে পড়ে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আজ দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলায় প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি

একদম অক্ষরে অক্ষরে যেন মিলে গেল আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস। গভীর নিম্নচাপের দাপটে বুধবার অর্থাৎ সপ্তাহের তৃতীয় দিনেই বদলে গেল বাংলার আবহাওয়া (Weather Update)। আজ ১১ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর অবধি বাংলাজুড়ে এক নাগাড়ে বৃষ্টিপাত হবে বলে পূর্বাভাস জারি করল আলিপুর আবহাওয়া অফিস। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।

উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত একটি গভীর নিম্নচাপ বর্তমানে ওড়িশা উপকূলে ঘনীভূত হতে চলেছে। সকাল পর্যন্ত আবহাওয়া ব্যবস্থা পুরী থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং ওড়িশার গোপালপুর থেকে ১৪০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থান করছিল। শক্তি ও তীব্রতার দিক থেকে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের পরেই এই গভীর নিম্নচাপটি দ্বিতীয়। প্রাথমিকভাবে এটি ২-৩ দিন বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, তবে ক্রমবর্ধমান তীব্রতা এবং দ্রুত গতির সাথে এটি এখন প্রত্যাশার চেয়ে আগেই আঘাত হানবে বলে আশা করা হচ্ছে। যাইহোক, নিম্নচাপের প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টি হবে কলকাতা সহ সমগ্র দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে।

এদিকে আরও একটি ঘূর্ণাবর্তেরও সম্ভাবনা জারি করেছে বিভিন্ন হাওয়া অফিস। বলা হচ্ছে, ভিয়েতনামে আছড়ে পড়া ঘূর্ণিঝড় ইয়াগি দুর্বল হয়ে ঘূর্ণাবর্ত রূপে অবস্থান করছে যা পরবর্তীতে শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে। এর জেরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে । আলিপুর হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আজ উত্তরবঙ্গের বেশকিছু জেলা যেমন দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝেঁপে বৃষ্টি নামবে। জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। যদিও বাদবাকি জেলাগুলিতে আজ বৃষ্টি হতেও পারে আবার নাও হতে পারে।

এবার জেনে নেওয়া যাক বুধবার দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া কেমন থাকবে সে ব্যাপারে। আলিপুর যা পূর্বাভাস জারি করেছে সেটা অনুযায়ী, এদিন পূর্ব বর্ধমান, কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলী জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ প্রবল বৃষ্টিপাত হবে। এই জেলাগুলির উদ্দেশ্যেও আজ হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

এরপর আগামীকাল বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীকাল স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বৃষ্টি হবে পূর্ব বর্ধমান, নদীয়া, হুগলী, কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। সঙ্গী হবে বজ্রবিদ্যুৎ। ফলে সকলকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

 

Remal Cyclone: রেমাল ছোবলে চিত্রা হরিণের মৃত্যু মিছিল, বাংলাদেশের নিঝুম দ্বীপের ভয়াল দৃশ্য দেখুন

সার সার চিত্রা হরিণের মৃতদেহ ছড়িয়ে আছে। বাংলাদেশ থেকে ছড়িয়েছে রেমাল ঘূর্ণি (Remal Cyclone)  পরবর্তী মর্মান্তিক দৃশ্য। এমন দৃশ্য দেখে শিহরিত বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা। চিত্রা হরিণের অন্যতম আবাসস্থল বাংলাদেশের (Bangladesh) নিঝুম দ্বীপ। সেই দ্বীপ জুড়ে হাহাকার পরিস্থিতি। দেশটির উপকূলীয় বিভাগ চট্টগ্রামের অন্তর্গত হাতিয়া উপজেলার অন্তর্গত নিঝুম দ্বীপ।

রেমাল ঘূর্ণিঝড় মৃত। বঙ্গোপসাগর থেকে তৈরি হওয়া ঘূ্র্ণির দাপটে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এলাকা লন্ডভণ্ড। দুই দেশেই বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। মানুষের মৃত্যু মিছিলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে দুই দেশের মধ্যে ছড়িয়ে থাকা সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীদের মৃত্যু। আশঙ্কা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ জুড়ে সুন্দরবনের ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন দ্বীপে বন্যপ্রাণীদের বিপুল সংখ্যায় মৃত্যু হয়েছে।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, বাংলাদেশের অন্যতম বনপ্রাণী মায়া হরিণের আবাসস্থল সোনার চর দ্বীপও ক্ষতিগ্রস্থ। রেমাল ঘূর্ণির সময় বাংলাদেশের দিকে থাকা সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অংশ তলিয়ে গেছিল বলে জানিয়েছিল দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। জলস্তর নামতে শুরু করেছে। এরপরই আসছে বিভিন্ন দ্বীপের করুণ ছবি।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাত ও জলোচ্ছ্বাসে লণ্ডভণ্ড দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া। চট্টগ্রাম বিভাগের  নিঝুম দ্বীপসহ হাতিয়া উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন জোয়ারের জলে প্লাবিত হয়েছে।‌ সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে নিঝুম দ্বীপের বহু হরিণ ভেসে গেছে। অনেক হরিণের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান নিঝুম দ্বীপের চেয়ারম্যান মহ: দিনাজ উদ্দিন। তিনি জানান,  গত তিনদিন ধরে হাতিয়ার সঙ্গে বাইরের সব নৌ যোগাযোগ বন্ধ।  স্থানীয় সাংসদ মোহাম্মদ আলী বলেছেন নিঝুম দ্বীপে থাকা ৯ হাজার পরিবারের ৩০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

নিঝুম দ্বীপের এক দিকে মেঘনা নদী আর তিন দিকে বঙ্গোপসাগর। নিঝুম দ্বীপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো মাইলের পর মাইল জুড়ে কেওড়া বন আর সেই বনের পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা চিত্রা হরিণ।

২০০১ সালের বাংলাদেশ সরকার পুরো দ্বীপটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করে। চিত্রা হরিণের অপর নাম চিত্রল হরিণ, চিত্র মৃগ, চিতল। উপমহাদেশীয় হরিণ প্রজাতিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন বলে চিহ্নিত চিত্রা হরিণ।

Remal Cyclone: এটাই আলোচিত বাংলাদেশের খেপুপাড়া ঘাট, রেমাল ছোবল মারবে রাতে

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল (Remal Cyclone) রবিবার ভারত ও বাংলাদেশের উপকূল পার হবে। ঘূর্ণিঝড়ের যাত্রাপথে পড়ছে ভারতীয় উপকূলের সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া। দুই দেশের আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন রেমালের মূল আঘাত হবে বাংলাদেশেই।

বাংলাদেশের উপকূলীয় বিভাগ বরিশাল। এই বিভাগের কলাছড়া উপজেলার খেপুপাড়াতেই হবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাত। বঙ্গোপসাগর থেকে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণি সুন্দরবনকে পাশ কাটিয়ে ভূমিতে ধাক্কা খাবে। ফলে ঝড়ের গতি সুন্দরবনের প্রাকৃতিক ঢালে কমার সম্ভাবনা নেই।

স্থানীয় সময় রাত ১০টার মধ্যে উপকূলে আঘাত হানবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া দফতর। বিএমডির পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, সন্ধ্যা ৬টার পর ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে। তিনি বলেন “ঝড়ের সামনের অংশের প্রভাব বিকেল থেকে অনুভূত হয়েছে এবং কেন্দ্রটি সন্ধ্যার পরে তিন থেকে চার ঘন্টার মধ্যে ল্যান্ডফল করবে। এরপর মধ্যরাত বা তার পরে কিছু সময় পর্যন্ত চলবে।”

আজিজুর বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি একবার স্থলভাগে আছড়ে পড়লে মরবে না। এমনকি যখন এর লেজ ভূমিতে আঘাত করে, তখনও প্রবল বাতাস, বৃষ্টি, দমকা এবং জলোচ্ছ্বাস থাকবে। একবার এটি সম্পূর্ণরূপে ল্যান্ডফল হয়ে গেলে, এটি আর শক্তি অর্জন করতে সক্ষম হবে না। গাছপালা, ভবন এবং পরিকাঠামোর কারণে এটি প্রয়োজনীয় শক্তি অর্জন করতে পারে না কারণ এটির উৎস বন্ধ হয়ে যায়।

Cyclone: পাখির নীড়ের মত চোখ…ঘূর্ণিঝড়ের ভয়ে লুকিয়েছে সোনার চরের মায়া হরিণ

বিশাল সুন্দরবনের সিংহভাগ বাংলাদেশের অন্তর্গত। বঙ্গোপসাগর থেকে তৈরি হওয়া সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়গুলির (Cyclone) বেশিরভাগই সরাসরি আঘাত করে সুন্দরবন। বাংলাদেশ আবহাওয়া বিভাগ (BMD) জানাচ্ছে, প্রবল গতি নিয়ে আসা ঘূর্ণির আঘাতে দেশের উপকূলীয় বিভাগ বরিশালে ভয়াল জলোচ্ছ্বাস হবে। অন্যতম সৈকত পর্যটনস্থল পটুয়াখালীতে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা। সুন্দরবন ঘেরা বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকাতে বন্যপ্রাণীরা প্রকৃতির নিয়মে ঘূর্ণির আভাস পেয়েছে। বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলির বন্য প্রাণীরা জলবন্দি। ফলে তাদের উপর ঝড়ের ধাক্কা মারাত্মক হতে পারে।

ঘূর্ণির আওতায় পড়ছে বাংলাদেশের সুন্দরবন এলাকার অন্যতম দ্বীপ সোনার চর। এখানে আছে বিখ্যাত মায়া হরিণ। সুন্দরবনের অতুলনীয় বন্যপ্রাণ মায়া হরিণের দল ঘূর্ণির ভয়ে মুখ লুকিয়েছে।

সুন্দরবনে মিশে থাকা বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালীর সর্বদক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের কোলে প্রকৃতির বিস্ময় সোনার চর।  মোট আয়তন ১০ বর্গকিলোমিটার। দ্বীপের চার কিলোমিটার জুড়ে সৈকত।  সোনার চরে গাছ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষিত। বাংলাদেশের অতুলনীয় বন্যপ্রাণী মায়া হরিণ।  এছাড়াও সোনার চরে আছে বন মহিষের একটি প্রজাতি ও আরও হরেক বন্যপ্রাণী সম্ভার।

মায়া হরিণ হলো হরিণ প্রজাতির মধ্যে অন্যতম খর্বকায়। এরা লাজুক প্রকৃতির। লালচে বাদামী পিংগল রং হয় তাদের। বিস্ময়কর মায়া হরিণের জীবনধারণ। ভয় পেলে বা শিকারী প্রাণী দেখতে পেলে মায়া হরিণ অনেকটা কুকুরের মত শব্দ করে।  এই কারণে মায়া হরিণকে বার্কিং ডিয়ার বলে চিহ্নিত করেছেন প্রাণী বিশেক্ষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ভারত বাংলাদেশসহ  দক্ষিণ ও দক্ষিণ- পূর্ব এশিয়া জুড়ে মায়া হরিণ দেখা যায়। 

ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে বনাঞ্চল সংলগ্ন গ্রামগুলিতে ভেসে চলে আসা মায়া হরিণসহ অন্যান্য প্রাণী উদ্ধারের জন্য বাংলাদেশ বনবিভাগ কর্মীরা প্রস্তুতি নিয়েছেন। সীমান্তের ওপারেও সুন্দরবনের এলাকা পড়ছে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। ভারতীয় বন মন্ত্রকের অধীন পশ্চিমবঙ্গ বনবিভাগের কর্মীরাও ঝড় পরবর্তী সময়ে বন্য প্রাণী উদ্ধারে নামবেন। বঙ্গোপসাগরের উপকূলে থাকা বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবন দুই দেশেই ছড়িয়ে আছে।

Remal Cyclone: রেমাল ঘুর্ণির আগেই ৪ ফুট জলস্তর বৃদ্ধি! বাংলাদেশে ‘মহাবিপদ সংকেত’

ঘূর্ণিঝড় রেমালের (Remal Cyclone)  সর্বশেষ গতি নির্ধারণ করে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের পাশ কাটিয়ে ঝড়টি বাংলাদেশেই ঢুকবে।  রবিবার (২৬ মে) বাংলাদেশের  সাতক্ষীরা ও কক্সবাজারের মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী  মহিববুর রহমান। রবিবার প্রথম প্রহরে মহাবিপদ সংকেত জারি হতে পারে বলে জানান তিনি।

পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এলাকার জেলাগুলিতে জারি হয়েছে সতর্কতা। জানুন পরিস্থিতি: Remal: তাণ্ডব চালাতে পারে ‘রেমাল’, বিপদে সাহায্য পেতে সেভ করে রাখুন এই হেল্পলাইন নম্বর

ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশের ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, সতর্ক সংকেত রাতে ৪-এর উপরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে সময় ঘূর্ণিঝড় বিপদের পর্যায়ে চলে যেতে পারে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস পর্যালোচনা করে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, “আমারা ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রেখেছি। সার্বিক প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। সেই অনুযায়ী কাজ শুরু হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে সাতক্ষীরা থেকে চট্টগ্রামের কক্সবাজার পর্যন্ত কমবেশি ক্ষতি হতে পারে। সাত থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় এলাকায় লঞ্চসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ। ঘূর্ণিঝড় রেমাল রবিবার ভোর থেকে ঝড় আঘাত হানতে পারে। সন্ধ্যায় পুরোপুরি আঘাত হানবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।