Tag Archives: audio clip

অনুব্রত অডিও-কাণ্ডে দিল্লি হাজিরা এড়িয়ে হাইকোর্টের শরণে বীরভূমের এসপি

বীরভূম: বীরভূমের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিতর্কিত অডিও ক্লিপ-কাণ্ডে দিল্লিতে জাতীয় মহিলা কমিশনের (NCW) তলব এড়িয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন জেলার পুলিশ সুপার (SP) আমনদীপ। আগামীকাল, বুধবার এই বিষয়ে মামলার শুনানি হতে পারে বলে আদালত সূত্রে খবর।

কমিশনের নির্দেশ ছিল, ১ জুলাই বেলা ১২টার মধ্যে দিল্লিতে হাজিরা দিতে হবে বীরভূমের এসপিকে। অনুপস্থিত থাকলে বোলপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বা এসডিপিওকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সহ হাজির থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু নির্দেশ না মেনে এসপি এবার আইনি আশ্রয় নিয়েছেন, যার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক তাৎপর্য বেশ গভীর।

 ঘটনার প্রেক্ষাপট

মে মাসের শেষদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়, যেখানে একটি পুরুষ কণ্ঠস্বর বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছে। অভিযোগ, এই কণ্ঠ অনুব্রত মণ্ডলের। কেবল ওই অফিসার নন, ফোনালাপের সময় তাঁর মা ও স্ত্রী সম্পর্কেও কুরুচিকর মন্তব্য শোনা যায়,যা নেটিজেনদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ তৈরি করে।

জানা গিয়েছে, আইসি লিটন হালদার নিজের নামে অভিযোগ দাখিল করেন। এরপর বীরভূম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অনুব্রতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (BNS) ২২৪, ১৩২, ৩৫১ ও ৭৫ ধারায় জামিন অযোগ্য মামলা রুজু হয়। তাঁকে তলবও করা হয়। কিন্তু এর পরেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনও পুলিশি পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

জাতীয় মহিলা কমিশনের হস্তক্ষেপ Birbhum SP NCW summons

২৫ জুন জাতীয় মহিলা কমিশন সরাসরি বীরভূমের এসপিকে চিঠি দিয়ে জিজ্ঞাসা করে, কেন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তীব্র ভাষায় জানানো হয়, কমিশনের নির্দেশ অমান্য করলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এই পরিস্থিতিতে, প্রশাসনিক চাপ এবং কমিশনের কড়া অবস্থানের সম্ভাবনা মাথায় রেখেই এসপি এবার হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর।

এখন নজর আদালতের দিকেই

বুধবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা থাকলেও, আদালতের তরফে কী সিদ্ধান্ত আসে, তা নির্ধারণ করবে আগামী দিনের প্রশাসনিক গতিপথ। শুধু বীরভূম নয়, গোটা রাজ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনও এই মামলার দিকেই তাকিয়ে।

এখন দেখার, আইন ও প্রশাসনের জটিলতার মাঝে এই মামলার পরবর্তী মোড় কোন দিকে ঘোরে—বিচারব্যবস্থা কী বার্তা দেয় পুলিশ প্রশাসন এবং রাজনৈতিক মহলকে।

আইসিকে হুমকিকাণ্ডে অবশেষে হাজিরা দিলেন অনুব্রত! বাজেয়াপ্ত মোবাইল

বোলপুর: সপ্তাহখানেক ধরে চলা বিতর্কের পর অবশেষে এসডিপিও অফিসে হাজিরা দিলেন অনুব্রত মণ্ডল৷ বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টা নাগাদ তিনি হাজির হন বোলপুর এসডিপিও কার্যালয়ে।

এই হাজিরার প্রেক্ষাপটে রয়েছে একটি ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপ, যেখানে বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে গালিগালাজ ও কটূক্তি করতে শোনা যায় অনুব্রতকে। অডিওটি সামনে আসার পরই শুরু হয় রাজনৈতিক বিতর্ক ও পুলিশি তৎপরতা।

ভাইরাল অডিও ক্লিপ, মামলা ও অনুপস্থিতি

গত বৃহস্পতিবার (এক সপ্তাহ আগে) সেই অডিও ক্লিপ সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরদিনই অনুব্রত মণ্ডল ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চান তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে। তবে একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, এটি ‘একটি রাজনৈতিক চক্রান্ত’।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বোলপুর থানার পুলিশ হুমকি ও অসদাচরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করে, এবং শনিবার অনুব্রতকে এসডিপিও দফতরে হাজিরা দিতে নোটিস পাঠানো হয়।

শনিবার তিনি অনুপস্থিত থাকায় আবার রবিবার সকাল ১১টায় হাজিরার দ্বিতীয় নোটিস পাঠানো হয়। তবুও রবিবার তিনি যাননি। তাঁর হয়ে হাজির হন আইনজীবী বিপদতারণ ভট্টাচার্য, পলাশ দাস এবং ঘনিষ্ঠ নেতা গগন সরকার। তাঁরা জানান, অনুব্রত শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং চিকিৎসকের পরামর্শে পাঁচ দিন সম্পূর্ণ বিশ্রামে আছেন। মেডিক্যাল সার্টিফিকেটও জমা দেওয়া হয় তদন্তকারী অফিসারের কাছে।

অবশেষে হাজিরা ও মোবাইল বাজেয়াপ্ত Anubrata Mondal SDPO office 

সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতিবার, সাত দিন পর অনুব্রত এসডিপিও অফিসে যান কেষ্ট। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি, আইসি লিটন হালদারেরও দু’টি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, যাতে তদন্তে অডিয়ো ক্লিপ সংক্রান্ত সব দিক খতিয়ে দেখা যায়।

এই অডিও ক্লিপের কণ্ঠস্বর ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ক্লিপটি কীভাবে বাইরে ছড়াল, তা নিয়েও পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করেছে বীরভূম জেলা পুলিশ।

আইসি’র বিরুদ্ধেও তদন্ত

এদিকে শুধু অনুব্রতের নয়, আইসি লিটন হালদারের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রের দাবি, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দায়িত্বে গাফিলতি বা তথ্য ফাঁসের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

‘ক্ষমা চান, না হলে…..’,অডিও-কাণ্ডে অনুব্রতকে চরম বার্তা তৃণমূলের

বোলপুর: অডিও বিতর্কে চাপে পড়ে গেলেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে জেলা পুলিশ। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত যে, শুক্রবার সকালে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) বিবৃতি দিয়ে অনুব্রতকে চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। না হলে তাঁকে শো’কজ করার কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে দলীয় তরফে।

অডিও ক্লিপ ভাইরাল

বুধবার রাতে অনুব্রতের নামে এক অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়, যেখানে অভিযোগ অনুযায়ী বোলপুর থানার আইসিকে গালিগালাজ ও হুমকি দেওয়া হয়। ওই ফোনালাপে পুলিশ আধিকারিকের পরিবার সম্পর্কেও অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অডিওটি ভাইরাল হতেই জেলার রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বিরোধী বিজেপি অনুব্রতের গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হয়, সিউড়িতে পুলিশ সুপারের দফতরের সামনে বিক্ষোভে নামে মহিলা মোর্চা।

এই পরিস্থিতিতে জেলা পুলিশও সক্রিয় ভূমিকা নেয়। শুক্রবার সকালে বোলপুর থানায় যান বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপ। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আইসিকে ফোনে হুমকি ও কটূ ভাষা ব্যবহার করার ঘটনায় FIR দায়ের হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৭৫, ১৩২, ২২৪ ও ৩৫১ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনাটির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। পাশাপাশি অডিওটি কীভাবে সমাজমাধ্যমে ছড়াল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

তদন্তে পুলিশ Anubrata Mondal Audio Controversy

ঘটনার তদন্ত করছেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রিকি আগরওয়াল। তিনি জানান, “প্রাথমিকভাবে হুমকি প্রদানকারী ব্যক্তি নিয়েই তদন্ত চলছে। অন্য কেউ জড়িত থাকলে, তদন্তেই তা স্পষ্ট হবে।”

এদিকে, তৃণমূলের একাংশ দাবি করেছে, এটি একটি সাজানো ষড়যন্ত্র, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে অনুব্রতকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। যদিও দলীয় স্তরে প্রকাশ্য কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়েছে৷ নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ক্ষমা না চাইলে দলের তরফ থেকে অনুব্রতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনুব্রতের চারজন নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই অনুব্রতের চারজন নিরাপত্তারক্ষী এবং তাঁর ব্যবহৃত একটি সরকারি গাড়ি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আরও রাজনৈতিক উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে।

পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলের একাংশের প্রশ্ন, দু’জনের ব্যক্তিগত ফোনালাপ কীভাবে ফাঁস হল, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ তদন্তের বিষয় হওয়া উচিত। যদিও পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, আপাতত যিনি ফোনে হুমকি দিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে।

পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই এখন দেখার। তবে এতটুকু স্পষ্ট—অডিও ভাইরালের জেরে অনুব্রতের রাজনৈতিক অবস্থান ফের একবার প্রশ্নের মুখে।

West Bengal: TMC leader Anubrata Mondal faces an FIR for allegedly abusing and threatening Bolpur IC in a viral audio clip. West Bengal police have launched a full investigation, while the TMC has demanded an unconditional apology within four hours, threatening show-cause action.

 

কাকুর অডিয়োতে গলা পার্থ, অভিষেক, মানিকের! সুজয়ের কাছে ১৫ কোটি টাকা চেয়েছিলেন কে?

কলকাতা: স্কুলে বেআইনি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় সিবিআইয়ের চার্জশিটে উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য৷ কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দাবি, ২০১৭ সালে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র  কাছ থেকে ১৫ কোটি টাকা চেয়েছিলেন জনৈক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরও কয়েকজন ওই সময় বেহালায় ‘কাকু’র বাড়িতে গিয়ে ঘুষের টাকা দেন। সিবিআইয়ের হাতে একটি অডিয়ো ক্লিপ এসেছে, যেখানে বেআইনি নিয়োগের চক্রের কাজকর্ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শোনা গিয়েছে। ওই অডিয়োতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মানিক ভট্টাচার্যের নামও উঠে এসেছে।

সিবিআই জানিয়েছে, ওই অডিয়ো ক্লিপে কীভাবে বেআইনি নিয়োগ চলত এবং এর সঙ্গে কারা যুক্ত ছিল, সে বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া, সিবিআইয়ের দাবি, এই নিয়োগ চক্রে আরও অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত ছিলেন।

২০১৭ সালে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গে কথোপকথন রেকর্ড করেছিলেন কুন্তল ঘোষের বেতনভুক্ত কর্মী অরবিন্দ রায়বর্মণ। সেই অডিয়ো ক্লিপটি পরে ল্যাপটপে সংরক্ষণ করা হয়, যা সিবিআইয়ের হাতে আসে।

চার্জশিটে বলা হয়েছে, ওই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করার জন্য সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্সেস ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া, সুজয়কৃষ্ণ, কুন্তল এবং শান্তনুর কণ্ঠস্বরের নমুনাও পরীক্ষার জন্য দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, কিছু সাক্ষী ইতিমধ্যেই অডিয়োর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

অডিয়ো ক্লিপটি এক ঘণ্টারও বেশি সময়ের, যেখানে বেআইনি নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নাম উঠে এসেছে। চার্জশিটে বলা হয়েছে, অডিয়োতে জনৈক ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের’ নাম শোনা গিয়েছে, তবে তাঁর পরিচয় সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। সিবিআই শুধু নামটুকু উল্লেখ করেছে, কিন্তু এ বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি। সিবিআইয়ের অভিযোগ, ওই সময় কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আরও দুই ব্যক্তি, অরবিন্দ রায়বর্মণ এবং সুরজিৎ চন্দ উপস্থিত ছিলেন, যাঁদের গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, সিবিআই চার্জশিটে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম ‘প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী’ হিসেবে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম ‘লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর চিফ অপারেটিং অফিসার হিসেবে উল্লেখ করেছে। শান্তনু ও সুজয়কৃষ্ণকে তৃণমূল কংগ্রেসের (যুবা) সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচয় নিয়ে সিবিআই কোনও বিস্তারিত তথ্য দেয়নি।

এই নতুন তথ্যের মাধ্যমে সিবিআই আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, অডিয়ো ক্লিপে কীভাবে বেআইনি নিয়োগ চলত এবং কোন কোন প্রভাবশালী ব্যক্তি এতে জড়িত ছিল, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা ছিল। এখন সিবিআই তদন্ত আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

জঙ্গিরা শুনছ…হাসপাতালে বোমা হামলার ঘটনায় ইজরায়েলের অডিও বার্তা

যুদ্ধের অন্তিম লগ্ন তো বহুদূর! শুধু বেড়েই চলেছে ইজরায়েল-গাজা সংঘর্ষের হিংস্রতা, বর্বরতা। প্রতিদিনের মৃত্যু-মিছিল কোথায় গিয়ে পৌঁছাবে তা কারুর জানা নেই। মঙ্গলবার গাজার এক হাসপাতালে বোমা হামলায় নিহত প্রায় ৫০০ জন। অভিযোগের তীর ইজরায়েলের দিকে। তবে ঘটনার একদিনের মধ্যে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করল ইজরায়েলি সেনা বাহিনী।

বুধবার ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা হাসপাতালে বোমা হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার বাহিনী বলেছে যে তারা মঙ্গলবার গাজা উপত্যকার হাসপাতালে বিমান হামলার সরাসরি আঘাতের কোনও প্রমাণ দেখেনি। একটি অডিও রেকর্ডিং শেয়ার করে দাবি করা হয়েছে যেখানে “হামাস জঙ্গিরা ইসলামিক জিহাদের ছোঁড়া রকেট মিসফায়ারিং নিয়ে আলোচনা করছে।”

মিডিয়াকে সম্বোধন করে, ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন যে ইসলামিক জিহাদ জঙ্গিদের দ্বারা ইসরায়েলের দিকে ভুল ছোড়া রকেট উৎক্ষেপণের পরে ব্যর্থ হয় এবং হাসপাতালে আঘাত করে। ইসলামিক জিহাদ হল একটি ফিলিস্তিনি জঙ্গি সংগঠন যা গাজা এবং পশ্চিম তীরে কাজ করে।
গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের বিমান হামলায় বিস্ফোরণের জন্য দায়ী করার পরে ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর এই ব্যাখ্যা এসেছে।

হাসপাতালের বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা ৫০০-এ রিপোর্ট করা হয়েছে – বর্তমান সহিংসতার সময় গাজায় যে কোনো একক ঘটনার মধ্যে এটি সর্বোচ্চ। একটি হাসপাতালে আঘাত হানার রিপোর্ট এবং বিপুল হতাহতের সংখ্যা পশ্চিম তীর এবং জর্ডান এবং তুরস্ক সহ সমগ্র অঞ্চলে বিক্ষোভের সূত্রপাত করেছে।

একটি ইংরেজি ভাষার ব্রিফিংয়ে, একজন ইজরায়েলি সামরিক মুখপাত্র বলেছেন যে একটি তদন্ত “নিশ্চিত হয়েছে যে হাসপাতালে আঘাত করা স্থল, সমুদ্র বা বায়ু থেকে কোন আইডিএফ (ই্জরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী) আগুন ছিল না”। তিনি বলেন, আল-আহলি আল-আরাবি হাসপাতালের আশেপাশের ভবনগুলির কোনও কাঠামোগত ক্ষতি হয়নি এবং বিমান হামলার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কোনও গর্ত নেই।
সাইটে বিস্ফোরণের আকার ব্যাখ্যা করতে চাওয়া হলে, মুখপাত্র বলেছিলেন যে এটি অব্যবহৃত রকেট জ্বালানি আগুন ধরার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। “এই ক্ষয়ক্ষতির বেশিরভাগই প্রপেল্যান্টের কারণেই হয়েছে, শুধু ওয়ারহেড নয়,” তিনি জানান।

ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী হামাসকে বিস্ফোরণে হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্যও অভিযুক্ত করেছে এবং বলেছে যে বিস্ফোরণটি কী কারণে ঘটেছে বলে দাবি করা হয়েছে তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জানা যায়নি। “আইডিএফ নিশ্চিত করেছে যে গাজার হাসপাতালে হামলার জন্য ইসলামিক জিহাদ দায়ী ছিল। সন্ধ্যা ৬.১৫ মিনিটে, ইজরায়েলে হামাসের একটি ব্যারেজ রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছিল, তারপর সন্ধ্যা ৬.৫৯ মিনিটে, প্রায় ১০ টি রকেটের একটি ব্যারেজ নিক্ষেপ করেছিল। হাসপাতালের চারপাশে ইসলামিক জিহাদ। একই সময়ে হাসপাতালে একটি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে,” তিনি জানান।

“আমাদের গোয়েন্দা তথ্য অনুসারে, হামাস ইসলামিক জিহাদ রকেটের ভুল গুলি চালানোর রিপোর্ট পরীক্ষা করেছে এবং সত্যিকার অর্থে যা ঘটেছে তা লুকানোর জন্য একটি বিশ্বব্যাপী মিডিয়া প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” “তারা হতাহতের সংখ্যা বাড়াতে গিয়ে বুঝতে পেরেছিল যে ইসলামিক জিহাদ দ্বারা বিভ্রান্ত করা একটি রকেট হাসপাতালের ক্ষতি করেছে।”

ইজরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র আরও বলেছেন যে গাজা থেকে ছোড়া প্রায় ৪৫০ টি রকেট গত ১১ দিনের মধ্যে স্ট্রিপের অভ্যন্তরে ছোট হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে রকেট মিসফায়ারিং সম্পর্কে জঙ্গিদের মধ্যে যোগাযোগের বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে।”

মঙ্গলবারের বিস্ফোরণের আগে, গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলেছিল যে ই্জরায়েলের ১১ দিনের বোমাবর্ষণে কমপক্ষে ৩০০০ লোক মারা গেছে যা ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইজরায়েলি সম্প্রদায়গুলিতে হামাসের হামলার পরে শুরু হয়েছিল যাতে ১৩০০ জন নিহত হয়েছিল এবং প্রায় ২০০ জনকে পণবন্দী করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এই লড়াইয়ের ফলে মধ্যপ্রাচ্যে আরও বিস্তৃত যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ধানতলায় নাবালিকার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ভাইরাল অডিও ক্লিপ, শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে

১১ এপ্রিল নদিয়ার ধানতলায় (Dhantala) আত্মীয়র বাড়ি থেকে এক নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার (Mysterious death) করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে। এরপরই শুরু হয় তদন্ত। আর তারপরেই প্রকাশ্যে আসে একটি অডিও ক্লিপ। অভিযোগ উঠেছে সেই অডিও ক্লিপে কথা বলেছেন দুই বিজেপি নেতা।

অভিযোগ করা হয়েছে এই ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপটিতে উঠে এসেছে বিষয়টিকে রাজনৈতিক ইস্যু বানানো কথা। একইসঙ্গে উঠে এসেছে, দুই বিজেপি নেতার নাম। একজন পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় ও মুকুটমণি অধিকারী। আর এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বর্তমানে বিজেপি-তৃণমূল তরজা তুঙ্গে উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে তাহলে আসলে কারা যুক্ত রয়েছে এই ধর্ষণ কাণ্ডের সঙ্গে? বিরোধী দলই কি গোটা বিষয়টি ঘটিয়েছে! দোষ চাপাচ্ছে শাসক দলের ওপর?

আর এই নিয়েই সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, এই অডিও ক্লিপটা থেকে পরিষ্কার কিভাবে তৃণমূলের উপর দোষ চাপানো যায় এবং কিভাবে থানার ওপর চাপ বাড়ানো যায় তার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যে অডিও ক্লিপটি সামনে এসেছে তাতে সকলের মুখোশ খুলে যাচ্ছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এই রবিবার নদিয়ার ধানতলায় যাওয়ার কথা ছিল রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। কিন্তু তার আগেই প্রকাশ্যে আসে এই অডিও ক্লিপটি। আর এরপরই সফর বাতিল করেন সুকান্ত মজুমদার।