রঞ্জিতে বাংলার হয়েই শেষ অধ্যায় ঋদ্ধিমানের

এবারের রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে মাঠে নামল বাংলা ক্রিকেট দল। এই মরশুমে এটি বাংলার শেষ রঞ্জি ম্যাচ হতে চলেছে…

এবারের রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে মাঠে নামল বাংলা ক্রিকেট দল। এই মরশুমে এটি বাংলার শেষ রঞ্জি ম্যাচ হতে চলেছে কারণ খুব বড় কোনো অঘটন না ঘটলে পরবর্তী রাউন্ডে পৌঁছানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই এই ম্যাচই বাংলার জন্য একেবারে শেষ হতে পারে। এবং এর মাধ্যমে কেরিয়ারেরও ইতি ঘটতে চলেছে কিংবদন্তি ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha)।

মরশুম শুরুতেই ঋদ্ধিমান ঘোষণা করেছিলেন এটি তার শেষ রঞ্জি মরশুম। তাই পাঞ্জাব ম্যাচটি তার জন্য বিশেষ এক মানে ধারণ করছে। ক্রিকেটের নন্দনকাননে এটি হতে চলেছে তার কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ।

   

ক্রিকেট দুনিয়ার শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা

পাঞ্জাব ম্যাচ শুরুর আগে স্বাভাবিকভাবেই ঋদ্ধিমানের জন্য শুভেচ্ছার ঢল নেমেছে। বাংলার আরেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ঋদ্ধিমানের কেরিয়ারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে লিখেছেন, “এক দুরন্ত কেরিয়ারের জন্য ঋদ্ধিমান সাহাকে অনেক অনেক অভিনন্দন। ও কেরিয়ারে যা যা লাভ করেছে তার জন্য ওর গর্ব হওয়া উচিত। বাংলার হয়ে ওর শেষ ম্যাচের জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল।”

এছাড়া ম্যাচের আগে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের (সিএবি) তরফে ঋদ্ধিমান সাহাকে সম্মান জানানো হয়। সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় প্রাক্তন ভারতীয় কিপার-ব্যাটারকে পুষ্পস্তবক এবং উত্তরীয় প্রদান করেন। তিনি বলেন, “একটা দারুণ এবং অনুপ্রেরণামূলক কেরিয়ার শেষ হতে চলেছে। ২০০৭ সালে অভিষেক ঘটানোর পর এতদিন পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যাওয়াটা সত্যিই অসাধারণ। ওকে অনেক অভিনন্দন এবং ভবিষ্যতের জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল।”

ঋদ্ধিমান সাহার জন্য সিএবি এক বিশেষ উপহারও দেয়। তা হল সকল বাংলা দলের সদস্যের সই করা একটি জার্সি।

ঋদ্ধিমানের পরিবার

Advertisements

ঋদ্ধিমান সাহার পরিবারেরও উপস্থিত থাকার কথা ছিল তার শেষ রঞ্জি ম্যাচে। তবে দুর্ভাগ্যবশত তার মা মাঠে উপস্থিত থাকতে পারছেন না। ঋদ্ধিমান নিজেই জানান, “পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছে মা। তাই আসা হচ্ছে না ইডেনে। বাবা সম্ভবত থাকবে মাঠে।” তবে তার স্ত্রী এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ম্যাচ দেখতে উপস্থিত থাকবেন।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

শেষ ম্যাচের আগে ঋদ্ধিমান সাহা তার জীবনের পরবর্তী অধ্যায় নিয়ে কিছু কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “ব্যস্ততা কমবে কোথায় বেড়ে যাবে। খেলা থাকলে যে কোনও কাজ ছেড়ে আসতেই হবে। তবে খেলা ছাড়ার পর সময় কাটানোর জন্য, উপার্জনের জন্য কিছু করতে হবে।”

শেষ ম্যাচের লক্ষ্য

ঋদ্ধিমান সাহা জানিয়েছেন তার লক্ষ্য থাকবে দলের জয় এবং ব্যাট হাতে নিজের অবদান রাখা। তিনি বলেন, “দল জিতুক চাইব। আর দলের হয়ে ব্যাট হাতেও অবদান রাখতে চাইব।”
বাংলার ক্রিকেট সমর্থকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে দেখবে ঋদ্ধিমান সাহা তার শেষ রঞ্জি ম্যাচে জয় দিয়ে কেরিয়ারের শেষটা রাঙাতে পারেন কি না।

ঋদ্ধিমান সাহার কেরিয়ার বাংলার ক্রিকেট ইতিহাসে এক সোনালী অধ্যায় হিসেবে থাকবে। তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সফল কিপার-ব্যাটার এবং তার অবদান আগামী প্রজন্মের ক্রিকেটারদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

আমাদের Google News এ ফলো করুন

২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।

Google News Follow on Google News