আসন্ন ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (ISL) অংশ নিতে চলেছে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এই প্রথম আইএসএল-এ অংশ নিতে চলেছে দল। ইতিমধ্যে কয়েকজন ফুটবলারকে নিশ্চিত করার কথা ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এবারের কলকাতা ফুটবল লিগের জন্য নতুন করে দল সাজিয়েছিলেন মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কর্তারা। সিএফএল-এর স্কোয়াডে এক ঝাঁক তরুণ মুখ। তার মধ্যে একজন শিবা মান্ডি (Shiba Mandi)।
শিবা আগে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টে ছিলেন। সবুজ মেরুন ব্রিগেডের হয়ে খেলেছিলেন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ডেভেলপমেন্ট লিগ। মোহনবাগানের পর শিবা মান্ডি যোগ দেন মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে। বেশি গেম টাইম খেলার লক্ষ্য নিয়ে নতুন দলে যোগ দিয়েছিলেন।
কলকাতা ফুটবল লিগে খুব বেশি সুযোগ পাননি। এখনও পর্যন্ত তিন ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছিলেন। বর্ধমানের ধাত্রীগ্রামের তরুণ এই ফুটবলার আপাতত রয়েছেন ইন্ডিয়ান সুপার লিগ খেলার অপেক্ষায়। একাধিক পজিশনে খেলার দক্ষতা রয়েছে তাঁর। উইংয়ের পাশাপাশি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার, ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবেও খেলতে পারেন শিবা।
তরুণ এই ফুটবলারের সামনে এখন দীর্ঘ কেরিয়ার পড়ে রয়েছে। শিবা সেটা কাজে লাগাতে চাইছেন। মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব এখনও কলকাতা ফুটবল লিগের চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে। গ্ৰুপ পর্বের শেষ বেলায় কোনওরকমে সুপার সিক্সের টিকিট নিশ্চিত করেছে দল। মরশুমের শুরুটা ভাল করলেও পরের দিকে চাপে পড়ে গিয়েছিল দল। আপাতত সাদা কালো জার্সিতে আরও কিছু ম্যাচ খেলার অপেক্ষায় রয়েছেন শিবা মান্ডি।
বাড়ি বর্ধমানে হলেও ছেলেবেলার অনেকটা তাঁর কেটেছে মামাবাড়ি কল্যাণীতে। শিবা জানিয়েছেন, ‘বাবা লেবারের কাজ করেন। মা হাউস ওয়াইভ। মামাবাড়ি থেকেই পড়াশুনা, ফুটবল খেলা।’ কলকাতার ক্লাবে খেললেও এখনও তিনি থাকেন কল্যাণীতেই। খেলাধুলার পাশাপাশি চলছে পড়াশুনা।
কল্যাণী ভেটারেন্স বি থ্রি থেকে শিবা মান্ডির উত্থান। এরপর বিধাননগর মনিসিপ্যাল স্পোর্টস অ্যাকাডেমি, কলকাতা ইউনিয়ন ক্লাব হয়ে এটিকে মোহনবাগানের রিজার্ভ টিম। এখন খেলছেন মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে।